আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইমমোর্টালিটি নিয়া অপ্রাসঙ্গিক প্রাসঙ্গিকতা

কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...

ইমমোর্টালিটির পর কুন্ডেরার আর কোন লেখা পড়া হয় নাই আমার...সেই বিশ্ববিদ্যালয় কালে, যখন মার্ক্সবাদ আর অস্তিত্ববাদ নিয়া চরম দোলাচলে আছি, তখন এই পুস্তক পাঠে আমি ছিলাম মুগ্ধ! যদিও এই মুগ্ধতার কারনে একবারও রাজনীতি ছাড়নের প্রশ্ন আসে নাই...কারন অস্তিত্ববাদে আমার গুরু জ্যাঁ পল সার্ত্রে নিজেও রাজনৈতিক আন্দোলনের কথা কইতেন মার্ক্সীয় অনুসঙ্গে...সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু ইমমোর্টালিটি পাঠের পর আমার মানব সভ্যতার উদ্দেশ্যমূখীনতা নিয়া চিন্তার তুমুল আয়োজন শুরু হইলো। শ্রদ্ধেয় এঙ্গেলস সাহেব এই সভ্যতার ইতিহাস নিয়া কথা কইতে গিয়া উৎপাদন আর পুনরুৎপাদনরেই প্রধান নিয়ামক কইয়া গেছেন। ঐসময় আমার মনে হইতো...এবং এখনো মনে হয়...এই দুই কার্যই আসলে কোন না কোন ভাবে কামে পর্যবসিত হয়। পুনরুৎপাদন নিয়া কোন প্রশ্ন থাকে না, কিন্তু মানুষ উৎপাদনেও ইউনিক হওনের পথ খুঁজে।

কার্ল মার্ক্স সাহেব যেই কারণে মূর্ত শ্রম আর বিমূর্ত শ্রমের ব্যাপারে তার সহায়ক গ্রন্থসমূহে বইলা গেছেন। বিমূর্ত শ্রমের ব্যাপারেও তার একটা হালকা নেপোটিজম টের পাওন যায়...বৈষম্যহীনতার সংগ্রামরত সমাজেও যেই কারণে শিল্পী স্রষ্টারা বাড়তি প্রেফারেন্স পাওনের সম্ভাবনা থাকে। ইমমোর্টালিটির সাথে কাম'এর সম্পর্ক কি? ক্যান অহেতুক এই প্রসঙ্গ অবতারণা করি আমার লেখায়! কাম কর্মতে দেখা যায় পরবর্তীর একটা বোধ থাইকা যায়...কর্মকালীন অনুভূতি বিষয়ে প্রশ্নমালা থাইকা যায়...মনে evaluation থাকে আর কি। এইটা কি ইমমোর্টালিটির সাথে সম্পর্কযুক্ত না!? যখনি কোন তৃতীয় অনুভূতির প্রশ্ন আসে সেইটাই কি ইমমোর্টালিটির প্রসঙ্গ টাইনা আনে না! আমি মনে করি আনে। তয় মানব সমাজে সবচাইতে প্রচলিত ইমমোর্টালিটির অবতারণা হয় পিতৃত্ব কিম্বা মাতৃত্ববোধ দিয়া।

এর দূরবর্তী অংশও আছে...দাদা-দাদী, নানা-নানী হওয়াতেও এর ধারে কাছের ফিলিং থাকে। সন্তান উৎপাদন আর তার প্রতিপালনে এই ইমমোর্টালিটির বোধই যে প্রধান নিয়ামক সেইটা কি আসলেই এমনে থাকে? আমি নিজে পিতা হওয়া নিয়া আগ্রহী না। আমার কাছে মনে হয়, আমি আমার পিতার সকল অনুসঙ্গ উৎরাইয়া যাইতে চাই সবসময়। তার একটা ক্রোমোজোম ছাড়া আর কিছু তো আমার শরীরে থাকনের সম্ভাবনা নাই অদূর ভবিষ্যতে...তাইলে আমাতে ক্যান আমার পিতা ইমমোর্টালিটির ছায়া দেখতে পাইবো? নামেও তো কোন মিল নাই...বা যতোটুক আছে সেইটাতো আরো শত হাজার মানুষের সাথেই আছে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.