যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
গত পাঁচ বছরে যতগুলো এনজিও নিবন্ধন পেয়েছে তার অধিকাংশই ইসলামি এনজিও। বর্তমানে দেশে প্রায় চার হাজার ইসলামি এনজিও আছে। অস্বীকৃত মাধ্যমে (ইনফরমাল চ্যানেলে) বিদেশ থেকে অর্থ পেয়ে থাকে এসব এনজিও। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি এ বিষয়গুলোসহ এনজিও সংশ্লিষ্ট অন্য আরও বিষয়ে সরকারের নজরদারির জন্য একটি স্বাধীন এনজিও কমিশন গঠন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে টিআইবি আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ বলেন, "দেশে প্রায় চার হাজার ইসলামি এনজিও আছে। এগুলো অস্বীকৃত মাধ্যমে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ পায়। "
এ বিষয়গুলোসহ এনজিও সংশ্লিষ্ট অন্য আরও বিভিন্ন বিষয় সরকারের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। তাই এগুলো পর্যবেক্ষণে একটি স্বাধীন এনজিও কমিশন গঠন করা যেতে পারে বলে মনে করেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ।
তিনি বলেন, "বিদেশি অর্থ সহায়তা না পেলে এনজিওগুলো জনসেবামূলক কাজ করতে পারবে না এটা ঠিক নয়।
বরং দাতাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে অনেক ক্ষেত্রে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। "
টিআইবি চেয়ারম্যান স্বেচ্ছায় সেবাদান ও সহমর্মিতায় দেশের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "অতীতে বসন্ত, কলেরা ইত্যাদি মহামারির সময় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করেছেন। এ ঐতিহ্যকে আবার উজ্জীবিত করা গেলে দেশের অগ্রগতির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। "
'এনজিও খাতে সুশাসনের সমস্যা : উত্তরণের উপায়' শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনায় সাবেক সাংসদ ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রধান অ্যাডভোকেট সালমা আলী, আইনবিদ অ্যাডভোকেট ড. শাহদীন মালিক, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনার শুরুতে টিআইবির গবেষণা কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, "দারিদ্র্য বিমোচন, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা সেবা দেওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে এনজিও খাত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু দাতা সংস্থাগুলো ও এনজিও কর্মকর্তাদের অনিয়ম, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এসব নানা কারণে এ খাতে দুর্নীতি হচ্ছে।
২০টি এনজিওর ওপর সমীক্ষা চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়, দুর্নীতি সংক্রান্ত টিআইবির তথ্য অনুযায়ী এনজিও খাত মধ্যম দুর্নীতিগ্রস্ত খাত।
বিভিন্ন এনজিও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া, তহবিল সংগ্রহসহ নানা ক্ষেত্রে অনিয়ম করে থাকে। এছাড়া আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অস্বচ্ছতা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিও রয়েছে এ খাতে।
একটি স্বাধীন এনজিও কমিশন গঠন, সেবাগ্রহীতা, সরকার ও দাতাদের কাছে এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং এদের বাজেট সবার কাছে উন্মুক্ত করাসহ প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে।
দেখলাম - একজন ব্লগার নয়া দিগন্ত থেকে এনজিও সম্পর্কে একপেশে একটা প্রতিবেদন কপি/পেস্ট করেছেন। ব্লগের দৃষ্টিভঙ্গীর ভারসাম্য রক্ষার্থে হিমঘর থেকে এই পোস্টটি দেওয়া হলো।
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম/এমআইএম/এমএসবি/এমএইচবি/২২৩০ ঘ.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।