এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ
সিনিয়ররা যা বলবে, তা-ই শুনতে হবে। তাদের হুকুম তামিল করতেই হবে। কলেজে ঢোকার পর এমনই নির্দেশ দেয়া হলো আমাদের। কাস ইলেভেনের এক সিনিয়র ভাই এসে বললেন, তার নাম দুলা। তাহলে বলুনতো আমরা তাকে কি নামে ডাকি? দুলাভাই।
যদিও আড়ালে তিনি আমাদের ব্যাচের কাছে শালা হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। কলেজে যতো শাস্তি আমাকে ভোগ করতে হয়েছে_ তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধ ছিল টিজিং। আর সিনিয়রদের বেশ সুন্দর সুন্দর নামও দিয়েছিলাম আমরা। আহমেদ ভাইয়ের নাম ছিল প্যাঁচা, আদা, কাঠবিড়ালী, পচা, খবিশ, খাটাস, জাম্বু গরিলা, জাকুলা_ এ সব ছিল মানুষের নাম।
কাস সেভেনে কলেজে ঢোকার প্রথম দিন থেকেই পাঙ্গা শুরু হয় আমাদের।
পাঙ্গা মানে শাস্তি। অদ্ভুত সব নাম শাস্তিগুলোর। টেবিল ফ্যান, হ্যান্ডস ডাউন, ফ্রন্ট রোল, সাইড রোল, ফ্রক জামঙ্ থেকে শুরু করে হট কেক পর্যন্ত নানাবিধ নাম। যেদিন আমাদের এক ব্যাচ জুনিয়ররা কলেজে ঢুকলো_ আমাদের মধ্যে সেকি উত্তেজনা। সিনিয়র হয়ে গেছি আমরা।
আমরাও এখন নির্দেশ দিতে পারবো, ইচ্ছামতো। জুতো পালিশ থেকে শুরু করে হোমওয়ার্ক কপি পর্যন্ত_ সবই করানো যাবে ওদের দিয়ে। কামরুলের এ ব্যাপারে উতসাহ ছিল সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন কমপক্ষে হালি জুনিয়রকে পানিশমেন্ট না দিলে তার ঘুমই আসতো না। কামরুল এখন মেজর।
জানি না, তার এ খাসলতটি এখনো আছে কি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।