কোরান ও ধর্মবিরোধী ড. ইউনূস সমকামিতা ও অবাধ যৌনাচারে সমর্থন করেছেন, তাই তাঁকে তওবা করতে হবে। সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এ মতবাদে বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি মুসলমান থাকতে পারে না। এমনকি কোন ধর্মাবলম্বী এ মতবাদ বিশ্বাস করতে পারে না। যারা বিশ্বাস করে তারা ধর্মদ্রোহী, মানবতাবিরোধী, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী।
এদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা প্রতিটি মানুষের জন্য ফরজ। অন্যথায় তাকে ইরানের শিরিন এবাদি, তসলিমা নাসরিন এবং সালমান রুশদির মতো পরিণতি ভোগ করতে হবে। তওবা না করলে তাঁকেও এ দেশে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে। বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে ইসলামী ঐক্যমঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূসের ইসলাম ও কোরানবিরোধী সমকামী বিবাহতত্ত্বের প্রতিবাদে কর্মসূচী প্রদানের লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব তথা ইহুদী চক্র ইসলামকে ধ্বংসের জন্য সুদূরপ্রসারী অংশ হিসেবে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মুসলমানদের মাধ্যমে কিছু কুলাঙ্গার মুসলমান নামধারী নাস্তিক মুরতাদ ইহুদী দালালদের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বে সমকামী মতবাদ প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় উঠেপড়ে লেগেছে।
যারা এ ধরনের মতবাদে বিশ্বাস করে প্রচার করা ও সমাজে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে তারা ধর্মের উৎসকে সমূলে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত। ড. ইউনূস তাদের গংয়েরই একজন।
পবিত্র কোরানে সুরা হুদের ভাষা অনুযায়ী সমকামীদের বিরোধিতা না করায় আল্লাহতা’আলা হযরত লুত (আ) এর স্ত্রীকেও রেহাই না দিয়ে কওমে লুতের সঙ্গে ধ্বংস করেছিলেন। অতএব কোরানের আইন অনুযায়ী যারা সমকামিতার সঙ্গে লিপ্ত, যারা এর সমর্থক এবং যারা এর বিরোধিতা করে না, তারা সকলেই অপরাধী। বাংলাদেশের পারিবারিক ও বৈবাহিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্য নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
আর ড. ইউনূস সমকামিতা, পুরুষে পুরুষে এবং নারীতে নারীতে বিবাহ ও যৌনাচার এবং অবাধ যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দিয়ে সারাবিশ্বে প্রচার ও প্রসার চালাচ্ছেন।
ড. ইউনূস গং বলছেন যে লেসবিয়ান-গে-বাইসেক্সুয়াল-ট্রান্সজেন্ডার-ইন্টারবেস (এলজিবিটিআই) জনগোষ্ঠীর বিবাহতত্ত্ব, সমকামিতা, অবাধ ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত এবং যারা এর বিরোধিতা করে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। তারা সবাই ধর্মান্ধ এবং ধর্মীয় গোড়ামিতে নিমজ্জিত। এলজিবিটিআই জনগোষ্ঠীকে এসব ধর্মান্ধ ও গোড়ামিতে নিমজ্জিতদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তারা এ নীতি বাস্তবায়নে ধর্মীয় অনুশাসনকেই সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বের হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী খ্রীস্টান অগ্নিউপাসক ও মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষ যেখানে বিবাহ প্রথাকে সামাজিক বন্ধনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে সেখানে ড. ইউনূস গং তা মানতে নারাজ। বিশ্বের সকল মুসলিম দেশে সমকামিতাকে একটি ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে জেল জরিমানাসহ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। বিশ্বের ৭৬টি দেশে সমকামিতা অপরাধের জন্য মৃত্যুদ-ের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশেও অর্থ দ-সহ যাবজ্জীবন কারাদ-ের বিধান রয়েছে। তাদের আমরা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করি।
কোরান এবং দেশের প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী ড. ইউনূস গংকে প্রতিরোধ করি।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কারণে দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করায় ড. ইউনূসকে গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদান, সালমান রুশদি ও শিরিন এবাদির মতো বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার আশপাশের সমস্ত জেলার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ১৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মতবিনিময়সভা, ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনূস সেন্টার ঘেরাও করার কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এ্যাকশন কমিটি গঠন করে সকল শ্রেণীর লোকদের কাছে লিফলেট বিতরণ, আলেম সমাজের কাছে খোলা চিঠি প্রদান ও মতবিনিময় করা এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মাসুদুর রহমান বিক্রমপুরী, মহাসচিব রেজাউল হক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান খলিফা মোঃ নুরুদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আঃ রাজ্জাক রাজু, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান, এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ শাকিল, মাওলানা আসাদুজ্জামা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।