গভীর কিছু শেখার আছে ....
চলতি সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৭ প্রতিযোগিতা। সেরা তিনজন সুপারস্টার এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। তবে অন্যরাও পিছিয়ে থাকবেন না। তারাও মিডিয়াতে নিজেদের অবস্থান গড়বেন।
অন্যদিকে আগামী সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে ডি-রকস্টার প্রতিযোগিতা।
নতুন ও প্রতিভাবান ব্যান্ড খোজার জন্য ডিজুস ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ এ উদ্যোগটিও প্রশংসনীয়। এর ফাইনাল রাউন্ডের মধ্য দিয়ে ভালো মানের কিছু রাইজিং ব্যান্ড পাওয়া যাবে বলে সবাই আশা করছেন।
ইতিপূর্বে এ রকম প্রতিযোগিতা অনেক হয়েছে। অভিনয়, সঙ্গীত ও সৌন্দর্য কেন্দ্রিক এসব প্রতিযোগিতায় অনেক প্রতিভাবান স্টারকে মিডিয়াতে পাওয়া গেছে। তবে উল্লেখ করার বিষয় হলো, এদের মধ্যে অনেক প্রতিভাবান স্টারকেই কিন্তু পরে মিডিয়াতে পাওয়া যায়নি।
মিডিয়া থেকে বিমুখতার কারণ যতোটা না এসব প্রতিযোগীর নিজের ইচ্ছাতে হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে মিডিয়াতে এদের যথাযথ স্থান করে দেয়ার প্রতি সংশ্লিষ্টদের অনাগ্রহের বিষয়টি।
এখন নতুন মডেল বা স্টারকে স্টার সার্চ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত করে দিলেই সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং এসব স্টার মিডিয়ার গলি-ঘুপচি চিনিয়ে দেয়ার দায়িত্বও কিন্তু পক্ষান্তরে তাদের ওপরই বর্তায়।
এছাড়া অলরেডি মিডিয়াতে যারা স্টাবলিশ তাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, কারো স্থান কেউ কখনো কেড়ে নিতে পারে না। সহজ কথায়, একজন প্রমিনেন্ট আর্টিস্টের রিপ্লেস কোনো নতুন স্টার দিয়ে সম্ভব নয়। বরং সেই নতুন স্টারটি নিজ গুণেই তার স্থানটি গড়ে নেবে।
এ ক্ষেত্রে অতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবই কিন্তু নতুন সেই স্টারটি অন্যদের কাছ থেকে আশা করে। সেজন্য স্টার সার্চ করে স্টার নির্বাচিত করলেই সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং নতুনদের গাইড করাটাও তাদের ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে হবে। তাহলেই অন্যরাও এতে উৎসাহিত হয়ে এসব প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আসবে ও প্রতিযোগিতা সার্থক হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।