জীবন এবং জীবিকার তাগিদে হাজার হাজার বাংলাদেশী বর্তমানে প্রবাসে ছুটে যাচ্ছে। নিতান্ত অসহায় হয়েই তারা প্রিয় মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এই প্রবাসে আসার জন্য একজন মানুষ কে যে কত দূর্ভোগের শিকার হতে হয় তা একমাত্র ভূক্তভোগীই জানেন। টাকা যোগাড় করা,পাসর্পোট বানানো, ট্রাভেলএজেন্সী ঠিক করা,ভিসা পাওয়া,বিমানের টিকেট করা এই সব কিছুর জন্যই একজন মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্টের মুখোমুখী হতেহয়।
সব কষ্টের অবসান হয়ে যায় যখন লোকটি বিমানের টিকেট হাতে বিমান বন্দরে পৌঁছে তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য।
কিন্তু সেখানেও যে অনিশ্চয়তা।
গত কয়েক মাস থেকে হাজার হাজার বাংলাদেশী দেশী এবং বিদেশী এয়্যার লাইনস কৃর্তক যে অবর্ননীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তা দেখার মত আমাদের দেশে মনে হয় কেউ নেই। গত কাল আমার এক সহকর্মী ছুটি থেকে এসেছেন তার মুখেই শুনলাম তার ভোগান্তির কথা। সে দুই মাসের ছুটি তে গিয়েছিল,এর মধ্যে শুধু টিকেট রিকনর্ফাম করতে তাকে মফস্বল শহর থেকে এসে তিন দিন ঢাকাতে থাকেতে হয়েছে,চিটাগাং রোড থেকে রাত তিনটায় এসে সোনারগাও হোটেলে সাউদিয়া এয়্যার লাইনসের সামনে লাইনে দাড়াতে হয়েছে,এই ভাবে দুই দিন তীর্থের কাকের মত দাড়িয়ে থেকেও কোন কিছু না হওয়াতে তৃতীয় দিন আবার আসতে হয়েছে,তার পরও প্রায় তিনশ লোকের লম্বা লাইনে প্রায় ১৪ ঘন্টা অতিবাহিত করার পর সে তার টিকেট রিকনর্ফাম করতে পেরেছে। তার ছুটি ছিল সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত কিন্তু এয়্যার লাইনসের ফ্লাইট না থাকাতে তাকে ৫ দিন আগেই চলে আসতে হয়েছে।
ফ্লাইটের অভাব জনিত কারনে হাজার হাজার বিদেশগামী লোককে এয়্যার লাইন কৃর্তপক্ষ বিভিন্ন হোটেলে এনে রেখেছেন,এদের অনেকেরই ভিষার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। এই নিয়ে কৃর্তপক্ষের যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই।
আমাদের এই ব্লগ সাইটে অনেক ব্লগার আছেন যারা সাংবাদিকতার মত মহত পেশায় জড়িত, তারা এই নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে উপকার করতে পারেন অনেক প্রবাসীর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।