আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুক্তি,তক্কো আর গপ্পেঃ আমরা দ্বিধান্বিত হই বারে বারে !!

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।

এক. আমি জানি না আমি অন্ধ কিনা ; আমার জানা নেই আমার মতো এমন বোধশূন্যতায় আর কেউ আছেন কিনা ! আমার চোখ বন্ধ নয় তারপরও নিজেকে অন্ধ মনে হয় কেন ? আমি বধিরও নই । তবে কেন আমি বলতে পারিনা; চিৎকার করে বলতে পারি না - খামোশ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! অনেক হয়েছে ; আর নয় । ওই উদ্যত রাইফেলের নিশানা বদলাও ।

এই রাইফেল তোমাকে দিয়েছিলাম আমার অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে । আর আমার টাকায় কেনা রাইফেল তুমি তাক করো আমার দিকে ?? তুমি হয়ে উঠলে আবারো ফ্রাকেস্টাইন ?? আর কতোবার তুমি বিশ্বাসভংগ করবে ? আমি পারিনা । আমার বোধ আমাকে কুড়ে কুড়ে খায় । আমার দিকে তর্জনী উঠিয়ে বলে ব্যাটা নপুংশুক । !।

ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে । কিন্তু তারপরও আর আমাদের ভুল শোধরানো হয়না । আমরা একই ভুল করে যাই বারবার । ইতিহাস যেন সেই ভুল শুধরে নিতে আসে; বিশ্বাসঘাতকতার কালিমা মুক্ত করতে চায় অথচ আমরা পারিনা । আমাদের রক্তে মীরজাফর-মীরন জল্লাদের উল্লাস ধ্বনি শুনি ।

একই পাপাচারে আবারো আমরা লিপ্ত হই । প্রতিবারই আমাদের মাথা নুইয়ে যায় আমাদের পূর্বপুরুষের কাছে । আমরা বাঙালিরা আর মানুষ হয়ে উঠতে পারিনা । অক্ষমতার কষ্ট আমাদের কুড়ে কুড়ে খায় । আমরা আরো নতজানু হই আর ওরা আমাদের পিঠে আরো জোড়ে চাবুক চালায় ।

দুই . ইতিহাস সবসময় বিজয়ীর কথা বলে । আমরা বিজয়ীদের ইতিহাস আওরাই ; আর মনে ভাবি কি জানি , হতে ও পারে !! একটি দেশ । একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড । অথচ এই দেশের অভূ্দ্যয়ের ইতিহাস কতবারই না বদলালো , কত ভাবে তা লেখা হলো !!কিন্তু তারপরও আমাদের অস্তিত্বের সংকট কাটে না । আমরা রয়ে যাই একই বেড়া জালে - বাঙালি না বাংলাদেশী !! আমাদের দ্বিধা কাটেনা ; আরা সব কিছু নিয়েই দ্বিধান্বিত রয়ে যাই ।

তিন. আমরা সবজান্তা । আমার যুক্তিবাদী । আমরা জানি যুবরাজ কত হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আর দেখি মাত্র ১ কোটি টাকার চাদাবাজির মামলা !আমার শুনি সাবেক প্রধানমন্ত্রি ব্রিফকেসে করে ১ কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন আর ওমনি হিসেব করতে থাকি এক ব্রিফকেসে কত টাকা আটেঁ । আমরা ভাবতে থাকি ব্রিফকেসের কি রঙ ছির সাদা না কালো ;তা নিয়ে তর্ক জুড়ে দেই শুরু করে দেই তার চিত্রনাট্য লিখতে । অথচ আমরা ভাবতে পারিনা কেউ আমাদের পরিকল্পিত ভাবে আহম্মক বানাচ্ছে ।

চার. নিউ রিয়্যেলিজম, সুরিয়্যালিজম সহ নানা ইজম পার করে রিয়্যেলিজমের অতি আধুনিক সংস্করণ প্র্যাকটিক্যাল রিয়্যেলিজম আমাদের রাষ্ট্র জীবনের নতুন স্ক্রিপ্ট হয়ে যায় । কষ্ট কমাতে ফারুকীর মতন আমরা আগে পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করে ফ্রেমে দাড় করিয়ে দিয়ে বলি - অ্যাক্ট , হোয়াট ইউ রিয়েলি অ্যাক্ট ......কোয়াইট... ক্যামেরা রোলিং ....থ্রি...টু...ওয়ান .... অ্যাকশন । ক্যামরা বন্দি হয়ে যায় আমাদের জীবন নাট্য । কোথাও ভুল চুক হলে প্যানেল বসে এদিক সেদিক করে সেরে নেই । চিত্রিত হয়ে যায় আমাদের আধুনিক সংস্করণ প্র্যাকটিক্যাল রিয়্যেলিজম ।

পাঁচ. ডঃ আনোয়ার হোসেন এবং অধ্যাপক হারুন অর রশীদ নাকি দুজন ছাত্রকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন খেলার মাঠে একটা ঝামেলা বাধাতে হবে তারপর সেই ঝামেলা ছড়িয়ে দিতে হবে সারা ক্যাম্পাস , ক্যাম্পাস থেকে দেশ জুড়ে..... আমার এখনি হিসেবে বসে যাব কিভাবে আগে থেকেই শিক্ষকরা জানলেন যে ওখানে তেনারা খেলা দেখতে আসবেন?? পুলিশের এমন আগ্রাসী ভূমিকা পালনে অধ্যাপকদ্বয় কিভাবে সার্থক হলেন ?? আমরা তখন এ বিষয়টির মাঝে সম্ভবনা খুজেঁ পাব ; প্রোবাবিলিটির অংক কষতে বসব । অথচ ঘটানাটা একটু উল্টিয়ে দিলেই আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের স্বরুপ দেখতে পেতাম । আমাদের আর উল্টিয়ে দেখা হয় না । পরিশেষে যা কিছু ভালো তাতেই কালিমা লাগাতে দিনের শুরুতেই আসে প্রথম আলো । আমরা চোখ থাকতেও অন্ধরা তাই দেখি ।

আমাদের শেষ অর্জন গুলোতেও কালিমার লেপন লাগতে থাকে । রাজনীতিবিদদের শেষ করে এখন সে লেপন এলো দেশের কাণ্ডারী শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের উপর । স্বার্থন্বেষী ও ষড়যন্ত্রকারী মহল কি আমাদের শিক্ষকরা-শিক্ষার্থী ?? একটি স্বার্থন্বেষী ও ষড়যন্ত্রকারী মহল এবং অপশক্তি তাদের এই নতুন পরিচয়ে আমরা দ্বিধান্বিত হই ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।