পারভেজ
এন্ড্রোমেজ, হাইড্রা, ভুলপেকুলা ইত্যাদি গ্রহ এখন এক নিমিষেই মাউস ক্লিকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ দেখতে পারবেন। যারা এ ব্যাপারে একদম নতুন তারাও গুগল সার্চের মাধ্যমে এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। আমাদের সৌরমন্ডলে যে সকল গ্রহ রয়েছে ইউজাররা তার থ্রিডি পরিবেশনা দেখেতে পারবেন একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এ জন্য ১টি টুল গুগল আর্থে যোগ করা হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখতে পারবেন আকাশে মসৃণ গতিতে এগিয়ে চলা গ্রহ-নক্ষত্রের বিভিন্ন ছবি।
যাতে দেখতে পারবেন এক মিলিয়নেরও বেশি স্টার এবং ২০০ মিলিয়ন গ্যালাক্সি। অপশনাল লেয়ারের মাধ্যমে ইউজাররা ইমেজ এক্সপ্লোর করতে পারবেন হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে। অনেকটা লুনার সাইকলের এনিমেশনের মতো। বেসিক আইডিয়াটাই গুগল আর্থের জন্য নেয়া হয়েছে- বলেছেন গুগলের ডিএস পার্টিয়াল টেকনোলজিস্ট এন্ড পারসন। সুতরাং এর মাধ্যমে পৃথিবীর ছবি না দেখে স্পেসের ছবি দেখা উচিত।
ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় নবিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সংগঠন ব্রিটিশ এস্ট্রোনমিকাল এসোসিয়েশেনের ড. জন ম্যাসন বলেন, আলো এবং শব্দ দূষণ এখন খারাপ অনেক জায়গায়। তাই যখন লোকজন বাইরের দুনিয়ার স্বচ্ছতা ও নির্মলতা উপভোগ করবে তখন বুঝতে পারবে তারা কি মিস করছে। এটা আসলেই খুবই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
এই নতুন সিস্টেমে ইউজারদের তাদের নিজ কম্পিউটারে গুগল আর্থ ইনস্টল করতে হবে। ডিজিটাল এই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা রাতের আকাশের যে অংশ দেখতে চান সেখানে জুম করবেন।
ক্লিক করুন বাটন যাতে উন্মুক্ত হবে পৃথিবী। আর দেখুন আপনার পছন্দসই নির্দিষ্ট অংশ। এভাবেই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করেন মি. পার্সনস। ইউজাররা রাতের আকাশ দেখার সাথে আরো জানতে পারবেন গ্যালাক্সি এবং গ্রহ সম্পর্কিত তথ্য। এ ছাড়াও হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে ইমেজের বিস্তাতির জানতে পারবেন।
এই সিস্টেমে যে ছবিগুলো দেখা যাবে তা আসবে ৬টি রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে। যাতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ডিজিটাল সকাই সার্ভে কনসর্টোরিয়াম, পালোমার অবজারভেটরি অফ ক্যালিফোর্নিয়া এবং যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রোনমি টেকনোলজি সেন্টার। অধিকাংশ ছবিই সার্চের মাধ্যমে দেখা যাবে তবে গুগল আশা করছে এর মাধ্যমে গ্রহ দেখা আরো সহজ হবে এবং মজাও পাওয়া যাবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, আকাশ সম্পর্কে গুগলের এই আগ্রহ এই প্রথম নয়। তারা ২০০৬ সালের মার্চে গুগল মার্স লঞ্চ করে।
যার মাধ্যমে ইউজাররা রেড প্লানেট এর সার্ফেস দেখতে পারবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।