আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিন যায় খাসি নাচে, বৌ মরলে জান বাচে! (ক্লোজআপহাসি) আমার রোজ নামচা: ১৭/০৮/২০০৭

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

(+18) ইয়া আলী, মাদাদ আলী সখী মারিলো মুখে চুনকালী! খুব ভোর বেলা মানে সকাল ১১:০০টায় উঠিয়া বারান্দায় আসিয়া দাড়াইলাম। আমার বাসার হিস্যু করা দূরত্বে একটা মাঝারী মানের বস্তি আর বস্তির কোনো এক জনৈক পুচকি উদাস নয়নে অম্লান বদনে উপরোক্ত গানের কলি খানা গাইতে থাকিল। কর্ণকুহরে প্রবেশ করিবা মাত্র মনে হইলো বাসর রাইতে বৌ আমার কুরআন শরীফ খতম দেওয়া শুরু করিলো। যাই হোক মেজাজ আমার তেতুল গাছে আগায় চড়িলো।

বাথরূমের হিসাব নিকাশ মিটাইতে কিটাইতে মনে পড়িলো আজ আমার মহা মুল্যবান দুইটি কাজ মনে পড়িয়া গেলো, যাহার একটা চুল কাটা, আর শেভ করা। আহ! কি শান্তি! আমার উস্তাদ গুজরান খা বলিয়াছিলো: জগতে যেই সুখ ভোগে, ডাবল সুখ ত্যাগে, তাই ডুগডুগী বাজাও আগে! বসিয়া বসিয়া আরামে খাইতে বসিলাম, এমন সময় বাসার রুলিং পার্টির মন্ত্রী মানে আমার বোইন, আসিলো বাজারের ফর্দ লইয়া সারা সপ্তাহের বাকী বাজার! আমার মনে হইলো মুমতাজের হিটা গানে আর পুষাইবো না, মন চাইতাছে গ্লাসের পানিতে ফাল দিয়া ফাইনাল সুইসাইড করি। মাগার সেইটাও পারলাম না, বোইনে গ্লাসের পানি না জিগাইয়া পাড়ার মাস্তানের মতো শেষ কইরা একটা ঝাড়ী মাইরা কইলো,"তাড়া তাড়ি খাইয়া বাজার যাও। " (আম্মাআআ) মনে মনে দিন গুনতে লাগলাম: তর বিয়ার টাইম হইছে! কোনো মতে খাওন পেটে হান্দাইয়া বেলা ১২:০০টায় কাঠফাটা রোদে(যদিও আকাশে অনেক মেঘ ছিলো এবং গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ছিলো), গেলাম মীরপুর ১নং বাজারে। আহ! বাজারে দেখি এই বৃষ্টির দিনে দাবানল লাগছে।

দমকল বাহিনী দিয়াও কাজ হইবো না। তারপর আবার ভীড়, আর আরেকটা জিনিস সারা বাজারে পুরুষ পোলা মাগার আমি যেইখানে যাই সেইখানই মাইয়া মানুষ। কোনো মতে হাত-শরীর বাচাইয়া হাটি মাগার এক্সিডেন্ট ঘটিয়া গেলই কিন্তু আল্লাহর রহম কেউ কিছু কয় না। যখনই বাজার শেষ কইরা বাইর হইতাছি এমন সময় এক পুচকি আমার ঠ্যাং এর ঢিসা খাইয়া সেই কি চোট পাট। কয়,"চোখ কি মাইয়াগো সালোয়ারের তলে রাইখা দিছেন নিকি!" আমি শুইনা সপ্ত আসমান থিকা পড়লাম,ডেলিভারী দিলাম,"এতডু পুইচকা অহনই চিন্তা ঐ জায়গায় বর হইলে তো দেহি রাস্তায় কারো বইখসা দিবি না।

এই কইয়া বাকী কিছু শুনার আগে রিক্সায় লম্ফ! বাসায় আসিয়া হিসাব দেওনের আগেই কইলাম," আমি নামাজে গেলাম। " নামাজ পড়তে মসজিদে আসিলাম ১:১০ যখন খুতবা শুরু হইবো। তয় মসজিদে আসার আগে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় উকি ঝুকি হায় হ্যালো, তয় এই সময় কোনো পুলাপান পাই না। সারা সপ্তাহের শয়তানির হিসাব সব জুম্মার নামাজে দিবার চায়! মসজিদে উঠিয়া সবার পিছনের কাতারে বসিলাম যেইখানে পুলাপান তার সার্কাস বজায় রাখে। পিছনে বসিয়া দেখিলাম সবাই শয়তানি করিতেছে কিন্তু দুইটা মাদ্রাসার পোলা পাশাপাশি বসিয়া হুজুরের গগনবিদারী ভয়ানক আজাবীয় খুতবা শুনিতেছে।

আমি আস্তে কইরা ডান পাশেরটারে দিলাম খুচা। উই খুচা খাইয়াই আমার দিকে তাকাইলো, আমি আবার ইশারা কইরা পাশেরটারে দেখাইলাম। ও রেগে মেগে দিলো এক ঠুকনা! বাস শরু হইয়া গেলো দুইটা বান্দরামী। ফরজ নামাজ কোনো মতে শেষ করিয়া মোনাজাত ধরার আগেই মসজিদ থিকা বাইর হইয়া দিলাম বাসায় দৌড়। এদিকে ক্ষুধায় মনে হইলো পেটে ইন্দুর খানা বেন্ঞ্চ প্রেস আর লেগ প্রেস মারতাছে।

যাই হোক, বাসায় গিয়া উদোর পূর্তি ভরিয়া একটু খানি ব্লগে বসিলাম। ব্লগে দিন দিন মনে হইলো বোলগারের মাথা থিকা আগের তুলনায় বেশ কম জিনিস প্রসব হইতাছে। ঘুমাইতে গেলাম ৩:৩০ টায়। উঠিলাম ৬:০০টায়। উঠিয়া মুখ হাত ধুইয়া হালকা কিছু নাস্তা করিয়া ঝিমাইলাম, আর মোবাইলে চাইয়া দেখিলাম মোট ১৮টা মিসড কল।

তার মধ্যে কয়েকটা হার্ট থ্রব মিসড কলও ছিলো। ৯টার টা ব্যাক করিয়া জীমে গেলাম ৭:৩০ টায়। যাইয়া দেখিলাম বস আসিয়াছেন তাই জীমে বহুত ভীড়। বসিলো আড্ডা, হইলো ব্যায়াম, তারপর এই বাড়ি ঐ বাড়ীর নয়া আইটেমের খবর, পরবর্তী সপ্তাহের কর্মপন্হা ঠিক করিয়া বাহির হইলা ১১:০০টার দিকে। ক্লান্ত বদনে খাইতে থাকিলাম আর ভাবিলাম: কি আছে জীবনে ছিড়া খ্যাতা আর বালিশ!(ক্লোজআপহাসি) ঘুমাইতে ঘুমাইতে রাত ৩:০০টা।

মনে পড়িলো এক অমর ডায়লগ: দিন যায় খাসি নাচে, বৌ মরলে জান বাচে! যদিও আমি অখনও বিবাহ করি নাই, কিন্তু ঘুমাইলে সেইটা অন্য কথা!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।