আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হটমেইল আর হট নহে



১৯৯৬ সালে সাবির ভাটিয়া প্রথমবারের মত ফ্রি ইমেইল সুবিধা দিয়ে বিশ্বব্যাপী যে সেনসেশন চালু করেছিলেন এখনো সেটিই হটমেইল নামে পরিচিত। ওয়েব বেজড অন্যান্য পেইড ইমেইলের মধ্যে একমাত্র ফ্রী ইমেইল সুবিধা হিসেবে মুহূর্তেই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। আর এতোই জনপ্রিয় হয়ে গেছিল যে মাইক্রোসফট কয়েকশ মিলিওন ডলার খরচ করে কিনে নিতে বাধ্য হয় হটমেইল। আমি নিজেই ব্যাবহার করি প্রায় ৯৮-৯৯ সাল থেকে। দেখতে দেখতে কদিন পরেই হয়ত সেটারো দশ বর্ষপূর্তি হবে।

কিন্তু আজকাল হটমেইলের একটাই ব্যাবহার। মাসে দুমাসে একবার খুলে ফালতু ইমেইল ডিলিট মারা। কয়েকটা বিষয়ে হটমেইলের ওপরে মহা ক্ষ্যাপা আমি। জিমেইল চালু হবার আগ পর্যন্ত মেইল দুনিয়াতে স্পেস নিয়ে মহা টানাটানি। হটমেইল দুই মেগা দেয় তো ইহাহু অনেক দয়া করে ৫ মেগা আর রেডিফ দশ মেগা অফার করাতে শেষে রেডিফেই চলে গেলাম।

হটমেইলে দরকারী ইমেইল আসলে সাইজ বড়ো হলে রেডিফে ফরোয়ার্ড করে চিঠি বাঁচিয়ে রাখতে হত। এইভাবে পিংপং চলল কয়েক বছর। তারপরে জিমেইল এসে দুম করে এক গিগা দিয়ে দিল। সব ছুটল জিমেইলে। আমি অপেক্ষায় থাকলাম।

ইয়াহু বাড়িয়ে ১০০ মেগায় উঠল, হটমেইল রয়ে গেল দুই মেগা, ইয়াহু গিগাবাইট যায়গা দিয়ে দিল, হটমেইল উন্নত বিশ্বে [আম্রিকা, য়ুরোপ] ২৫০ মেগা দিল, কিন্তু আমার বাংলাদেশী একাউন্ট রয়ে গেল ২ মেগাতেই। অপেক্ষার এক সীমা থাকা দরকার, তাই গুল্লি মারি হটমেইল বলে ভেগে আসলাম হটমেইল থেকে জিমেলে। আজকাল বিল কোম্পানী অনেক খাটাখাটনি করছে হটমেইলকে মানুষ করতে, প্রথমেই নাম পালটে লাইভ মেইল করে কনফিউজ করার চেষ্টা, তারপরে একগাদা টেকনিকাল ইম্প্রুভমেন্ট। দুদিন আগেই দেখলাম ফ্রি একাউন্টের স্পেস বাড়িয়ে ৫ গিগাবাইট করছে। গেল মেজাজ খারাপ হয়ে।

যখন দরকার ছিল, তখন তো ৫ মেগাবাইট ও দেয় নাই। এখন বিদায় দেয়ায়র পরে যায়গা বাড়িয়ে লাভ কি। ধুত্তোরিকা!!! ফ্রী ইমেইলের জন্য সাবির এমন একটা নাম খুঁজছিলেন যেটির মধ্যে ইন্টারনেটের ব্রাউজারের ভাষা এইচ টি এম এল এই চারটি বর্ণই থাকবে পর্যায়ক্রমে। তাতে বেশকিছু তৎকালীণ মেইল সার্ভারে মেইল পাঠানো সহজ হোত। সেই থেকেই হটমেইল।

______________________________________________________________ আমার আগে দুটো পোস্টে অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন, কেউ হয়তো আপত্তিকর মন্তব্যও করেছেন। যার অনেকগুলোই অনাকাংক্ষিত ছিল। নবাগত ব্লগারদের থেকে আমি হতো এতোটা আশা করিনি। অবশ্য যারা অল্পই দেখেছেন তারা হয়তো জলদি উপসংহারে পৌছাবেন। অনেক পুরনো ব্লগারই আজকাল নতুন নামে লিখছেন, তাদের কেউ অনভিপ্রেত মন্তব্য করলে নিতান্তই দুঃখিত হব।

প্রবাসে থেকে দেশপ্রেমের দাবী করা নিতান্তই বাতুলতা বলেই মনে হয়। তার চেয়ে ঢাকার রাস্তার টোকাইয়ের দেশের প্রতি দাবী অনেক বেশী বলেই আমি মনে করি। কারণ খেয়ে না খেয়ে যেভাবেই হোক নিজের দেশকে যারা ছাড়েনি, দেশ তো তাদেরই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।