সুখের দিনে তোমার কথা ভাবি....দুখের সাথে একলা রয়ে যাই....
অবশেষে তিনি সেলাই শিখিতে বসিলেন। স্বনির্ভর হইবার বড়ই শখ। প্লাস্টিক দিয়া ফুল তৈয়ারী শিখিতে চাহিলে আমি মানা করি। বলিয়াছিলাম যদি শিখিতেই হয় তবে সেলাই শেখো, ভবিষ্যতে কাজে লাগিবে। তিনি সুঁচ সুতা লইয়া কাপড়ে ফুল ফুটাইতে লাগিলেন।
হায় কপাল। আমি জামা, কাপড় সেলাইয়ের কথা বলিয়াছিলাম।
জামা কাপড় সেলাই শিখিতে বলার পিছনে আমার একখানি মহৎ উদ্দেশ্য কাজ করিতেছিল। তিনি ভাবিতে ছিলেন সেলাই করিয়া পয়সা উপার্জন করিবেন। আর আমি ভাবিতেছিলাম বিবাহের পর কি করিয়া আমার উপার্জিত অর্থ বেশিমাত্রায় সংরক্ষন করিতে পারিব।
পোলাপানের কাপড় জামার মূল্য যেই হারে বৃদ্ধি পাইতেছে! যাই হোক তিনি বুঝিলেন এবং মানিলেন। বলিলেন, ঠিক কথা, আমার সালোয়ার কামিজ বানাইতে একশত পঞ্চাশ টাকা মজুরী দিতে হয়। বাঁচিবে।
বাঁচিল, তাহার বাঁচিল আর মরিলাম আমি। অদ্যাবধি যাহা তিনি সেলাই করিয়াছেন তাহার কাঁচামাল সরবরাহ করিতে হইয়াছে আমার।
একদিন টেলিফোনে বলিলেন, শোন তোমার জন্য একখানি পায়জামা কিনিয়াছি। কিন্তু ভুল হ্ইয়া গিয়াছে, পায়জামাটির একখানি পকেট নাই। তিনি কিনিবার সময় লক্ষ করেন নাই। মনে মনে কহিলাম ভালই। পকেটে হাত দিয়া দেখার স্বভাব না থাকাই ভাল।
তিনি আরও বলিলেন, তোমার বড় হইবে মনে হইতেছে, কাটিয়া ছোট করিয়া দিলাম। ভাল কথা।
পায়জামাটি পাইয়াছি। এইখানি পুনরায় পাঠাইয়া হাফপ্যান্ট বানাইতে বলিতে হইবে। ছোট হয়।
পকেট দেখিয়াছি। তিনি সেলাই শিখিয়াছেন তাই পায়জামা কিনিয়া তাহা মজবুত করিবার জন্য পুনরায় সেলাই করিবার সাথে সাথে পকেটখানিও সেলাই করিয়া দিয়াছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।