আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবস্ট্রাকাটিং দ্য ফিল্ড



রাধার প্রেমেও এসেছিল বাধা, সমাজ ও শাস্ত্রের। আর ক্রিকেট খেলা, হোক না তা ভদ্রজনের। প্রতিযোগিতা থাকবে, অথচ বাধা থাকবে না, এমন তো হতে পারে না। ১৯৫১ সালের ওভাল টেস্ট। ইংল্যান্ডের লেন হুটন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাথল রোয়ানের বল স্যুইপ করলে গ্লাভসে লেগে বলটি ব্যাটসম্যানের পেছনে যায়।

হুটন দেখলেন বলটি উইকেটে আঘাত হানছে। এদিকে উইকটে কিপারও ক্যাচ ধরতে এগিয়ে আসেন। হুটন ব্যাট দিয়ে বলে আঘাত হানেন। আঘাত এড়িয়ে কিপার আউটের আবেদন জানালেন। সহযোদ্ধারাও আবেদনে সুর মেলালেন।

আম্পায়ার ডাই ডেভিস নির্দ্বিধায় হুটনকে আউট দেন এবং এরই কেতাবী নাম অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড। ইস! কি গুরুগম্ভীর নাম! আইনে বলা হয়েছে, আবেদন হলে ব্যাটসম্যানদ্বয়ের যে কেউ অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হবেনÑ যদি তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ক্রিয়াকলাপ বা কথার মাধ্যমে মাঠে বিপক্ষ দলের ফিল্ডিংয়ে বাধার সৃষ্টি করেন। তবে প্রতিবন্ধকতা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কিনা, তা মাঠের স্পিকার বা আম্পায়ার মহোদয়ই নির্ধারণ করবেন। অর্থাৎ আবেদন সূচনাবিন্দু আর আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিণতি বিন্দু। ব্যাটসম্যান শুধু তার উইকেট রক্ষার জন্য বলে দুবার আঘাত হানতে পারেন।

এজন্য তিনি হিট দ্য বল টোয়াইস আউট হবেন না। কিন্তু ফিল্ডারদের কেউ ক্যাচ ধরতে ছুটে এলে আম্পায়ার ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় আঘাতকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধরে নিয়েই অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট ঘোষণা দিতে পারেন। ব্যাটসম্যান ও বোলার Ñ দুজনই খবিস, শুদ্ধতম নচ্ছার! ব্যাটসম্যান চান উইকেট আগলাতে, বোলার চান উইকেট খসাতে। আর আইনবিদরা নানা ফ্যাঁকড়া সৃষ্টি করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলেছেন: এটার নামই ক্রিকেট খেলা। আর খেলা বলেই ওতে হার জিত থাকবেই।

তারপরও অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড খারাপ, খুবই খারাপ। অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের আরেকটি বিতর্কিত অথচ শিল্পিত রূপ হতে পারে ম্যাচ ফিক্সিং। তখন এটাকে বলা যেতে পারে অবস্ট্রাকটিং দ্যা গেম। বুকমেকাররা ক্রিকেটারদের নাকের সামনে ডলারের কড়কড়ে নোট ঝুলায়। আর ক্রোনিয়েÑ আজহার-সেলিম মালিক মার্কা গবেটরা বৈশল্যীকরণ পথ্যের মতো ডলার গিলেন।

মাঠে ইচ্ছাকৃত খারাপ খেলেন। ঘন ঘন কাউ শট মারেন। ব্যাস! সহসাই গোল্লায় যান। তারপরও ক্রিকেট মাঠে গড়ায় এবং অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের ঘটনা ঘটে। তবে ভদ্রলোকের খেলা বলে এ ঘটনা অপ্রতুল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.