অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
তথ্য পরিবেশন ও উপস্থাপনের ভঙ্গি বদলে যায় শ্রনীউত্তরণ ঘটলে- আমাদের দেখবার এবং বলবার ধাঁচটা অনেক সময়ই আমাদের শ্রেনী নির্ধারিত একটা বিষয়- মধ্যবিত্ত একজন শিক্ষার্থী যখন কোনো নিবন্ধ লিখে সেখানে যেই আপাত জড়তা কাজ করে সেটা মধ্যবিত্ত উপস্থাপনের জড়তা- এবং তারা নিজস্ব অবস্থান থেকে কিছু পুর্বানুমান থেকেই ঘটনার বিশ্লেষণ শুরু করে বলে তাদের উপলব্ধ সংকটের ধরণ ও সংকটের উত্তরণের পথটা আলাদা-
কিমিয়া মাশুরাত গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের নিয়ে লিখেছে - এটা আমার মধ্যবিত্ত ভাবনার সংকটকে স্পর্শও করে- ন্যুনতম মজুরি, শ্রমের পরিবেশ এবং আইনি সহায়তা বিষয়ক আলোচনায় একটা বিষয় জেনে মর্মাহত হই- প্রাকস্বাধীনতা কালে- ১৯৬৯ ৭০ সালে তৎকালীন সরকার কতৃক নির্ধারিত ন্যুনতম মজুরির যে স্কেল করা হয়েছিলো, বর্তমানের মুদ্রাস্ফ্রীতি- মূল্যস্ফ্রীতি বিবেচনায় আনলে সেই বেতন স্কেলে আজকের দিনে ন্যুনতম মজুরি হতে হয় ৬০০০ টাকার মতো- অথচ আশ্চর্য বিষয় হলো আমাদের সরকারী অনেক কর্মচারীই এই পরিমান বেতন ভাতা পায় না- বেসরকারী কারখানার অনেক শ্রমিক হয়তো মাসে ৪০০০ টাকা পায় এটাও প্রাকস্বাধীনতা কালের নির্ধারিত ন্যুনতম মজুরির দুই তৃতীয়াংশ মাত্র-
আমি জানতে পারি মাতৃত্বকালীন ছুটি না দিয়ে যদি কোনো শ্রমিককে চিরতরে বরখাস্ত করা হয় তবে এর জন্য জরিমানার পরিমাণ ৫০০০ টাকা - সরকার নিয়ম করেছে যদি ৪০ জনেরঊপরে নারী শ্রমিক কাজ করে কোনো গার্মেন্টসে তবে তাদের শিশুদের জন্য একটা শিশুকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে কারখানায়- তাই এখন গর্ভবতী কোনো শ্রমিককে রাখতে চায় না গার্মেন্টস কতৃপক্ষ- তাদের ঝোঁক কুমারি এবং কিশোরীদের প্রতি- অবশ্য আইনগত বাধ্যবাধকতার শিশুকেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত স্থান কারখানার যে কয় বর্গফুট অঞ্চল দখল করবে সেখানে অনায়াসে আরও কয়েকটা ম্যাশিন বসানো সম্ভব তাই ছাঁটাই করে গর্ভবীতী ও সন্তানসম্ভবাদের কুমারি কিশোরি নিয়োগ দাও- এটাই অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভজনক প্রক্রিয়া- মাতৃত্বকালীন ছুটির সাথে ৫০০০ টাকার চেক দঃরিয়ে দিয়ে বরখাস্ত করে দাও শ্রমিককে-
এমন আইন আছে বাংলাদেশ বিমানেও সেখানেও বিমানবালাদের সন্তান নেবার অধিকারের উপর কতৃপক্ষের খবরদারি আছে- এবং সন্তান নেবার অভিযোগে সেখানে বিমানবালাদের বরখাস্ত করা হয়-
কর্মক্ষেত্রে নারীকে যৌন হয়রানির হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য একটা আইনি বিধান আছে- এ আইনে যৌন হয়রানির জন্য ১০০০ টাকা জরিমানা বা ১ মাসের আটকাদেশ কিংবা দুটোই দেওয়ার বিধান আছে-
নারীবাদী বক্তব্যের একটা প্রধান অবস্থান হলো যেকোনো উপায়ে এটাকে প্রমাণের চেষ্টা যে পুরুষের বহুগামীতা এবং নারীর একগামীতা একটা পুঁজিবাদী পুরুষতান্ত্রিক ব্যক্তিমালিকানা সামাজিক কাঠামোর গলদ- তারা নারীবাদিতার বক্তব্যে নারীর যৌনস্বাধীনতার কথা বলে- তারা পুরুষতান্ত্রিক বলে যে বহুগামিতাকে দোষারোপ করছে সেটা আসলে প্রাকৃতিক একটা বিষয়-
"মানুষের বহুগামিতা কিংবা যৌন আসক্তি কোনো সামাজিক কাঠোমোনির্ভর সমস্যা না-" তবে এ কথা নারীবাদীরা সবসময়ই প্রমাণ করতে চায় বিষয়টার ভ্রান্তি উপলব্ধি না করে তারা যে অবস্থানে পৌঁছায় অবশেষে যেকোনো সাধারণ মানুষ এই বহুগামিতার বিপরীতে নারীর একগামিতাকে দাঁড়া করালে ভাবে নারীবাদীরা আসলে নিজেরা বহুগামী হওয়ার রাস্তা খুঁজছে-
তবে এখানে প্রকাশিত সবচেয়ে আপত্তিকর নিবন্ধে লেখিকা ফাল্গুনী মুস্তাফী- তার বক্তব্য এবং তার পূর্বানুমান সবগুলোই নারীবাদের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে- তার বক্তব্য চুড়ান্ত রকমের প্রান্তিক এবং প্রতিক্রিয়াশীল-- এখানে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবি মানুষের ভাবনার সাথে মধ্যবিত্ত সমাজকর্মী বামপন্থীদের চেতনাগত বিভেদটা স্পষ্ট।
শ্রমশোষণ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য মেনে নিতে আপত্তি থাকলেও যুক্তির খাতিরে ধরে নিলেও সমস্যা কাটে না- শিল্প বিপ্লব পরবর্তী সময়ে মানে বিগত ৩০০ বছরের ধারাবাহিকতায় পূঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহনের কথা বিবেচনায় এনে নারীর গার্হ্যস্থ শ্রমকে মর্যাদা প্রদান করে- এটা তার নিবন্ধের এখটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ- প্রশ্নটা স্বভাবতই জাগে এই গৃহিনীদের পারিশ্রমিক দেবে কে?
তিনি আপত্তি জানিয়ে বলেছেন প্রকৃতপক্ষে পূঁজিবাদের উত্থানের পেছনে এই শ্রম আত্মস্যাতের বিষয়টাও জড়িত- এখানে মালিকপক্ষ একজনকে বেতন দিয়ে দু জনের শ্রম শোষণ করছেন-
প্রজনন প্রক্রিয়ার সরাসরি অংশগ্রহন এবং সমাজে শ্রমিকের ক্রমাগত যোগান দেওয়ার তাকে কি হারে পারিশ্রমিক প্রদান করতে হবে? এই পারিশ্রমিক নির্ধারণের ভারটা কার উপরে ন্যাস্ত হবে? এবং এই পারিশ্রমিক আসলে প্রদান করবে কে?
রাষ্ট্রকে এই পারিশ্রমিক প্রদান করতে হবে কারণরাষ্ট্র তার উৎপাদন সহায়ক যন্ত্রেই জন্ম নেওয়া শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়- সেই গৃহীনি স্বামীকে পরিচর্যা করে- মুস্তাফীর দাবি অনুসারে এই কারণেই দিনের একটা ব্যপক সময় ধরে মালিক শ্রমিকের শ্রমশোষণ করতে পারে- তকে এই শ্রমের জন্য প্রস্তুত করে বাইরে পাঠানো, রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নাগরিকদের সক্রিয় তত্ত্বাবধান এবং সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার কাজটার তদারকি করে এবং স্বামীর বিনোদন ও প্রজনন কার্যে সহায়তার জন্য যে যৌনসেবা প্রদান করে গৃহিনী এসবের মজুরি কে দিবে?
তার বক্তব্য যখন মালিকপক্ষকে স্পর্শ করে তখন এর পরবর্তী যৌক্তিক বক্তব্য হতে পারে যে সংস্থায় স্বামী শ্রমদানে নিয়োজিত সে সংস্থাই গৃহিনীর মজুরি প্রদান করবে-
তবে এ সমস্যার কোনো সমাধান তার কাছে নেই- হয়তো সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্র নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলোকে যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণ করবে- তবে সেখানেও স্পষ্ট বলা নেই শ্রমিকের পরিচয় হিসেবে তারা আসলে কোনটাকে সঠিক পরিশ্রম বলতে চান। পুঁজিবাদি ব্যবস্থা মেনে নিয়েছে যা বাজার উৎপাদন ও সেবায় কাজে লাগে সেটাই শ্রম- এটার মূল্য আছে- গার্হস্থ শ্রমকে সমাজতন্ত্র স্বীকৃতি দিয়ে মজুরি প্রদানযোগ্য বিবেচনা করেছে কি না এটা আমার জানা নেই-
তবে রাষ্ট্র গৃহিনীকে ভর্তুকি দিবে এটাকে আমার নিজের যৌক্তিক মনে হয় না- গেরোস্থালি শ্রমের বাজারমূল্য ১১ ট্রিলিয়ন ডলার- এটা জাতিসংঘের হিসাব-
এই অমীমাংসিত একটা অবস্থার পরে গিয়ে তার বক্তব্যের চুড়ান্ত সাধরনীকরণ ঘটে- তার স্বকীয় নারীবাদ সামনে আসে- নিবন্ধটা একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনেকগুলো অসংগতিতে ভাবনা হোঁচট খায়-
তার দাবি অনুসারে গেরোস্থালী শ্রম একঘেয়ে নিরানন্দ- তবে বাটনা বাটা আর কুটনা কাটার পর রেধে বেড়েও অনেকটা উদ্ধৃত সময় থাকে গৃহিনীর তখন গৃহিনীর আসলে কি করে? তবে তার সিদ্ধান্ত এই সময়টাতে গৃহিনী আর যাই করুক না কেনো কোনো সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত থাকে না-
আদিম এবং প্রাক শিল্পবিপ্লব কালে যেখানে অর্থনৈতিক কেন্দ্র কারখানার বদলে পারিবারিক পরিমন্ডলে আবদ্ধ ছিলো তখন একটা আপাত ভারসাম্যমূলক পরিস্থিতি ছিলো - গার্হস্থ শ্রমের পরিচয় বিস্তৃত ছিলো- তবে বুর্জোয়া নারীর গার্হস্থ্য শ্রমের পরিচয় বিস্তৃত নয়-এমন কি গ্রামাঞ্চলের গৃহিনীর তুলনায় তার কাজের পরিসর সংক্ষেপিত-
এইটা একটা পূর্বানুমান এবং এর ফলে গৃহীত সিদ্ধান্ত বুর্জোয়া নারীকে কোনো রকম সৃজনশীলতা রহিত করেছে- তারা অবসর সময়ে তাহলে কি করে কাটায়- অবসাদগ্রস্থতায়? হিন্দি সিরিয়ালের নারী চরিত্রের মতো অবসাদগ্রস্থ, অলস এবং যড়যন্ত্রকারী একটা প্রাককল্পনা চলে আসে বুর্জোয়া নারীর আবহে- তবে কর্মপরিসরের সসীমতা আসলে তাকে কেনো এবং কিভাবে সৃজনশীলতারহিত করে এর কোনো ব্যাখ্যা বা বর্ণনা নেই-
তিনি ইতিহাস বিশ্লেষন করে এটা প্রমাণের চেষ্টা করেন যে পুরুষতান্ত্রিক এবং পুঁজিবাদী কাঠামোতে যে ব্যক্তিমালিকানা বোধের জন্ম হয় সেখানে নারীর যৌনস্বাধীনতার উপর খড়গ নেমে আসে- ব্যক্তি মালিকানা খারাপ, সেটা কতৃত্ববাদী রুপ ধারণ করতেই পারে- তবে সেটা নারীর যৌনস্বাধীনতার জন্য ক্ষতিকারক- এখানে যৌনস্বাধীনতার বক্তব্যটা অস্পষ্ট- বৈধ উত্তরাধিকারি নির্ধারণে সমাজস্বীকৃত একটা বৈবাহিক বন্ধনে উৎপন্ন সন্তানের বৈধ উত্তরাধিকারি বিবেচিত হয়- এবং নারির ভুমিকা এখানে কেবল প্রজনন সহায়ক যন্ত্র হিসেবে- এটা একটা সিদ্ধান্ত বলা যায়- তবে এখানেও নিম্নবিত্ত শ্রমজীবি এবং মধ্যবিত্ত ভাবনা, জীবনযাপন ও রুচি ফারাক স্পষ্ট-
বিবাহ নামক জিনিষটার সামাজিক গুরুত্ব, একগামিতার পীড়ন মধ্যবিত্ত ভাবনার জগতে- নিম্নবিত্ত শ্রমজীবির ভাবনার জগতে এটা প্রকট কোনো ভুমিকা রাখে না- নিম্নবিত্ত মানুষ শরীরবাদী বিশুদ্ধতার যৌন সংস্কার আমলে আনে না প্রায় সময়ই- এটা বাংলাদেশের সমাজে যেমন সত্য একই ভাবে সত্য যেকোনো সমাজব্যাবস্থায়- এবং এসব ক্ষেত্রে যে নারীর যৌন স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো নজিরও নেই- একগামিতা বা বহুগামিতা পূঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার পার্শপ্রতিক্রিয়া নয়-
এবং আমার মনে হয় কোনো সমাজ ব্যবস্থাই অবাধযৌনতা এবং যৌথ যৌনতার ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করবে না- নারী কিংবা পুরুষের যৌন স্বাধীনতার কোনো পূঁজিবাদী পুরুষতান্ত্রিক ভিত্তি নেই- তবে মধ্যবিত্ত নারীর যৌন শোষণের এবং একঘেয়ামির বিষয়টা তার অবকাঠামোগত সামাজিক সংস্কাের অনুগামীতার ফসল।
অন্য একটা পূর্বানুমান হলো যখন বর্তমানের নারীরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান গড়ে নিতে চাইছে- সেখানেও " নারী কাজের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদর্শনে পরিবারের যথাযথ সমর্থন পায় না'
কর্মক্ষেত্রেও নিজস্ব যোগ্যতার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়কে তার বিবেচনায় আনতে হয়- এমনটাই লেখিকার অভিমত- একজন নারীকে তার যোগ্যতা প্রমানে তার পুরুষ সহকর্মীর চেয়ে সৈন্দর্য ফ্যাশন ( নারীসুলভ বিভিন্ন বৈশিষ্ঠ্য) চর্চায় যত্নশীল হতে হয়- এবং এই পূর্বানূমান থেকে তার সিদ্ধান্ত " রূপচর্চার প্রতি এই বিশেষ আগ্রহ তার সৃষ্টিশীল মননকে বিক্ষিত রাখে"
বিজ্ঞাপন ও বিনোদন জগতটা পূঁজির উন্মুক্ত বাজার- তবে লেখিকার চেতনার প্রান্তিকতা তাকে এ বিষয়টা বিশ্লেষনে উগ্রবাদী করে তুলেছে এবং তার বিশ্লেষনে যৌক্তিক এবং ভাববাদী ভাবনার তফাতটা অনুপস্থিত- এই বিশেষ পেশাজীবি শ্রেনী তার ঘৃণ্য যেমন ভাবে এটা ঘৃণ্য ফ্যাসিবাদী ধর্মীয় চেতনাধারীদের কাছে-
তাদের মতোই লেখিকার ধারণা এটা নারীদেহকে পন্য করে গড়ে উঠে একটা বানিজ্য-
পুরুষতান্ত্রিক সৈন্দর্য্চর্চার এবং সৈন্দর্য ধারণা প্রচারে ব্যগ্র এই নারীকূল-
তবে বামপন্থি মেয়েদের ভাবনার বিকারটা স্পষ্ট- তারা অনেক সময়ই অহেতুক ফ্যাসিবাদি আচরণ করে- তবে সবচেয়ে ভয়ংকর সম্মিলন হলো বামপন্থী এবং নারীবাদী সম্মিলন- এরা ভালোবাসাকে যৌনবিকার হিসাবে দেখে- ভালোবাসার কথায় টাদের শাররীক ভঙ্গি হয়ে উঠে এটা জৈবিক চাহিদা পুরণের তাগিদে নারীদের বিশেষ ভাবালুতা-
তারা রূপচর্চকারী মেয়েদের অহেতুক প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলে- রূপচর্চা আসলে একটা পুরুষ পটানো কৌশল- পুরুষতান্ত্রিক সৈন্দর্যবোধের নির্মিত কাঠামোর বাইরে গিয়ে প্রসাধন ও পরিচর্যাহীন জীবনযাপনের শুঁচিবাই হয় তাদের-
তবে রুপচর্চাকে নিয়ে এই সংকট আসলে যৌক্তিক ভাবেই অসাড়- পুরুষকে প্রলুব্ধ করতে চাওয়া, ভালোবাসার কামনা- কিংবা সামাজিক বন্ধনের প্রতি লোভ এবং স্বার্থান্ধতার মতো মানবিক দুর্বলতাগুলো সমাজকাঠামো নিরপেক্ষ-
আষদিম সমাজেও নারীরা যোগ্য শিকারীদের পছন্দ করতো- এর পেছনে হয়তো কাজ করতো খাদ্যের অপ্রতুল যোগান-
তবে নারীর মতো পুরুষও সৈন্দর্য সচেতন সত্ত্বা এবং পুরুষও প্রসাধন করে- এবং এটা অতীতেও যেমন সত্য ছিলো এখনও সত্য-
এই শিল্পবিপ্লব পরবর্তী সময়েও এমন অনেক জনগোষ্ঠি বিদ্যমান যাদের জীবনে এখনও পূঁজীবাদের নষ্ট হাওয়া লাগে নি- এইসব আদিবাসী মানুষের জীবনে এখনও রূপচর্চা কিংবা সৈন্দর্য সচেতনতা উপস্থিত- এমন কি সাঁওতাল রমনী বা সাঁওতাল কিশোরী যা বাংলাদেশের প্রচলিত রং উজ্জলকারী মলমের প্রয়োজন বোধ করে না- তারা তাদের নিজস্ব সামাজিক যৌনাকর্ষণের জায়গাটাকে স্পষ্ট চিহ্নিত করতে পেরেছে- তারা সে কাঠামোর ভেতরে থেকেও রুপচর্চা করছে- লেখিকার দাবি হতে পারে এটাও পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা- তবে শ্রমজীবি মানুষের রুপচর্চার প্রতি বিশেষ ন্যস্ততা কি তাদের পুরুষতন্ত্রের সহযোগী চিহ্নিত করে- এমন ভাবেই নারী বাদী এই নিবন্ধ প্রায় অধিকাংশ নারীকেই তার প্রতিপক্ষ বানিয়ে রাখে-
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।