বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
কলেজে পড়তে এসে পরিচয় হয়েছিল খবই আধুনিক ধ্যানধারনার একজন ম্যাডামের সঙ্গে। নিতেন বাংলা ক্লাস। বাংলা সাহিত্যের ক্লাস যে কত মজার হতে পারে তার কাছেই শিখেছিলাম। দিনে দিনে ক্লাসে ম্যাডামের প্রিয় ছাত্র হয়ে উঠলাম আমি। ক্লাসের বাইরেও সাহিত্যের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতাম আমরা।
থিয়েটার, বেইলি রোড, উপন্যাসের ধারা -অনেক বিষয় নিয়েই কথা হতো তখন। গ্রাম থেকে আসা এই আমি অবাক বিষ্ময়ে ম্যাডামের কথা শুনতাম কেবল।
উপন্যাস হিসেবে আমাদের পাঠ্য ছিল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝি। উপন্যাস পড়াতে গিয়েই ম্যাডাম উপন্যাসের অনেক রকম ধারার কথা বর্ননা করেছিলেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো বেশ কয়েকটি উপন্যাসের কথা ম্যাডাম বলেছিলেন।
এর মধ্যে ম্যাডাম বলেছিলেন পারলে যোগাড় করে চিহ্ন উপন্যাসটা পড়তে।
সেই থেকে চিহ্ন উপন্যাসটি আমি অনেক খুজেছি। কিন্তু অনেক খুজেও পাই নি। গতকাল নীলক্ষেতে গিয়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের খোজ পেলাম। ভিতরে উল্টিয়ে দেখলাম চিহ্ন উপন্যাসটা আছে।
কিনে ফেললাম উপন্যাস সংকলন। বাসায় এসে একটানা পড়ে ফেললার চিহ্ন উপন্যাসটি।
অনেক অনেক ভালো লেগেছে। সেই কলেজ জীবনের প্রথম বর্ষের ম্যাডামের ক্লাসের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।