সযতনে খেয়ালী!
সচলায়তনকে সামহোয়্যারের বিকল্প কেনো ভাবা হচ্ছে সেটা বুঝা যাচ্ছে না আপাতত।
সামহোয়্যারে লেখার পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগস্পটে অনেকেই ব্লগিং করেছেন, এখানকার সব লেখাই কিন্তু সেখানে যায়নি কিংবা ভাইসা ভার্সা। তো এখন কি আমরা কাছা বেধে ব্লগস্পট আর ওয়ার্ডপ্রেসের পিছনে লেগে যাবো তাদের বংশোদ্ধারে?
সামহোয়্যার শুরু করেছে, সেই পথে অনেকেই হাঁটবে। সচলায়তনও তাই। সচলায়তন কখনোই সামহোয়্যারের অবদান অস্বীকার করে না, করবেও না।
অনুপ্রেরণা এসেছে সামহোয়্যার থেকেই, আজকে যারা এক শামিয়ানার নিচে আসীন হয়েছেন তাদের একে অপরকে জানাও হয়েছে সামহোয়্যারের কল্যানেই। সামহোয়্যার গ্রুপ ব্লগিং শুরু করার কথা বলেছে অনেক আগে থেকে, সচলায়তন অনেকটা সেই রকম। ওখানে আপাতত তারাই আছে যারা গ্রুপ ব্লগিং শুরু হলেও এক গ্রুপে থাকতো। তো এটা নিয়ে কিছু লোকের গাত্রদাহের কারণটা বুঝা যাচ্ছে না।
সচলায়তন মূলত কোন কম্যুনিটি ব্লগিং সাইট নয়, 'অনলাইন রাইটার্স কম্যুনিটি' নামটাই বোধহয় ভালো যায় সাচলায়তনের পাশে।
ইয়াহু গ্রুপ নিয়েতো কেউ কিছু বলেছে বলে মনে পড়ে না, কিংবা অনলাইন ম্যাগাজিন বীক্ষণ, হাজারদুয়ারী, জন্মযুদ্ধ- কই এগুলোতেও তো লেখা হয়, এগুলো নিয়ে তো কেউ সরাসরি নেতিবাচক কোন অঙ্গুলী হেলন করেছে বলে মনে পড়ছে না। এখন সচলায়তনে যদি বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপের মতোই খানিকটা ব্যবহার-বান্ধব উপায়ে আলাপ-আলোচনা চলে, তাহলে লোকজন কেন বিরূপ আচরণ করবেন?
যেকোন অনলাইন গ্রুপেই আপনাকে নেয়া হবে এরকম আশাটা বোধহয় করতে পারেন না আপনি যদিনা চুড়ান্ত রকমের বুকের পাটাধারী বোকা হন। সচলায়তনে সাইনআপ করেছেন, এক্টিভেট হতে পারেননি বলে "অচলায়তন", "ভন্ডায়তন", "পিঠ চুলকানির বৈঠখানা" নাম দিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে কি মনে হয় না আপনাদেরকে এক্টিভেট না করে সচলায়তন দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছে! মনেহয় না সচলায়তন কলুষিত হবার হাত থেকে বেঁচে গেলো এ যাত্রা!
আমি সাধারণ নগণ্য মানুষ, বুকের পাটাও ছোটখাটো। ইয়াছীন সূরা তাবিজে পুরে গলায় বাঁধা নেই, নামের মাঝেও সেরকম কিছু নেই। তবে ছোট বেলায় মা ইয়াছীন সূরা পড়ে বুকে ফুঁ দিতেন বলেই বোধহয় সাহস নামক জিনিষের কিঞ্চিত অস্তিত্ব বিদ্যমান আছে।
তবে সেটা দু:সাহসের পর্যায়ে নেই বলেই খাপছাড়া, লাগামহীন, পুরা ফাউল কথাবার্তা, আমি কি হনুরে টাইপের বাগাড়ম্বরতা আমার মানায় না। লো-প্রোফাইল হয়ে থাকতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ লাগে যেকোন আলগা বাহাদুরীর দেখানোর চাইতে।
সচলায়তনকে হেয় করার জন্য ইমেইল আইডি খোলা হয়েছে। সচলায়তনকে যারা নিজের হাতে একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন তাদের মাঝে কেউ এ কাজটা করেন নি, সচলায়তনের 'সচল'রাও না। তাহলে কে বা কারা করেছেন? কেন করেছেন ভাই? হীনমন্যতা থেকে নাকি নিজের 'নামা শালাকে টেনে নামা' পরিচয় দেবার জন্য।
ক'জন কে মেইল করেছেন আর কী-ইবা লিখেছেন সেটা জানার আর ইচ্ছে করলো না। শুধু যে খুললেন, তাকে ঘৃণাভরে একটা 'ছি:' উপহার দিলাম।
পরশুদিন ত্রিভুজ ওরফে শামীম সাহেব দেখলাম বেশ উঁচু গলায়ই বলছিল মাহবুব মুর্শেদকে নিজেদের সাইট ছেড়ে এখানে কেন মরতে এসেছে। টেকনিক্যালী কথাটা সিরিয়াসলী নেবার কিছু নেই বক্তার কারণেই। কিন্তু কিছু এনেকডোট যদি একের পর এক সাজানো হয় তাহলে খানিকটা দায়িত্ব পড়ে যায় এমনতর উক্তির পেছনে।
এবং সেই দায়িত্বের খড়গ তখন থাকে সামহোয়্যারের কর্তাব্যক্তিদের দিকে। তাহলে কি তারা ত্রিভুজ তথা শামীম সাহেবকে নিযুক্ত করেছেন সাইটের দেখভালের জন্য! এ আমি বিশ্বাস করতে চাই না।
চাইনা এজন্য যে, সচলায়তনের জন্মলগ্ন থেকে ওয়াকিবহাল থাকা সত্বেও সামহোয়্যারকে ছেড়ে দেবার ঘোষনা কখনোই দেইনি। কিন্তু প্রিয় সামহোয়্যার যদি শামীমের দ্বারা রি-প্রেজেন্টেড হয় তাহলে কষ্টের পরিমান কতোটা সেটা হয়তো ভুক্তভূগী মাত্রই জানবেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।