আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষমতা-কুরসির নিঙ্গুরে বাঁধা প্রফেশন যেভাবে প্রফেশনালিজমকে গিলে খায়...

'... আমাদের আশার কোনো পরকাল নাই'

শিরোনাম লিখতে গিয়ে ৫ মিনিট সময় নিতে হলো। বিষয়টা এমন নয় যে, খুব ভেবে চিন্তে ভীষণ জটিল একখানা বাক্য শিরোনামে নামানোর জন্য এ অবস্থা। তাহলে বিষয়টা কী? আমার শরীর জুড়ে অবসন্নতার ছোঁয়া। কী কারণে? বিষয়টা তো এমন নয় যে, ঘুম-বিশ্রাম না থাকায় এই হাল। পর্যাপ্ত ঘুম হয়েছে, বিশ্রামও যতোটুকু নেয়ার হয়েছেই।

তবু অবসন্নতা, বিষণ্ণতা। মনে হচ্ছে, অনেক হয়েছে; এবার ঘুমিয়ে পড়ি। নাহলে পালিয়ে যাই। আমি অবসন্ন অন্য কারণে। চোখের সামনে ক্ষমতা-কুরসির সঙ্গে বাঁধা আমাদের সাংবাদিকতা প্রফেশনটা কীভাবে প্রফেশনালিজমকে গিলে খেয়ে ফেলছে, কীভাবে বদহজম করে গুহ্যদ্বার দিয়ে বের করে দিচ্ছে- তা দেখে আমি পরিশ্রান্ত বোধ করছি ভীষণ রকম।

এইতো ক'দিন আগে থেকে সম্মানজনক সম্মানির ব্যবস্থা করে জাতে তোলা (অনেকে বলেন, কালো টাকার ফলে) সাংবাদিকতা প্রফেশনটি হঠাৎ করেই যে এমন হয়ে বসে আছে, তেমনটি বলতে চাই না। সেই পাকিস্তান আমল থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলো ক্ষমতার খেলা খেলেছে। সেই হিসেবে আমরা সাংবাদিকরা একেকজন মসনদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে নিয়ে খেলতে থাকা একেকজন পাকা খেলুড়ে। দৈনিক সংগ্রামের যে খেলুড়ে সাংবাদিক বন্ধুরা সেই সময় (১৯৭১) পাকিস্তানের নাম জপেছেন, তারাও তো সাংবাদিক! কাজেই সাংবাদিকদের জাত-পাত নিয়ে প্রশ্ন তোলা সত্যিই দুরূহ। কিছুটা সাহসের কাজও বটে।

পাছার পেছনে একবার লেগে পড়লেই হয়েছে। লিখতে লিখতে কলম, কম্পিউটার, কাগজ সব ক্ষয় করে ফেলবো তবুও একবার যখন আপনার পাছার পেছনে লেগেছি, তখন আপনার গু আর মুত এক ছিদ্র দিয়ে বের না করে ছাড়বো না। কারণ একটাই আমি যে সাংবাদিক! এসবের প্রয়োজনে আমাকে লিয়াজোঁ অফিসারের ভূমিকা পালন করতে হলেও করবো। সব শালাদের দুর্নীতি থাকবে, আর আমি ওই শালাদের সঙ্গে সময় মতো ভিড়ে গিয়ে কিছু কামাইনি, এমন বোকাচোদা হলে কি আর মানুষ আমাকে সাংঘাতিক বলতে পারে!? দুনিয়াশুদ্ধ এমন কোনো চোদনার পোলা আছে, যে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারবে, আমার এতো চেকনাই বড়ি, চকচকে জামা-জুতার রহস্য কী? যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তাহলেই হয়েছে! আমি বড় সাংবাদিক। কাজেই আমার ভাই আকাম-কুকাম করলেও দীর্ঘদিন পর এলাকায় ঢুকলে তাকে ফুলের তোড়া দেওয়ার ছবি ৪ কলামে ছাপা চাই-ই চাই।

কাজেই এসব নিয়ে খামাখা পেরেশানিতে ভোগার দরকার নাই। ছয় বছরে পণ্যের দাম বেড়েছে, বেতন বাড়ার হার শুনলে কুকুরও মুততে ভুলে যায়। যাদের ঘাম আর শ্রম দিয়ে পত্রিকা চলে তাদের বেতন বাড়ে না বছরের পর বছর, অনেক হাউসে ক্ষমতাবান সাংবাদিকদের বেতন বাড়ে, চাইকি প্রমোশনও হয়। এসবের জন্য ক্ষমতার প্রয়োজন, ক্ষমতার জন্য প্রয়োজন কন্সপিরেসি। চলবে, সবই চলছে, চলবে।

প্রবল বিপ্লবী পত্রিকার সম্পাদককেও দেখেছি, ক্ষমতার আঁচলের তলে মুখ লুকাতে। আমাদের আরেকটি সুবিধা হলো, আমরা আকাম যা করি তার পক্ষেও ব্যাপক আকারে যুক্তি তুলে ধরতে পারি। কাজেই এভাবে যখন ক্ষমতা-কুরসি প্রফেশনালিজমের গোয়া মারে, তখন আমরা তার পক্ষেও যুক্তি দেখাবো। দেখাবোই! (এই লেখাটিতে ব্যবহৃত চরিত্র ও প্রফেশন সবই লেখকের কাল্পনিক। এগুলো যদি কারো সঙ্গে মিলে যায় তবে সেটি হবে অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র।

)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।