যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মুসলমানদের ইচ্ছে অনুযায়ী অন্যান্য মতবিশ্বাসীদের চলতে হবে। কিছু কিছু ধর্মবিশ্বাসীর উচ্ছাস এমনই। হয়তো বিশ্বাসই করতে চায় না নাইট কোন মুসলমানের উপাধী নয়, তাদের কাছে এটা বোধকরি নবী করিম সাঃ এর প্রবর্তিত কোন উপাধী, যার প্রাপ্তিতে মুসলিম হিসাবে তার মর্যাদা উন্নত হয়। এসমস্ত উগ্র মুসলিম জাতীয়তাবাদীরা সমস্ত বিশ্বের মুসলিমদের এক ভাবার অলীক জগতে বিচরণ করার এমন কিছু উপলক্ষ পেয়ে আর স্থির থাকতে পারে না। মেলোড্রামাটিক বক্তব্য আর সুড়সুড়ি দিয়ে বিশাল একটা জনগোষ্ঠিকে আলোড়িত করা, মুসলিম হিসাবে তাদের অবস্থান ধর্মভীরুদের চোখে আরো এক ধাপ বাড়িয়ে নেয়া ছাড়া এর কোন দীর্ঘমেয়াদী লাভ লোকসানের গণিত করার সাধ্য নেই সেসমস্ত বধিরদের।
সালমান রুশদীর নাইটহুড উপাধী প্রাপ্তিতে উগ্রবাদী মুসলিমরা অনেক দিন পরে নড়েচড়ে বসেছে। বিশ্বব্যবস্থায় মার্কিন একচলায়তন থেকে বের হতে কোন যৌক্তিক ও কার্যকরী মেরুকরণ অন্বেষণ না করে বিশ্বাস নির্ভর একটা মেরু তৈরী সাম্রাজ্যবাদকে সবসময় সুবিধা দিয়ে এসেছে, একধরণের পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে। যেখানে আমরা বিশ্বাস নিয়ে শ্রেনীবদ্ধ হয়ে থাকি সেখানে তারা ট্রেড নিয়ে ওয়ান ওয়ে এক্সেস খুঁজে পায়। পশ্চিমাদের জন্য আমাদের বাজার উন্মুক্ত থাকবে আর আমাদের জন্য তাদের বাজার শৃংখলিত। বৈশ্বিক এই রাজনীতিতে বিশ্বাস নির্ভর এমন মুখরোচক গল্প ও জনসমর্থন তৈরী করে উগ্র ও নির্বোধ কিছু মুসলিমদের দৃষ্টি সরিয়ে রাখা যায়।
বিশ্বের সব মুসলিমদের এক ভাবার কোন কারণ থাকতেই পারে না। সবচেয়ে জঘন্য হচ্ছে ইরান যখন বিশ্বের আর সব মুসলিমদের সাথে নিজেদের এক মনে করে। রাষ্ট্র, অর্থনীতি আর সংস্কৃতির বিভিন্নতা অস্বীকারের বায়বীয় এই প্রচেষ্টা যে কেবলমাত্র ভাবমুর্তি প্রতীষ্ঠার উদ্দেশ্যমূলক প্রয়াস - তা ক্রমশ মুসলিমরা বুঝতে পারছে, সামনের দিনগুলোতে আরো স্পষ্ট হবে। সেদিন আর বাগড়ম্বর করে বলতে পারবে না, বিশ্বের সব মুসলিম আহত হয়েছে, একজন অমুসলিমের অমুসলিম খেতাব অর্জনে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।