ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে
ইন্ডিয়াতে সম্প্রতি যে গণধর্ষণ ও মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়, সেই তরুণী ও তার বন্ধু যে সিনেমা দেখে বাসায় ফেরার সময় সেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, সেটি ছিলো লাইফ অব পাই । ইশ্বর আছে কিনা--সেই চিরন্তন প্রশ্নের উত্তর মুভিটির মূল উপপাদ্য হলেও কাহিনী, স্পেশাল ইফেক্ট, মিউজিক আর দৃশ্যায়ন মিলে এটি অভিনব এক সিনেমা। তাইওয়ানের পরিচালক আ্যং লিকে সবাই চেনার কথা তার অস্কার জেতা ক্রাউনচিং টাইগার ও হিডেন ড্রাগন সিনেমার জন্য। সেই কুশলী পরিচালক, সাথে ইন্ডিয়ান কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী মিলে এই চমৎকার মুভি।
Piscine Molitor(Pi) Patel এর কৈশোরের কাহিনী নিয়ে এই মুভি।
ইন্ডিয়াতে বোটানিক্যাল গার্ডেন লিজ নিয়ে তার বাবা চালাতো একটি চিড়িয়াখানা। অন্য অনেক প্রাণীর সাথে সেখানে ছিলো 'রিচার্ড পার্কার' নামে এক রয়েল বেঙ্গল টাইগারও। পাই প্যাটেল এর বাবা আরো উন্নত জীবনের আশায় কানাডায় পাড়ী জমানোর সিদ্ধান্ত নেন। সব প্রাণী বি্ক্রি করে দেন আমেরিকার কয়েকটি চিড়িয়াখানায়। জাপানী এক জাহাজে প্রাণী সহ সপরিবারে তারা রওয়ানা দেন।
পথিমধ্যে হয় জাহাজডুবি। পাই আশ্রয় নেয় এক লাইফবোটে। সেই বোটে আরো প্রাণীর সাথে আশ্রয় নেয় রিচার্ড পার্কার। পাই এর বেচেঁ থাকার সংগ্রাম নিয়ে এই সিনেমা।
মুভিটিতে ঘুরে ফিরে ধর্মীয় কিছু বিষয় এসেছে।
হিন্দু দেবতা বিষ্ণু ঘুরে ফিরে এসেছে নানান জায়গায়। এসেছে ইসলাম ধর্ম, খৃষ্টীন ধর্ম ও ইহুদী ধর্মের কথাও।
আ্যডভেন্চার-ড্রামা জেনারের এই মুভিটির সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারাণ। স্পেশাল এফেক্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দূর্দান্ত সব সিন। পাই এর কৈশোর চরিত্রে সুরজ শর্মা অত্যন্ত প্রাণবন্ত অভিনয় করেছেন।
পাই এর বড় চরিত্রে ইরফান খান ছিলো অত্যন্ত শক্তিশালী।
ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক [৪৫৫ মেগা]
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক [৭৫০ মেগা]
কিছু তথ্যঃ
১. মুভিটি থ্রিডিতে তৈরি হয়েছে। থ্রিডি ভার্সণটা যারা দেখেছে তারা মোটামুটি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেছে।
২. মূল গল্পটির লেখক ইয়ান মার্টেল। তার লেখা বইটি বেস্ট সেলিং এর মর্যাদা পেয়েছিলো।
৩. মুভিটি ১১টি অস্কারে জন্য মনোনয়ন পেয়েছে। আইএমডিবির টপ রেংকিং এ ১৭৯ অবস্হানে আছে এটি। রেটিং ৮.৩। মেটাস্কোর ৭৯।
শেষ করছি এক আমেরিকান পাই এর ছবি দিয়ে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।