দুব্বা বিছানো চিকন কাঁচা রাস্তা। রাস্তা থেকে উঠান কিছুটা উঁচু। উঠান থেকে ঘর আরো উচুঁ। মাটির সিড়ি হয়ে ঘরে ঢুকতে হয়। বেড়ার ঘর।
চৌকাঠে বসে আছে নয় বছরের মনোয়ার। সবার মইন্না ভাই । মনোয়ারের নাম ঘুরিয়ে সবাই ডাকে মইন্না। ওর ছোট ভাই আনোয়ারের নাম ঘুরিয়ে আনাইরা। মাঝে মাঝে জানোয়ার।
আনোয়ার কিছু বলে না। কিন্তু মনোয়ার ক্ষেপে যায়। তাই গ্রামের ছেলেপুলেরা মনোয়ারকে সন্তুষ্ট করতে নামের সাথে ভাই যুক্ত করেছে। সেই থেকে ওর নাম ‘মইন্না বাই। ’
মইন্না ভাইয়ের কালো গালের খানিকটা পর্বত চূড়ার মতো উঁচু হয়ে আছে।
উঁচু জায়গাটার চারিদিকে চুন দেয়া। মৌমাছি গালে হুল ঢুকিয়ে দিয়েছে। সে হুল এখনও বের হয়নি। হুল বের করতে চলছে চুন চিকিৎসা। একারনে মইন্না ভাই কয়েকদিন ধরে বাসা থেকে বের হতে পারে না।
বের হলে ওকে আবার মৌমাছি ধরে কিনা এ আশঙ্কায় ওর মা বের হতে দেয় না। ছোট ভাই আনোয়ারকে দিয়ে ও খালাত ভাই বোনদের খবর পাঠিয়েছে। ওকে বের করার ব্যবস্থা করতে।
‘তরা কেল্লেইগা আইছস?’
‘খালা মইন্না বাইরে লইয়া যাই? আমরা জোলাবাত্তি খেলমু। ’
‘না নেওন লাগদো না।
ওয় বাইত থাকুক। ওর বল্লা রাশি। কোনহানে গেলেই ওরে বল্লায় কামরায়। গেছে সাপ্তায় কামরাইলো মাতায়। এই সাপ্তায় গালে।
দেহস না গালে চুন দিয়া রাখছি। ’
‘খালা আমরা দূরে যাইতাম না। এই কাছেই খেলমু। দইনচা গাছের নিচে। ওহেনে বল্লা নাই।
’ শুভ বলল।
শুভ বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বেড়াতে এসেছে ওর জ্যাঠাত বোন রিনাদের বাসায়। ও ক্লাস থ্রীতে পড়ে। মইন্না ভাই রিনার খালাতো ভাই। শুভ ভালো ছাত্র।
তাই রিনার খালাও শুভকে অনেক আদর করে। শুভর কথায় মন গলল খালার।
‘আইচ্ছা যা। দইনচা গাছের নিচে গিয়া খেল। বেশি দূর যাবি না।
’ খালা মইন্না ভাইকে ধইনচা তলায় বনভোজন খেলতে যাওয়ার অনুমতি দিলেন।
বাসার সীমানা পর্যন্ত মইন্না ভাই গম্ভীর হয়ে হাঁটলো। যেন ওর বয়স নয় বছর না বিশ বছর। ওর সাথে রিনা, মিনা, রিতা, শুভ, আনোয়ার। সবাই ওর ছোট।
বাড়ির সীমানা পাড় হতেই মইন্না ভাইয়ের অন্যরূপ। এক দৌড়ে চলে গেলো ধইনচা তলায়। পেছন পেছন অন্যরা। রিনাকে এটেল মাটি খুঁড়ে দিলো মইন্না ভাই। চুলা বানাতে হবে দ্রুত।
দেরী করলে চলবে না। রিনাদের বাসায়ই অনেক পাটখড়ি। পাটখড়ি আনতে পাঠালো রিনার ছোট দুই বোন মীনা আর রিতাকে।
‘আনাইরা যা আমাগো বাইত গিয়া এক চালনি চাইল লইয়া আয়। ’
‘আমি কেমতে আনমু? মায় ফাডাইয়া লাইবো।
’
‘তুমি গাদার মতন মা’র সামনে দিয়া চাইল আনবা কে?’
‘তয় কেমতে আনমু?’
‘বাইত গিয়া কতক্ষন গোরাগুরি করবি। মায় কলতলায় গেলে চাইল লইয়া আইয়া পড়বি। ’
‘আইচ্ছা ঠিক আছে। ’
‘শুভ তুই চল আমার লগে। বাজার কইরা লইয়া আয়িগা।
’
‘চলেন। ’
মইন্না ভাইয়ের বাবার নাম মহি মিয়া। বৌবাজারে তার তরকারির দোকান। তরকারি কিনতে তাই মইন্না ভাইয়ের টাকা লাগবে না।
কিন্তু মইন্না ভাই বাজারের দিকে গেলেন না।
যেতে লাগলেন গাঙের দিকে।
মইন্না ভাই গাঙের দিকে দেহি যাইতাছেন?
‘হ,তয় কি বাজারথে গিয়া বাজার করমু? আমগো পিচ্চি পোলাপাইনের বাজার অইলো নদীর পাড়ে। আল্লায় বানায় রাখছে। পিচ্চি পোলাপাইনে যাতে পাতার টেকা দিয়া কিনতে পারে। ’
‘পাতার টেকা কো?’
‘অহন পকেটে নাই।
পকেট খালি। সামনে গিয়া লইতে অইবো। ’
কিছুক্ষন হাটার পর ওরা একটা আম গাছের নিচে এসে থামলো। আম গাছের নিচে কাঁচা ও শুকনো দু’ধরনের অনেক পাতা পড়ে আছে। বেশ কিছু আমও পড়ে আছে।
‘এই আম কেউ খায় না?’
‘জঙ্গইল্লা পাইনসা আম। কে খাইবো? পইরা পইরা পঁচে। নে পকেট ভইরা টেকা ল। ’
মইন্না ভাই শুকনো আম পাতা সুন্দরভাবে ভাঁজ করে পকেট ভর্তী করলো। ওর দেখাদেখি শুভও পকেট ভরে শুকনো আম পাতা নিলো।
ওদের টাকা।
কাশিপুর গ্রামের পর ইট বিছানো রাস্তা। ইট বিছানো রাস্তার পর ঢালু হয়ে মাটি নেমে গেছে নদী পর্যন্ত। নদীর পাড়ে নানারকম গাছ। ঝোপঝাড়।
জঙ্গল।
নদীর পার ধরে কিছুক্ষন হাটার পর একটা উঁচু বকুল গাছের নিচে এসে থামলো মইন্না ভাই। বকুল গাছের পরে দু’টো মান্দার গাছ। একটা আমরুজ গাছ। সবকটা গাছ জড়িয়ে আছে লতাপাতার জঙ্গল।
লতাপাতার ফাঁকে ফাঁকে ধুন্দল ফুল ফুটে আছে।
মইন্না ভাই গুনে গুনে দশটি আমপাতা রাখলো বকুল গাছের তলায়। গাছের কাছ থেকে ফল নিবে। তাই তাকে দাম দেয়া।
‘আয় একটা জিনিস দেহাই।
এমুন জিনিস জীবনে দেহস নাই। মইন্না ভাই তরতর করে উঠে গেলো গাছের উপরে। লতাপাতার জঙ্গলে তাকে আর দেখা যাচ্ছেনা।
শুভ শহরে থাকে। গাছে ওঠায় পাকা না।
তারপরেও কষ্ট টষ্ট করে ও উঠে গেলো উপরে। উপরে উঠে ও অবাক। মইন্না ভাই শুয়ে আছে লতাপাতার উপর। লতার জঙ্গলের উপর শুকনো পাতা পড়ে মোটা বিছানার মতো তৈরী হয়েছে। মইন্না ভাই সেখানে শুয়ে আছে।
শুভ’র দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে।
‘এই জায়গা খুইজ্জা পাইলা কেমনে?’
‘পাইছি। অনেক দিন আগে একবার আইছিলাম। পাতা পইরা জায়গাটা অনেক পোক্ত হইছে। তুই গেঞ্জি পাত।
আমি ধুন্দুল দেই। ’
শুভ গেঞ্জির নিচের অংশ ছড়িয়ে ধরলো। মইন্না ভাই শুয়ে শুয়েই চারদিক থেকে কয়েকটা ধুন্দুল,ধুন্দুলের ফুল ছিড়ে ফেললো শুভ’র গেঞ্জিতে। এরপর উঠে দাড়ালো।
‘তুই এনে খাড়া।
পোটল অইছে আরো উপরে। আমি লইয়া আইতাছি। ’
‘আইচ্ছা। ’
মইন্না ভাই গাছ বেয়ে আরো উপরে উঠে গেলো। উপরেও গাছগুলিকে ঘিরে রেখেছে লতানো নানা ধরনের গাছ।
মইন্না ভাইয়ের নড়াচড়া বোঝা যাচ্ছে। তাকে দেখা যাচ্ছে না।
একটু পর তাকে দেখা গেলো।
‘শুভ নে। ’
মইন্না ভাই একটা একটা করে পোটল ছুঁড়তে লাগলেন শুভর কোচরের দিকে।
একটাও মিস হলো না। সব এসে ঠিক ঠিক কোচরে জায়গা করে নিলো।
‘মইন্না ভাই কোছরা তো ভইরা গেছে। ’
‘যা এটি থুইয়া আয়। থুইয়া আইয়া আমারে গাছের নিচেরথে ডাক দিছ।
উপরে আয়োন লাগদো না। ’
‘আইচ্ছা। ’
শুভ কোচরভর্তী পোটল,ধুন্দল আর ধুন্দল ফুল নিয়ে নেমে এলো নিচে। হাঁটতে লাগলো ধইনচা তলার দিকে। আসার সময় জায়গাটা এতো দূরে মনে হয়নি।
তখন মইন্না ভাই সাথে ছিলো। তার কান্ডকারখানা দেখতে দেখতে চলে এসেছে। এখন মনে হচ্ছে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলো।
রিনা আপা চুলা বানিয়ে ভাত চড়িয়ে দিয়েছেন। ও পোটল, ধুন্দল নিয়ে দিতেই মিনা আপা বসে গেলেন এগুলি কাটাকুটি করতে।
আনোয়ার বাসা থেকে চাল চুরি করে এনেছে। সাথে এনেছে তেল,মরিচ,লবন। হাড়ি-পাতিল এনেছে রিনা-মিনা আপারা।
‘ভাতে লবন দিছনি?’ শুভ জিজ্ঞেস করলো।
‘ভাতে লবন দেওন লাগে না।
ছাগল। ’
শুভ সাথে সাথে মুখ ঘুরিয়ে দূরের কলাগাছের ঝাড় দেখতে লাগলো। যেন গালিটা অন্য কাউকে দেয়া হয়েছে।
‘এই কয়টা পোটলে কাম আইতো না। আরো পোটল লইয়া আয়।
’ শুভ’র দিকে তাকিয়ে বলল মিনা।
‘আইচ্ছা যাইতাছি। ’ উঠে দাড়ালো শুভ। হাঁটতে হাঁটতে যেতে লাগলো নদীর পাড়ে।
নদীর পাড় ঘেষে অনেক প্যালা গোটার গাছ।
কোনটা কালচে কোনটা খয়েরী। যেতে যেতে মইন্না ভাই অনেক প্যালাগোটা খেয়েছে। শুভ ভয়ে খায়নি। ওর মা বলেছে এগুলি খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায়। এখন খুব খেতে ইচ্ছে করছে।
শুভ ভয়ে ভয়ে একটা কালচে খয়েরী রঙের প্যালাগোটা খেলো। ভালই-তো। বেশ রসালো। আরেকটা খেলো। নাহ, ভালোই লাগছে।
,যেতে যেতে অনেক প্যালাগোটা খেয়ে ফেললো শুভ।
শেষে এসে দাড়ালো বকুল গাছটার নিচে। উপরে লতাপাতার জঙ্গল।
‘মইন্না বাই আমি নিচে। আরো পোটল লাগবো।
’
কিছুক্ষন অপেক্ষা করলো। মইন্না ভাইয়ের কোন সাড়াশব্দ নেই।
‘মইন্না বাই কই তুমি? আমি নিচে খাড়াইয়া রইছি। ’
কোন সাড়াশব্দ নেই। উপরে কোন নড়াচড়া নেই।
ঘুমিয়ে গেলো নাকি? লতাপাতার বিছানায় আরামে ঘুমিয়ে যাওয়া মইন্না ভাইয়ের জন্য কোন ব্যাপার না।
শুভ কষ্ট করে গাছে উঠলো। না। বিছানায় মইন্না ভাই নেই। এখান থেকে গলা ফাটিয়ে আরো দুই তিনবার ডাকলো।
‘মইন্না বাই। ’
কোন সাড়াশব্দ পাওয়া গেলো না। ওর ডাক ওর কাছেই ফিরে এলো। একটা মৌমাছি এসে ওর মাথার চারিদিকে ঘুরলো। যেন ওকে উপহাস করছে।
শুভ চিন্তিত মুখে গাছ থেকে নেমে এলো। হাঁটতে হাঁটতে চলে এলো ধইনচা তলায়।
‘মইন্না বাইরে পাইনা। ’
‘পাছনা কে? কোই গেছে?’ রিনা আপা জিজ্ঞেস করলো।
‘কই গেছে জানিনা।
বকুল গাছের উপরে থুইয়া আইছিলাম। অহন নাই। ’
‘চিল্লাইয়া ডাক দে। ’
‘চিল্লাইছি। আশেপাশে বিছরাইছি।
পাইনা। ’
‘অই রিতা, তুই বাতটা দেখ। বলক আইলে আগুন সরাইয়া দিছ। চলতো দেইখ্খা আয়ি। ’
মিনা , আনোয়ার, শুভকে সাথে নিয়ে ছুটলো রিনা আপা।
বকুল গাছ থেকে অনেক দূরে থাকতেই ডাকতে লাগলো, ‘মইন্না বাই, মইন্না বাই। ’
দের কণ্ঠস্বর শুধু প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে ফিরে এলো। বকুল গাছে উঠে গেলো রিনা আপা। শুভ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। মইন্না ভাইয়ের মতই দ্রুত রিনা আপা গাছে উঠতে পারে।
বাইতে বাইতে একেবারে গাছের মগডালে চলে গেলো। উপর থেকে মইন্না ভাইকে ডেকে আবার ফিরে এলো।
আশেপাশে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে লাগলো ওরা। রিনা আপা পাগলের মতো মইন্না ভাইকে খুঁজছে। মিনার কান্না পেয়ে গেছে।
ও কাঁদছে। মইন্না ভাইকে কি শিকলে ধরে নিয়ে গেলো। এ নদীতে ‘শিকল’ এর মতো একটা প্রাণী থাকে। শিকল একা পেলে মানুষকে পেঁচিয়ে নদীতে নামিয়ে ফেলে। আনোয়ারের চেহারা কালো।
ভাইয়ের জন্য ওর বুকটা বারবার হুহু করে উঠছে।
হঠাৎ শুভর মনে হলো বকুল গাছে লতাপাতার মাচার উপরে একটা মৌমাছি দেখেছিলো। মইন্না ভাইকে মৌমাছিরা ধরলো নাকি?
‘রিনা আপা বকুল গাছে আমি বল্লা দেখছিলাম। মইন্না বাইরে বল্লায় দরলো নি?’
‘অই সবতে দেখতো কোনহানে বল্লা দেহা যায়নি। ’
সবাই নেমে গেলো মৌমাছির খোঁজে।
আনোয়ারই প্রথম দেখলো। ‘রিনা আপা ঐ যে বল্লা। ’
নদীর এক অংশে পানির উপর কয়েকশত বল্লা জড়ো হয়ে আছে। সেখানে পানিতে একটা পেপের ডাল দাড়িয়ে আছে। পানিতে ডুবে কেউ পেপের ডাল দিয়ে নি:শ্বাস নিচ্ছে।
আনোয়ার দ্রুত নেমে গেলো পানিতে। পানিতে ডুব দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,‘মইন্না বাই আপনে কি পানির নিচে?’
পেপের ডালটি দ্রুত একটু সড়ে এলো। মইন্না ভাই কয়েক সেকেন্ডের জন্য পানির নিচ থেকে উপরে উঠে বললো, ‘ওই তরা আমারে বাঁচা। আগুন লইয়া আয়। আমারে বল্লায় দরছে।
’
ওরা চারজন বিদ্যুৎবেগে ছুটলো বাসায়। আগুন আনতে।
কিছুক্ষন পর নদী তীরে ওদের ছাড়াও দেখা গেলো গ্রামের অনেককে।
‘গোলামের পুত গোলামরা আমার ছেড়াটারে বাইর কইরা লইয়া আইছে। বারে বারে কইলাম ওর বল্লা রাশি।
বল্লায় ওরে দেখলে ছাড়েনা। এই সাপ্তায় গালে কামরাইছে। আবারও ছেড়াডারে বাইর কইরা লইয়া আইছে.....। ’
মইন্না ভাইয়ের মায়ের বকাঝকা চলছেই। তার হাতে পাটখড়ি।
পাটখড়ির আগায় পাটের কুন্ডলি। সেখান থেকে ধাঁয়া বের হচ্ছে। গ্রামের আরো অনেকের হাতেই এমন পাটখড়ি। সবাই মিলে পাট জ্বালিয়ে ধোঁয়া করে মৌমাছি তাড়ালো। তারপর মইন্না ভাইকে বের করে আনলো নদী থেকে।
সেবার শুভদের বনভোজন পন্ড হয়েছিলো। মইন্না ভাইকে সাতদিন ঘরে বন্দি হয়ে কাঁটাতে হলো। তার চেহারার আগের পর্বত চূড়ার সাথে নতুন আরো সাত-আটটি পর্বতচূড়া যোগ হয়েছে।
মানোয়ারের নামটা আগেই পাল্টে মইন্না ভাই হয়েছিলো। এখন আবার নামের সাথে বল্লা রাশি যুক্ত হলো।
মইন্না ভাই বল্লরাশি। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।