জীবন গঠনে নিজেস্ব প্রতিক্রিয়ার দায় বেশি, ঘটে যাওয়া ঘটনার ভূমিকা সামান্য।
প্রথম কারণ:
যুঞ্চিক্তর লেখাগুলো সিডনীর লেখক আবুল কাসেমের 'হু অথারড দ্যা কুরআন' নামের লেখা থেকে এডপ্টেড। মৌলিক লেখা পড়ার আনন্দ অন্য রকম। মৌলিক না একটা লেখা নিয়ে এত হৈ চৈ আসলে তাকে ওভার রেইটেড করে দেয়। যুঞ্চিক্ত কোন রেফারেন্স দেন নি, সেটা আসলে তার আরেকটা অসততাকে পরিষ্কার করে দেয়।
দ্বিতীয় কারণ:
আপনি কিছু উড়া ধুড়া কথা শুনলেন কারও সম্পর্কে। এখানে ওখানে শুনলেন লোকে তার ব্যাপারে কুৎসা গাইছে। আপনি জানেন, তাকে ভীষণ ভালো জানে এরকম অনেকেই আছে, কিন্তু তাদের ধার কাছ দিয়েও গেলেন না। কেবল খুব মনযোগ দিয়ে শুনলেন যারা কুৎসা গাইছে তাদের কথা। তারপরে, সেই কথা বলে বেড়ালেন।
একবারও জানলেন না, আপনি যাদের থেকে শুনে এসে বলে বেড়াচ্ছেন, তারা আসলে সততা করে নি। তারা আসলে কথপকোথনের আংশিক অংশ তুলে ধরেছে। কুৎসিত কামড় বসিয়ে শব্দদের রক্তাক্ত করেছে। তারপরেও অমন করলেন।
আর এমন একদল মানুষের কাছে এসে করলেন, যারা আসল কথপকোথনের ট্রান্সকিপ্ট শুনে নি।
তার মানে আপনি কয়েকটা খুব বাজে অপরাধে দোষী--
১. নিজে যা শুনলেন তা যাচাই না করার।
২. একজন সম্পর্কে হাতে গোণা কিছু মানুষের উল্টামত দেখে সেই সুরে কুৎসা গাওয়ার।
৩. আপনার সেই উড়া ধুড়া কথা দিয়ে আরও একদল মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভ্রান্তির একটা ডমিনো এফেক্ট সৃষ্টি করার--তারা গিয়ে আরও অনেককে বলে বেড়াবে, এভাবেই।
এখন, আপনি করতেই পারেন এই কাজটা, মুখ আছে বলেই করতে পারেন। কিন্তু সেই করতে পারাটা কি বাক স্বাধীনতার আওতায় পড়ে?
যুঞ্চিক্ত যে সব লেখা দিয়েছিলেন, সে সব ঠিক এই ক্রাইটেরিয়ায় পড়েছিল।
কেন? কুরআনের আয়াত নিয়ে অসততা তো জেবতিক আরিফই ধরিয়ে দিলেন।
আর ওই সিরিজের ২(গ) নামের লেখায়, মুহাম্মদ (সা) এর বিয়ের কিছু হাদিস নিয়ে সেখান থেকে অনেক আগডুম বাগডুম বলা হয়েছে। আমি আসল হাদীস থেকে একটা লাইন কোট করেছিলাম, যা আসলে পুরা ব্যাপারটারই ব্যাখ্যা দেয়।
তৃতীয় কারণ:
বেশ আনপ্রফেশনালি '২ (গ)' লেখায় 'সন্ধ্যাবাতিকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন' বলেছেন কয়েক বার। লিখছেন মুহাম্মদ (সা) কে নিয়ে, তাহলে আমাকে এডরেস করা কেন? আমি খুব জনপ্রিয় ব্লগার নই।
আমাকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করালে লেখার বিরোধিতা কম আসবে, সে জন্য?
যারা খুব চিল্লাচিল্লি করছেন যুঞ্চিক্ত'র লেখা নিয়ে, তার বাকরুদ্ধতা নিয়ে, একটু ভেবে দেখুন তো, ওভার রেইট করা হচ্ছে না তো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।