যুঞ্চিক্ত পবিত্র কুরআনের আয়াত এবং হাদিস কে নিজের ইচ্ছে মতো উপস্হাপন করেছেন। মানুষকে বিব্যান্ত করার জন্য। এবং যারা তার পক্ষে বলেছেন তাদের কেউ কেউ এই কাজটি করেছন। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়লা বলেন,
"সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করে, যাতে আল্লাহর পথ থেকে বিব্যান্ত করে দেয়। তার জন্য দুনয়াতে লাঞ্চনা আছে এবং কেয়ামতের দিন আমি তাকে দহন-যন্ত্রনা আস্বাদন করব।
(সুরা হাজ্জ ৯)"
আল্লাহ তাদেরকে যন্ত্রনা দিবেন। আমরা আমাদের চোখের সামনে দেখতে পাই। এমন ব্যক্তিদের জন্য এই দুনিয়াতে বসবাসের স্থান হইতেছেনা। কোন দেশ এমন ব্যক্তিকে রাখতে চাইতেছে না।
আবার অনেকে ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন ইসলাম নিয়ে বিতর্ক করা যাবেনা ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
"কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানকে অনুসরণ করে। (সুরা হাজ্জ ৩)"
"এই দুই বাদী বিবাদী, তারা তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বিতর্ক করে। অতএব যারা কাফের, তাদের জন্য আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে, তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে। (সুরা হাজ্জ ১৯)"
এখানে ১৯ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তায়লা, বাদী,বিবাদী দুই পক্ষ বুঝিয়েছেন,( অতএব যারা কাফের) এক পক্ষ কাফের যারা আল্লাহর কে বিশ্বাস করেনা, আর এক পক্ষ যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে, আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
"নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের কে দাখিল করবেন উদ্যান সমূহে, যার তলদেশ দিয়ে নির্ঝরিণী সমূহ প্রবাহিত হবে।
তাদের কে তথায় স্বর্ণ-কংকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং তথায় তাদের পোশাক হবে রেশমী। (সুরা হাজ্জ ২৩)
এই পবিত্র কিতাবের উপরে অনেকে ঈমান আনেন'নি। বরং মানুষকে বিব্যান্ত করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। যারা এমন কাজ করেন , তাদের কে বলবো আপনারা কুরআনকে ভালো করে বুঝে পড়ুন। এবং দিন শেষে অন্তত এক বার ভাবুন, আপনি কি কি ন্যায় ও অন্যায় করেছেন।
নিজের অন্তরকে পরিস্কার করুন। পবিত্র কুরআনে অনেক আয়াত আছে যা পড়ে একটু চিন্তা করলে। আমরা, আল্লাহ, কুরআন,নবী রাসুল সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেতে পারি এবং পাই।
পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে প্রায় ১৪শত বছর আগে। তখন কুরআনে যা লিখা হয়েছে।
আমরা বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তাই দেখতে পাই। যাহা যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়া, মানুষ জানতে পারেনা, বুঝতে পারেনা, তা কুরআনে লিখা আছে। এতে কি আমরা বুঝতে পারিনা কুরআন মানব রচিত কিতাব নয়? যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন,
" হে লোক সকল! যদি তোমরা পুনরুথানের ব্যাপারে সন্দি হও, তবে (ভেবে দেখ) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এর পর বীর্য থেকে, এর পর জমাট রক্ত থেকে, এর পর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণকৃতি বিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্য। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্য মাতৃ গর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এর পর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি ; তার পর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পন কর।
তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যু মুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়। যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভুমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষন করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদি উৎপন্ন করে। (সুরা হাজ্জ ৫)"
আল্লাহ আমাদেরকে ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা দিন। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
হে লোক সকল! তোমাদের পালন কর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার। (সুরা হাজ্জ ৫)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।