হৃদি ভেসে যায় অলকান্দের জলে ...........
পৃথিবীর সবখানেই কমবেশী সবসময়ই মৌলবাদীরা ছিল , আছে হয়তো থাকবে । এরা হয়তো কখনও ক্ষমতাশীল কখনও বা নিজেদের অস্তিত্বের সংকটাপন্ন কখনও সময়ের স্রোতে গায়ে ভাসিয়ে দেয় আর সুযোগ বুঝে কোপ মারে (কোপা সেন্টু কোপা .........) । মৌরবাদীরা কিন্তু নানা বর্ণে নানা ধর্মে নিজেদের মৌলবাদ চালিয়ে যাচ্ছে । হতে পারে ভারতের বিজিপি কিংবা বাংলাদেশের জামায়াত । এদের অবস্থান পরস্পরবিরোধী হলেও বাস্তবতা এদের অবস্থান এবং ঐক্য কিন্তু একই ।
আমাদের জামায়তীরা ৭৫ এর পর আবার মাথা চাড়া দিয়ৈ ওঠে এবং জিয়া-এরশাদ গং দের তোষামোদী করে নিজিদের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছে । এই অবস্থান তারা কিন্তু দলের আদর্শে নয় বরং নিজিদের ইসলামের ছদ্মাবরণে নিয়েছে। কেননা জামায়াতের আদর্শ এখন আর সম্ভবনয় ,তাদের আদর্শ ছিল অবিভক্ত পাকিস্তান । তাই ধর্মকে ঢাল হিসেবে নিয়ে দেশের অশিক্ষিত ধর্মভীরু মানুষদের দলে টেনেছে । এদেশের মানুষ কখনই খুব ধার্মিক বা নাস্তিক ছিলনা বরং নিজে ধর্ম করার চেয়ে মসজিদ -মাজার এ মানাত করতে বা কোরআন খতম করাতেই ওস্তাদ ।
আবহমান কাল থেকে ধর্মের এই ব্যবসা পুরোটাই মজিদদের হাতে ছিল, নতুন করে জামায়াতীরা তাতে ভাগ বসালো । যেকারণে মাজার কেন্দ্রিক দলগুলোর সাথে এদের প্রকাশ্য বিরোধ বিদ্যমান। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে যে জন্য তারা ধর্মের একক টেন্ডারবাজি করে ঘোষণা দিল 'দাড়িপাল্লায় ভোট দিন বেহেস্তের চাবি নিন । " জাময়াতীরা ভোটকেন্দ্রর পাশে চাবির পসড়া সাজিয়ে বসল ।
এই জামায়াতীরা দলবাজি কে ধর্ম যুদ্ধ ঘোষনা করে বিশ্বিদ্যালয়গুলোকে মক্কা মদীনা বানিয়ে শিবিরের রাজত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হরগুলো দিয়েদিল ।
ধর্মের জন্য রগকাটা হাত কাটা জায়েজ। ।
আহা কি চমৎকার ধর্মযুদ্ধ । অদ্ভুত তাদের জিহিদ । যেজন্য আজ ক্রুসেড এর রুপ ভিন্ন ।
এই স্বল্প শিক্ষিত মোল্লাদের দৌরাত্মে !!
এরা ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের লেবাস হিসেবে। অথচ আপনি যদি রাজাকার বঝাতে চান তবে অবশ্যই দাড়ি সমেত একজন রাজাকারের কথা বলবেন । আর একজন রাজাকারকে যখন অবমাননা করবেন সাথে সাথে কিন্তু এই জামতীরা হুংকার দেয় ধর্মের অবমাননা হচ্ছে । যদি হয় তার দায়ভার কিন্তু এই জামায়াতীদের ।
শুধু মাত্র সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এদেশের জামায়তীরা ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যেমন ভারতে বিজেপি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।