ভিনগ্রহে নতুন প্রাণের সন্ধান মানুষের সময়ের সেরা অনুসন্ধানের একটি। অস্তিত্ব রক্ষায় গন্তব্য হিসেবেও ভিনগ্রহের প্রাণ খোঁজা জরুরি। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে প্রায়ই দেখা যায়, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি মানবসভ্যতার জন্য ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ন্যানো টেকনোলজি, জৈবঅস্ত্র, কম্পিউটারই মানুষের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এসব বিপদজ্জনক ব্যাখ্যার পরও বিজ্ঞানীরা বলছেন ব্যাপারটি যাই ঘটুক ভিনগ্রহের প্রাণের সন্ধান মানুষের ভবিষ্যত অনেকটাই নির্ভর করছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ, জ্ঞান-বিজ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে।
বিভিন্ন দিক থেকে পৃথিবীকে মানুষ আরও অবাসযোগ্য করে তুলছে। যুদ্ধ এবং পরিবেশ দূষণ এসবের মধ্যে সবচেয়ে বিপদজ্জনক।
মানবজাতির বিলুপ্তি প্রতিরোধে ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিজের পরামর্শগুলো হচ্ছে- বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণার ফল যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়াকে নিয়ন্ত্রণ করা। রিজ নিউক্লিয়ার অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তারপরও বলছেন, এ অস্ত্র বিলুপ্ত হওয়ার জন্য অতটা বিপজ্জনক নয়, যতটা বিপজ্জনক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত অগ্রগতি।
জৈবঅস্ত্র ব্যবহারকারীদের আচরণ থেকে এর ভয়াবহতা আরও নিশ্চিত করেছে। এগুলো আগামী ২০ বছরের মধ্যে প্রকট আকারে দেখা দেবে। এ বিপদ থেকে বাঁচতে আমাদের মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য হতে হবে। নইলে ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠবে। এজন্যই গবেষকরা বায়োটেকনোলজি বা জৈবপ্রযুক্তি, কৃত্রিম জীবন, ন্যানোটেকনোলজি ও পরিবেশের পরিবর্তনে মানবসভ্যতার কী ধরনের ধ্বংসের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা শুরু করতে যাচ্ছেন।
এসব বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিশেষ ভাবে কার্যকরী হবে বলেই মনে করা হয়। তবে বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সাবধান করে দিয়ে বলেছেন,
ভিনগ্রহে মানুষের মতো মেধাসম্পন্ন প্রাণীর অস্তিত্ব থাকলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে এটা সবসময়ই কৌতূহলের যে সৌরজগতে অন্য যেখানে প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।