যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ওয়ারিদের একটা সিম কিনলাম। লাস্ট সিম কিনেছিলাম জয়, তখন পর্যন্ত টিপসহি প্রযুক্তি চালু হয়নি বাংলায়। এবার টিপসহি দিয়ে সিম কিনতে হলো। গ্রামীনের সিমটা ওয়ালেটে রেখে ওয়ারিদ চালু করে প্রথমে ফোন করলাম স্ত্রীকে। কণ্ঠস্বর যথাসম্ভব মোটা ও অপরিচিত করে, উচ্চারণে ব্লাক প্রচলিত বাংলা সুর এনে বললাম,
গুড ইভনিং।
ওয়ারিদ টেলিকম থেকে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আপনি জেনে থাকবেন হয়তো যে আমরা আমাদের মোবাইল লঞ্চ করেছি .. এটুকু বলতেই যে রিপ্লাই পেলাম সেটা ভয়াবহ। পরে বলছি।
এরপরে ফোন করলাম আলিফকে। আলিফ মডেলিং করে।
ঠিক সেই একইভাবে তাকে এপ্রোচ করার পরে তার জবাব হচ্ছে, তা ভাই আপনারা কি আমাদের ফ্রি দেবেন নাকি কিনতে হবে?
আনন ছিল আমার সাথে। সে জিয়াকে ফোন করলো, জিয়া ওয়ারিদ থেকে ফোন করায় ধন্যবাদ জানালো। তারপরে বললো যে তার নম্বর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
এরপরে আমি বাকীবিল্লাহকে ফোন করলাম। একই ভংগি একই রকম স্বরে।
সে শুনে বলে, তা কৌশিক ভাই আপনি কি ওয়ারিদে জয়েন করেছেন?
আমার ছোটবোনকে ফোন করলাম। সে শুনে বলে, ঠিক আছে ভাই, আপনাদের মোবাইল কিনবো কিন্তু তার আগে আমার নম্বরে পাঁচশত টাকা ফ্লেক্সী লোড করেন!
ছোট ভাইকে ফোন করলাম, সে বলে, তো মিস্টার কৌশিক, সিমটা তো আমার লাগবে!
শরৎকে ফোন করলাম। কিন্তু আমি কিছু বলার আগেই সে বলে, ভাইয়া ওয়ারিদের সিম কিনে ফেললেই!
মনটা খারাপ হয়ে গেল। কাউকেই অবাক করা গেল না তেমন। উপরন্তু স্ত্রী'র সাথে নাটক করে কথা বলার পরে ভাবলাম সে হয়তো আমাকে চিনতে পারে নাই।
কিন্তু কিসের কি, আমার কথা শেষ হবার সাথে সাথে তার পরিষ্কার হুমকী শুনতে পাই। সে বলে, দাড়াও, বাসায় আসো, নতুন সিম কেনার মজা দেখাচ্ছি তোমাকে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।