আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"তিনি প্রত্যহ বাড়ি ফিরিয়া ছাদে উঠিয়া উহাদের তাড়াইয়া দিতেন "

timursblog@yahoo.com

ইত্তেফাক একসময়ে সাধু বচনে লিখত । (এখনো 'আলুর বাম্পার ফলন' টাইপের সম্পাদকীয়গুলো সাধুতে লেখে ওরা । কিন্তু আমি যে সময়ের কথা বলছি যখন পুরোকাগজটাই সহি-কেতাবী সাধুতে লেখা হতো) সেসময়ের একটা নিউজের কথা মনে পড়ছে । রামপুরাভিশনের একজন ক্যামেরাম্যান একটা 'এজমালি ছাদওয়ালা' বাড়িতে থাকতেন । মানে বাড়িটার ছাদে ইচ্ছা করলে পাশের বাড়ির লোকেরাও উঠতে পারত ।

তো, ওই পাবলিক ছাদে উঠে জনা কয়েক পাড়ার চ্যাংড়া পোলাপান রোজ বিকেলে নেশা করতো । বেচারা ক্যামেরাম্যান কাজ সেরে এসেই প্রথমেই ওদের চলে যেতে বলতেন । নেশাটা যদি যথেষ্ট সময় হয়ে থাকে চ্যাংড়ারা তেমন উচ্চবাচ্চ্য না করে চলে যেত । কিন্তু বিধিবাম, একদিন ওদের মৌতাতটা ঠিক যথেষ্ট হয়নি বা মাঝখানে কেটে গিয়েছিল । নেশারুদের মৌজে বাগড়া দিলে তারা কেমন কান্ড করতে পারে তা আশা করি অনেকের জানা আছে ।

অল্প দুয়েককথা পরেই তারা বেরসিক ক্যামেরাম্যানকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ছাদ থেকে ! বেচারার ভবলীলা তখনই সাঙ্গ হয়ে যায় । না, খবরটা মনে পড়ার কারন অন্য । সেটা হচ্ছে ইত্তেফাকের ভাষা--"তিনি প্রত্যহ বাড়ি ফিরিয়া ছাদে উঠিয়া উহাদের তাড়াইয়া দিতেন (!?!)" বেচারা । আমরা যতই খারাপ থাকি না কেন সারাদিনের কাজ শেষের পরে এমন একটা "প্রাত্যহিক কর্তব্য" (?) আমাদের কয়জনকে করতে হয় ? মন খারাপ থাকলে (যেমন এখন আছে), আমি সেই দুর্ভাগা চিত্রগ্রাহকের কথা স্মরণ করি ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।