আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।
এটিএন বাংলার কল্যানে বেশ কিছুদিন আগেই জেনেছিলাম আজ, ১৩ তারিখে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্ল্যানও করেছিলাম কিছুক্ষনের জন্য ঘুইরা আসুম। কিন্তু বৃষ্টির প্ল্যানহীন অত্যাচারে আমার প্ল্যানের যায় যায় অবস্থা।
যাই - না যাই করতে করতে ৬টার দিকে বাইর হইলাম, আমি, সাফি আর ভানিশা।
প্রথমেই ঠিক করলাম বেথনাল গ্রীনের উইর্ভাস র্গাডেন থেকে শুরু করবো। ওখানেই মেলার প্রধান সাংস্কৃতিক আর স্টল বসে। যাইহোক যতক্ষনে ওখানে পৌছালাম, বেবী নাজনীনের গান গাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বুঝলাম অনুষ্টানের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি।
উপস্থাপক একাধারে দর্শকদের অনুরোধ করেই চলেছে মঞ্চ থেকে খানিকটা পেছাতে আর র্দশক করে তার উল্টা।
ওই রঙ্গ তামাশা বেশ চলেছিল। এই ফাকে মাঠটায় একটা চক্কর দিলাম। এক স্টল দুই পাউন্ডে বিরিয়ানী বিক্রি হচ্ছে, একটা কিনে মুখে দিলাম, চাবাতে চাবাতে চাপা ধরে গেল। অত:পর আবার রিস্ক নিয়ে চটপটি কিনলাম। এবার বিনা দূযোগে শেষ করতে পরেছিলাম।
শেষটায় ওখান থেকে যখন বেরুচ্ছিলাম, অন্যদের দেখা দেখি বাংলার পতাকা কিনে মাথায় বেধে নিলাম।
এরপর প্ল্যান ছিল আইল্যান্ড র্গাডেন হয়ে ব্রিকলেন হয়ে বাসায় ফিরবো। অনেক দেরি করে ফেলেছিলাম, তাই ওদিকটায় কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।
এবার মেলা নিয়ে দুই একটা কথা। বৈশাখী মেলা প্রায় প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে, শুনলাম এবার মেলা দশম বছরে পা দিয়েছে।
এটি ইউরোপের বাঙ্গালিদের সবচেয়ে বড় মিলন মেলা। মেলাটির ব্যাপ্তি ব্রিকলেন থেকে শুরু করে বেথনাল গ্রীনের উইর্ভাস গার্ডেন পর্যন্ত বিস্তৃত। লাইভ কনর্সাট ছাড়াও নাগড়দোলা টাইপের বিনোদন, খাবার দোকান, মিষ্টান্নের দোকান স্থান পায়, টিপিক্যাল বাঙ্গালি মেলাতে যা হয়।
একটা জিনিস লক্ষ করেছি, নতুন প্রজন্মের বঙ্গ-ব্রিটেনীরা অন্য সময় বাঙ্গালি পরিচয় দিতে লজ্জা পেলেও এদিনে কার্পন্য বোধ করে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।