জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com
আগের পর্ব পড়ুন । অন্যদিকে জাগতিক উন্নয়ণ সাধন করে যদি কেউ নতুন কোন কিছু আবিস্কার করে, তাহলে এককভাবে সে তা ভোগ করতে পারে না, আর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন বোকামীসুলভ চিন্তাও কখনো করে না; বরং সে তার সর্বাধিক প্রচার ও প্রসারই কামনা করে, কারণ এর থেকে সে প্রচুর বৈষয়িক উন্নতি আশা করে থাকে। তাই মুসলিম-অমুসলিম যে-ই যা কিছু আবিস্কার করেছে, কেউই সেসবকে নিজেদের কুক্ষীগত করে রাখেনি।
হাঁ, এমন অনেক বিষয়াদি রয়েছে যেগুলো কেউ অর্জন করলে অন্যকে দিতে চায় না সহজেই। কারণ, প্রতিপক্ষ সেসব পেয়ে গেলে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে।
যেমন, অন্য সকলকে দমিয়ে একচ্ছত্র শক্তিমান নেতৃত্ব দানের প্রয়াসে পারমাণবিক মারণাস্ত্র তৈরীর কৌশল ও এ জাতীয় অন্যান্য গবেষণালব্ধ তথ্যাবলী; তথাপিও এসবের গোপন কেনাবেচা কিন্তু বন্ধ নেই কোনভাবেই। আর এখানে এসেই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় মুসলিমদেরও বিজ্ঞান ও জাগতিক উন্নয়ণে অগ্রণী ভূমিকা রাখার। একথা সত্য যে, আজ অমুসলিমগণ জাগতিক উন্নয়ণে, আবিস্কারে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ও কৌশলে যতটা অগ্রগামী, মুসলিম জাতি সেসবে অনেক পিছিয়ে, তবে অনেক অগ্রযাত্রার শুরু যে একসময় মুসলমানদেরই হাতে ঘটেছিল, তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। আর মুসলিম জাতির বর্তমান পিছিয়ে পড়াটাও অমুসলিম কূটকৌশলীদের দীর্ঘমেয়াদী সুগভীর ষড়যন্ত্রের ফলাফল, যার জালে জানা-অজানায় আটকা পড়ে আছে আজো অধিকাংশ মুসলমান।
মোটের উপর, জাগতিক উন্নয়ণে মুসলিমগণ বর্তমান পৃথিবীতে খুব বেশী গর্ব ও শক্তি সঞ্চয় করতে না পারলেও সুযোগ-সুবিধা থেকে যে বঞ্চিত, তা নয়।
কিন্তু এ মুসলিম জাতি যদি নিজেরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আবিস্কর্তা হতে পারতো, তাহলে তাদের জাগতিকতায় যেমন সাফল্য ও দুনিয়ায় আগমনের দায়িত্ব পালন সহজসাধ্য হতো, তেমনি তাদের অর্জিত সুযোগ সুবিধা ভোগ করার কারণে বিশ্ববাসীর নিকটও তারা নন্দিত হতো, যেমনটি হচ্ছে এখন অমুসলিমরা।
এখানে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, মুসলমানদের এই শ্রমার্জিত উন্নতি ও অবনতিতে কিন্তু ইসলামের বিধি-বিধানে কোনরূপ কমবেশী বা পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে না এবং হবার সম্ভাবনাও নেই; বরং আল-কুরআন ও আল-হাদীস নিয়ে ইসলাম এবং তার বিধানাবলী যেমনটি ছিল ঠিক তেমনি স্বকীয়তায়, সমুজ্জ্বলতায় অম্লান রয়েছে এবং থাকবে। শুধু ফিক্হশাস্ত্রে এবং অন্যান্য মৌলিক বিষয়াদিতে গবেষণামূলক উন্নয়ণ হয়েছে এবং হবেও, কেননা, জগতে নিয়তই নতুন নতুন বিষয় ও জিনিসের আগমন ঘটছে, তাই সেসবের বিধান দিতে গেলে ইসলামী গবেষণার পরিধি এবং বিধিও বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মৌলিকতায় এক চুলও বৃদ্ধি বা ঘাটতির কোনই সম্ভাবনা নেই এবং তা কেয়ামত পর্যন্তই অপরিবর্তনীয় অটুট থাকবে ইনশাআল্লাহ্।
আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে, কোন আবিস্কারের পূর্বে কেউই তার জীবন বিধানের অনুমতি নিয়ে তা করেনি; বরং পৃথিবীতে কি কি নতুন জিনিসটির আগমন অথবা আবিস্কার ঘটবে, তা স্রষ্টার বৃহত্তর বিধানেরই অন্তভর্ুক্ত।
কেননা, স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টির সার্বিক উত্থান-পতনকে সৃষ্টিরও বহু পূর্বে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, তাঁর নিকট অতীত-ভবিষ্যত বলে কিছু নেই; সবটাই বর্তমান। আর তাই স্রষ্টার বিধানও সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিতে সর্বদাই সক্ষম; এই সক্ষমতা ইসলামের সত্যতা ও সর্বাধুনিক হওয়ার একটা বিরাট প্রমাণ।
(মন্তব্য কিন্তু হিসেব করে--; এখনো শেষ হয়নি)অন্যদিকে জাগতিক উন্নয়ণ সাধন করে যদি কেউ নতুন কোন কিছু আবিস্কার করে, তাহলে এককভাবে সে তা ভোগ করতে পারে না, আর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন বোকামীসুলভ চিন্তাও কখনো করে না; বরং সে তার সর্বাধিক প্রচার ও প্রসারই কামনা করে, কারণ এর থেকে সে প্রচুর বৈষয়িক উন্নতি আশা করে থাকে। তাই মুসলিম-অমুসলিম যে-ই যা কিছু আবিস্কার করেছে, কেউই সেসবকে নিজেদের কুক্ষীগত করে রাখেনি।
হাঁ, এমন অনেক বিষয়াদি রয়েছে যেগুলো কেউ অর্জন করলে অন্যকে দিতে চায় না সহজেই।
কারণ, প্রতিপক্ষ সেসব পেয়ে গেলে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, অন্য সকলকে দমিয়ে একচ্ছত্র শক্তিমান নেতৃত্ব দানের প্রয়াসে পারমাণবিক মারণাস্ত্র তৈরীর কৌশল ও এ জাতীয় অন্যান্য গবেষণালব্ধ তথ্যাবলী; তথাপিও এসবের গোপন কেনাবেচা কিন্তু বন্ধ নেই কোনভাবেই। আর এখানে এসেই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় মুসলিমদেরও বিজ্ঞান ও জাগতিক উন্নয়ণে অগ্রণী ভূমিকা রাখার। একথা সত্য যে, আজ অমুসলিমগণ জাগতিক উন্নয়ণে, আবিস্কারে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ও কৌশলে যতটা অগ্রগামী, মুসলিম জাতি সেসবে অনেক পিছিয়ে, তবে অনেক অগ্রযাত্রার শুরু যে একসময় মুসলমানদেরই হাতে ঘটেছিল, তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। আর মুসলিম জাতির বর্তমান পিছিয়ে পড়াটাও অমুসলিম কূটকৌশলীদের দীর্ঘমেয়াদী সুগভীর ষড়যন্ত্রের ফলাফল, যার জালে জানা-অজানায় আটকা পড়ে আছে আজো অধিকাংশ মুসলমান।
মোটের উপর, জাগতিক উন্নয়ণে মুসলিমগণ বর্তমান পৃথিবীতে খুব বেশী গর্ব ও শক্তি সঞ্চয় করতে না পারলেও সুযোগ-সুবিধা থেকে যে বঞ্চিত, তা নয়। কিন্তু এ মুসলিম জাতি যদি নিজেরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আবিস্কর্তা হতে পারতো, তাহলে তাদের জাগতিকতায় যেমন সাফল্য ও দুনিয়ায় আগমনের দায়িত্ব পালন সহজসাধ্য হতো, তেমনি তাদের অর্জিত সুযোগ সুবিধা ভোগ করার কারণে বিশ্ববাসীর নিকটও তারা নন্দিত হতো, যেমনটি হচ্ছে এখন অমুসলিমরা।
এখানে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, মুসলমানদের এই শ্রমার্জিত উন্নতি ও অবনতিতে কিন্তু ইসলামের বিধি-বিধানে কোনরূপ কমবেশী বা পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে না এবং হবার সম্ভাবনাও নেই; বরং আল-কুরআন ও আল-হাদীস নিয়ে ইসলাম এবং তার বিধানাবলী যেমনটি ছিল ঠিক তেমনি স্বকীয়তায়, সমুজ্জ্বলতায় অম্লান রয়েছে এবং থাকবে। শুধু ফিক্হশাস্ত্রে এবং অন্যান্য মৌলিক বিষয়াদিতে গবেষণামূলক উন্নয়ণ হয়েছে এবং হবেও, কেননা, জগতে নিয়তই নতুন নতুন বিষয় ও জিনিসের আগমন ঘটছে, তাই সেসবের বিধান দিতে গেলে ইসলামী গবেষণার পরিধি এবং বিধিও বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মৌলিকতায় এক চুলও বৃদ্ধি বা ঘাটতির কোনই সম্ভাবনা নেই এবং তা কেয়ামত পর্যন্তই অপরিবর্তনীয় অটুট থাকবে ইনশাআল্লাহ্।
আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে, কোন আবিস্কারের পূর্বে কেউই তার জীবন বিধানের অনুমতি নিয়ে তা করেনি; বরং পৃথিবীতে কি কি নতুন জিনিসটির আগমন অথবা আবিস্কার ঘটবে, তা স্রষ্টার বৃহত্তর বিধানেরই অন্তভর্ুক্ত। কেননা, স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টির সার্বিক উত্থান-পতনকে সৃষ্টিরও বহু পূর্বে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, তাঁর নিকট অতীত-ভবিষ্যত বলে কিছু নেই; সবটাই বর্তমান। আর তাই স্রষ্টার বিধানও সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিতে সর্বদাই সক্ষম; এই সক্ষমতা ইসলামের সত্যতা ও সর্বাধুনিক হওয়ার একটা বিরাট প্রমাণ।
(মন্তব্য কিন্তু হিসেব করে--; এখনো শেষ হয়নি)
পরের পর্ব পড়ুন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।