স্মৃতিচারণ ও এলোমেলো ভাবনা। বেশিরভাগই জগাখিচুড়ি।
চলে গেল গ্লেন ম্যাকগ্রা। আমার সংক্ষিপ্ত জীবনে দেখা একজন অনন্য সেরা বোলার। তবে অবশ্যই ম্যাকগ্রা এ্যালান ডোনাল্ড বা কার্টলি এ্যাম্ব্রোসের চেয়ে ভয়ঙ্কর কোন বোলার ছিলেন না।
স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, যাই হোক না কেন ওয়াসিম-ওয়াকার-ডোনাল্ড-ওয়ালশ-এম্ব্রোসদের পরবর্তী যুগে গ্লেন ম্যাকগ্রার মত পেস বোলার ক্রিকেট বিশ্ব দেখে নি। তাই তার মূল্যায়নকে একটু ভিন্ন চোখে দেখাটা খুব একটা অপরাধের হবে না বলেই আমার ধারণা। সম্প্রতি ম্যাকগ্রা তার বিপক্ষে খেলা সেরা একাদশের নাম ঘোষনা করেছেন। আসুন দেখা যাক কারা সেই সৌভাগ্যবান ১১ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।
"(১) মাইকেল আথারটন (ইংল্যান্ড): আমি তাকে শ্রদ্ধা করি ও আমাদের সময়ের একজন সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি, যদিও আমি ও কর্টলে এ্যাম্ব্রোসের খুব ভালো রেকর্ড আছে তার বিরুদ্ধে কারন এক্সট্রা বাউন্সে আথারটন কখনই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করতেন না।
(২) সনাথ জয়াসুরিয়া (শ্রীলংকা): অনেকের ভাল রেকর্ড থাকতে পারে কিন্তু জয়াসুরিয়ার মত ভয়ঙ্কর খুব কমই ছিল। একজন ব্যক্তির জন্য এটা একটা বিশাল প্রাপ্য যখন কেউ বলে সে খেলাটা বদলে দিয়েছে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে জয়াসুরিয়ার খেলা ইনিংসগুলো দেখে ওয়ান ডেতে ইনিংস শুরু করার ধারণা বদলে যায়। গ্রেট ন্যাচারাল ট্যালেন্ট।
(৩)ব্রায়ান লারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): আমি মনে করি যখন সে সেরা সময়ে ছিল, তখন সে ছিল শচীন তেন্ডুলকারের কিছুটা আগে।
সে ছিল ন্যাচারাল গিফটেড খেলোয়াড় যার সামর্থ্যের অভাব ছিল না। স্পিনের বিরুদ্ধে সে ছিল নিজেই নিজের তুলনা। কোন স্পিনার তার বিরুদ্ধে বল করে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করত না, এমনকি মুরালিধরনও বলেছে তার বিপক্ষে বল করাটা সবচেয়ে কঠিন কাজ।
(৪) শচীন তেন্ডুলকার (ভারত) : লারার চেয়ে অনেক টেকনিক্যালি সঠিক ছিল ও নিজের দিনে যেকোন আক্রমনকে ধ্বংস করার ক্ষমতা তার ছিল। কিন্তু সম্ভবত লারার মত অতখানি ন্যাচারাল ট্যালেন্ট ছিল না, কিন্তু কার আছে?
বিলিয়ন ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানদের আশা বহন করার মত মানসিকভাবে শক্তিশালী ছিল যখনই সে ব্যাট করেছে।
(৫) অরবিন্দ ডি সিলভা (শ্রীলংকা): সে যখন নিজের দেশের মাটিতে শুরু করত, তখন মনে হত কখনই তাকে আউট করতে পারব না। একটা কঠিন সময়ে শ্রীলংকার জন্য একটা সম্পদ ছিল সে, যখন আজকের মত তাদের ট্যালেন্ট ও অভিজ্ঞতা ছিল না।
(৬) এন্ড্রু ফ্লিনটফ (ইংল্যান্ড): জ্যাক ক্যালিস, শন পোলক ও ক্রিস কেয়ার্নসের চেয়ে তাকে আমি অল-রাউন্ডার হিসাবে ভাল বলব কারন তার আমাদের বিপক্ষে ২০০৫ সালের এ্যাশেজ সিরিজে তার হিরোয়িক পারর্ফমেন্স। ধারাবাহিকভাবে ১৪৫ কিমি/ঘন্টা বেগে বল উভয়দিকে সুইং করানো লম্বা স্পেলে ছিল পেস বোলিঙের সেরা উদাহরন।
(৭) কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা) : টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ৪০ এর অধিক অ্যাভারেজ ও কিপার হিসাবে চমৎকার পারফরমেন্স তার মুরালিধরনের সাথে।
মুরালি দলে থাকলে সাঙ্গাকারাকে কিপার হিসাবে নিতে হবে। সে একজন আন্ডার-রেটেড খেলোয়াড় যার রয়েছে অসাধারণ রেকর্ড। তাই দক্ষিন আফ্রিকার মার্ক বাউচারকে ছাড়িয়ে সাঙ্গাকারাই সেরা উইকেট কিপার।
(৮) কার্টলে এম্ব্রোস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): তার উচ্চতা দিয়ে সে দারুন বাউন্স পেতে সক্ষম ছিল ও সে ছিল একজন বোলার যার সবসময় একটা এক্সট্রা গিয়ার থাকত। তার কখনই খারাপ দিন বলে কিছু ছিল না ও প্রতিপক্ষের সাথে সে সবসময় দূরত্ব বজায় রাখত, আমাকে সহ।
(৯) ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান): বল হাতে সে একজন চ্যাম্পিয়ন। সে বল দুই ষিকেই সুইং করাতে পারত ও যেভাবে সে বল হাতে ক্রিজের দিকে এগিয়ে আসত, তা তাকে স্মরনীয় করে রেখেছে। প্রতিপক্ষ বোঝার আগেই সে হয়ে উঠত তাদের ত্রাস। সে ছিল আসাধারণ।
(১০) এ্যালান ডোনাল্ড (দ. আফ্রিকা): তার ছিল চমৎকার পেস ও দ. আফ্রিকার পক্ষে সুন্দর রেকর্ড।
আমি সব সময়ই তার পাশেই ছিলাম ও অনেক দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের রেকর্ড ছিল একই রকম।
(১১) মুথিয়া মুরালিধরন (শ্রীলংকা): তার অসাধারন স্ট্যাটিকসের জন্য তাকে আমার একাদশে অন্তর্ভুক্তি। কিন্তু আরও অনেক স্পিনারকে আমি শ্রদ্ধা করি- সাকলাইন মুশতাক, অনিল কুম্বলে ও ড্যান ভেট্টরি তাদের মাঝে অন্যতম। "
সূত্র: ফক্সস্পোর্টস, ২৯শে এপ্রিল,২০০৭।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।