নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
যদিও ব্লগের শুরু থেকেই আমার যাতায়াত এখানে তারপরেও ভাল লেখার যোগ্যতা না থাকা এবং নামের গুনের কারনে কখনো গুরুত্বপূর্ন কিছু করতে পারিনি তবে এটা ঠিক ব্লগের খারাপ কিছু হবে এটাও করিনি। ভিজিটর হিসাবে আমি মন্দ না।
শুরুতে ব্লগের পরিবেশের কথা মনে হলে মাঝে মাঝে একালের বুড়োদের মতো দীর্ঘশ্বাস বের হয়। তখন সেরা ব্লগার নির্বাচন চলতো [অনিবার্য কারন বশত: আমার নামটা আসে নাই ] । আর কৌশিকদা আগুনের পরশমনি নামক প্রশ্নউত্তর পর্বে ব্লগারদের ভেতর-বাহির প্রকাশ করতেন।
একথায়, সবাই মিলে একটা পরিবারের মতো।
ধীরে ধীরে সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে ভিন্ন মতের সদস্য সংখ্যাও। সেই সাথে বের হতে থাকে অনেকের নগ্ন রূপ।
রাজনীতি, ধর্ম, রাজাকার ও মুক্তযুদ্ধ। এই বিষয়গুলো নিয়ে কি পরিমান বিতর্ক হয়েছে তাতো সবারই জানা।
ফলাফল??
০
কেউ কারো বিশ্বাস নড়াতে পারেনা। আর তখন শুরু হয় অশ্লীল গালাগালি। এতটাই নিম্নমানের যে তারা লেখাপড়া শিখে এ পর্যায়ে এসেছেন এটা ভাবাই যায় না। কত সহজেই না বাবা-মা-ভাই-বোন তুলে গালি দেয়া হয়।
অপরের কথা ভাল না লাগলে তার ব্লগে না ঢুকলে বা তার ব্লগে মন্তব্য না করলেই ল্যাঠা চুকে যায়।
যুক্তির বদলে যুক্তি আসতে পারে। আমি তার কথায় যুতসই যুক্তি দিতে পারছি তো দিলাম একটা গালি।
এ কৌতুক তো সবার জানা যে, একমাত্র বাংলাদেশীদের জন্য দোযখে কোন পাহারদার নাই। কেউ দোযখের দেয়াল টপকে বের হতে গেলে আরেকজন তার পা ধরে টেনে নামায়।
আমরা কি এভাবেই চলতে থাকবো? অনর্থক ঝগড়া আর নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করেই আমরা খুশি থাকবো?
আসুন না সবাই যুক্তির চর্চা করি।
কাউকে ব্যক্তগত আক্রমন, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত না দিয়ে, মহান স্বাধিনতা ও ভাষাশহিদদের মর্যাদা দিয়ে পোষ্ট দেই।
ভাল লাগে যখন এখানে দেখি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংগ্রহের আগ্রহের কথা জানায়, কেউ ভাষা শিক্ষার আয়োজন করে, কেউ টেকনোলজী শেখায়, দল মতের উর্দ্ধে উঠে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে মতামত দেয়।
স্বাধিনতা মানে যা ইচ্ছে তাই করা নয়, স্বাধিনতা মানে হলো অপরের স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপ না করে যা খুশি তা করার নামই হলো স্বাধিনতা।
এমন কিছু পোষ্ট দেই যা অনেকের কাজে লাগে, অন্যের স্বাধিনতায় ছেদ না পড়ে।
[ সিনিয়র ব্লগারগন আমার কথাগুলো দয়াকরে মাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।