বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা
আপাতত খেলা দেখা বাদ। খেলা দেখে টেনশন বাড়াবার দরকার নেই। হাইপার টেনশনেও ভুগতে চাই না। খেলার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া এই ব্লগেই পাওয়া যাবে। মাঝে মাঝে গিয়ে টোকা দিব।
গতকাল ভাল ভুগেছি। তার শেষ এখনও হয়নি। নববর্ষ উদযাপনের জন্য প্রিয় শুটকী মাছের ভর্তা খাওয়ার পর থেকে অবস্থা অতি গুরুতর। দেশী ক্রিকেটাররাও তার ব্যতিক্রম নয়। পেটে ব্যথা বড়ই মারাত্মক জিনিস।
অনেক দিন পরে নিজে বুঝছি। খাওয়ার হিসেব দেয়া কতো কস্টকর। আমি ছাড়া আর বলতে পারবেন যারা যারা এখন শ্রীঘরে আছেন।
ঝাল শুটকী ভর্তা হাতছানি দিয়ে ডাকল। ভাতের সাথে মেখে খেয়েছি।
এক সিনিয়র ভাইকে বললাম, কি ভাই শুটকী খাচ্ছেন না। বলে ডিডিটি মাখানো শুটকী খাই না। আমি প্লেট বাড়িয়ে বললাম, দাদার ভাগেরটাও আমার প্লেটে দেন। এখন হিসেব গুণতে হচ্ছে নিজেরটা ও দাদারটার। আহা আগে যদি জানতাম, তাহলে এই মরার শুটকী স্পর্শ করতাম না।
শুটকীর যা দাম। একসময়ের গরীবের খাবার এখন পয়সাওয়ালা ছাড়া আর কারও পাতে উঠতে চায় না। অগ্নিমূল্য। তাই বোধহয় খেয়েছি গরীবের অভিশাপ। কে জানে? দেখি অন্যদেরও জিগ্যেস করে দেখি, তাদের কি অবস্থা? নববর্ষের সুবাদে একদিনের বাঙালী হওয়ার যন্ত্রণা অনেক বেশী।
তাই আমি গুনছি। বাথরুমে গিয়ে দেখি আর ক’টা উইকেট পতন হয়েছে? ভীষণ বেদনা শুধু ব্লগে নয়, তলপেটেও। শুটকীকে বিদায় দিয়ে আসছি। তারপর না হয় দেশের শুটকা বাঘদেরকে স্বাগত জানাব। শেষ কথা বলে কিছু নেই।
ক্রিকেট বলে কথা তো। আপনার কায়োমনে দোআ করেন আমার এবং...(আম্মাআআ) ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।