আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের ড. ইউনূস

|শৈল্পিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি|

ড. ইউনূস এ দেশের মানুষের শানত্দি প্রতিষ্ঠার জন্য শানত্দিতে নোবেল পাননি, পেয়েছেন সাম্রাজ্যবাদী শাসক গোষ্ঠীর দালাল হিসেবে। টেলিনর নরওয়ের সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান, আর এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড়ো বাজার বাংলাদেশ। এ দেশে টেলিনরকে এ সুযোগ করে নিয়ে নরওয়ের নোবেল লবিংটি আয়ত্ত করতে পেয়েছেন ড. ইউনূস, মার্কিন বন্ধু ক্লিনটনতো আছেনই, প্রচার মাধ্যম তো তার আঙুলের ইশারায় নড়ে, পশ্চিমবঙ্গের দেশ পত্রিকাকেও তিনি ব্যবহার করেছেন, অবশেষে তিনি সফল হয়েছেন নোবেল কিনতে। নোবেল নিয়ে এ দেশের রাজনীতির পুরোটাই দখলের চেষ্টায় আত্মমগ্ন ড. ইউনূস, তিনি জানেন কি, অর্থ-বিত্ত-সম্পর্ক নিয়ে নোবেল কেনা যায় কিন্তু মানুষের ভোট কেনা যায় না। তার রাজনীতি এ দেশে ভালো কিছু বয়ে আনবে এমনটি অন্তত তার দলের নাম থেকেও আশা করা যায় না, নাগরিক শক্তি সংক্ষেপে -নাশ।

অতি ভয়াবহ শব্দ, গ্রামের দরিদ্র মহিলাদের শোষণের পর এবার সমগ্র জাতি ও দেশকে নাশ করার এক মহা আয়োজনের নামই কি নাশ? তিনি মনোগ্রোথ বীজ দিয়ে এ দেশের কৃষিতে সর্বনাশ আনতে চেয়েছিলেন, সেবার আমরা রক্ষা পেয়েছিলাম, এবার তিনি কি করতে চান, তাছাড়া তার কথা-বার্তাও এলোমেলো, যেমন ঋণ মানুষের মৌলিক অধিকার বলছেন তিনি। সত্যিই কি তাই? কেন এই সর্বনাশা সুর?পকৃত পক্ষে মানুষের মৌলিক অধিকার ঋণমুক্তি। ছেলে ভোলানোর রাজনীতি এ দেশে চলে না, এ দেশের রাজনীতি আর মানুষের মুক্তি এক সূত্রে গাঁথা, অথচ 67 লাখ নারী ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আজ তার প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দী, তিনি সাধু পুরুষ। তিনি কিভাবে তার প্রতিষ্ঠানকে একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরছেন, যদিও প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বীকৃত কোনো ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নয়? কিভাবে 17 ডলার থেকে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা, এতো কোটি টাকা বিদেশী অনুদান, এতো এতো গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান? দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার, সবই হচ্ছে ড. ইউনূসের হাত ধরে। তবুও তিনি সাধু! ড. ইউনূসকে হেয়প্রতিপন্ন করা কিংবা অযথা মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার জন্য লিখছি না, লিখছি তার সম্পর্কে আরো জানার তাগিদে।

প্রথম আলোর মতো পত্রিকা ড. ইউনূসকে ক্ষুদ্রঋণের জনক বলে প্রচার চালালে খারাপ লাগে। কারণ ড. ইউনূসের জন্মেরও আগে থেকেই রাশিয়ায় ক্ষুদ্রঋণের প্রচলন ছিল, মিথ্যা দিয়ে মানুষকে মহৎ করা যায় না। প্রচার দিয়ে সেবক হওয়া যায় না। নোবেল দিয়ে ব্যবসা করা যায় না, যা হচ্ছে এখন দেশে। পরিশেষে একটি কথা বলছি_ ড. ইউনূস এ দেশের রাজনীতির শেষ কথা নন, রাজনীতিবিদদের কঠোর সমালোচনা করে রাজনীতিতে আসার মানে চোরকে নিন্দা করে চুরি করা।

তিনি গ্রামীণ ব্যাংক ছেড়ে দিতে চাইছেন রাজনীতির জন্য, স্বার্থের জন্য যে দেশকে বিদেশীদের হাতে ছেড়ে দেবেন না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? কথাটি এ কারণে যে, 'নীতির পেটে দুনর্ীতির জন্ম' কথাটি তারই। তাই আরো একবার ভাবা উচিত সকলের। [link|http://bhorerkagoj.net/online/news.php?id=527&sys=3|K

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।