সযতনে খেয়ালী!
ক্যাপ্টেনের টসে জিতেও (শুধু মাত্র আবহাওয়াকে সম্বল করে) শ্রী-লঙ্কা কে ব্যাটিঙে আমন্ত্রন জানানোটা এখন বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ দলের জন্য। দলের মিটিংয়ে নিশ্চই এরকমই ঠিক হয়েছিলো যে টসে জিতে এমন কন্ডিশনে ফিলডিং নিয়ে লঙ্কানদের আটকে ফেলা যাবে।
কিন্ত অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে দলের ডিসিশন মেকাররা এটা ভুলে গিয়েছিলেন কি যে আজকে খেলাটা শ্রী লঙ্কার সাথে, যারা কিনা এবারের বিশ্বকাপে (আক্ষরিক অর্থেই) খুবই ব্যালেন্সড একটা দল!
ক্যাপ্টেনের হাত ফসকে বল পড়ে যাওয়া, নিশ্চিত রান-আউট থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলো 318 রানের একটা টার্গেট। এই রান চেইজ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ভাস কিংবা মারুফকে ফেইস করতে পারলেও সমস্যা হলো জঙলীটাকে নিয়ে। কি নাম যেন শালার? ওঁর দৌড় দেখে মনেহয় টারজান দেখছি! টারজানকে ধরার জন্য নাকে মুখে চুন-কালী মেখে একজন লোক হাতে তীরধনুক নিয়ে দৌড়ে তাড়া করছে সবাইকে।
এই ব্যাটার বোলিং এ্যাকশন নিয়েই কথা পাড়তে ইচ্ছে হলো। হাত কি করে বাঁকায়, কী করে ঘুরায়, আর তারপর ফুশ করে বল ডেলিভার করে দেয়! আরে বাবা একটু সুন্দর করে বল করলে কী হয়? ব্যাটা আস্ত একটা ফাজিল, কথা একদমই শোনে না। জঙলীদের মতো মুখে "আ-বা-বা-বা-উ-উ" শব্দ করে এসে বলকে মারে ঢিলা। একেকবার ইচ্ছে করছিলো রাখি শালাকে কলম্বোর নারকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরী মোটা রশি দিয়ে বেঁধে।
ভাইয়েরা আসেন, আজকের খেলার রেজালট যাইহোক।
মনেপ্রাণে প্রার্থণা করি যেনো পরবর্তী খেলার আগে এই জংলীর বিরুদ্ধে চাকিঙের কোন অভিযোগ না ওঠে। শালার বোলিঙের মতো নামটাও বিদঘুটে। বাংলাদেশের আজকের দুর্দশার জন্য এই জংলীটাই দায়ী, আমাদের ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্ত, বোলিং-ফিলডিঙে বিধ্বস্ত ভাব কিংবা ব্যাটসম্যানদের ব্যার্থতা কোন অংশেই দায়ী নয়।
জংলী চাকারের ফাঁসি চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।