আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চ্যাম্পিনদের ঝড়ে উড়ে গেল স্কটল্যান্ড কানাডাকে হারিয়েছে কেনিয়া

জীবনের গল্প বলে যাই গল্পের মতো করে...

অধিনায়ক ক্রিগ রাইট টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 203 রানের বিশাল পরাজয়ের লজ্জা মাথা পেত নিয়ে তার সে সিদ্ধান্তের মাশুল দিলো স্কটল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার প েঅধিনায়ক রিকি পন্টিং সর্বোচ্চ 113 রান করেন। অপর খেলায় কানাডার বিপ ে7 উইকেটের জয় পেয়েছে কেনিয়া। কেনিয়া অধিনায়ক স্টিভ টিকলো সর্বোচ্চ 72 রান করেন।

টসে জিতে স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক ক্রিগ রাইট সবাইকে অবাক করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিং এ আমন্ত্রণ জানান। চ্যাম্পিয়নদের হয়ে গোড়াপত্তন করতে আসা এ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও ম্যাথু হেইডেন। এই দুজনের উদ্বোধনী জুটি দলীয় স্কোরকে 91 রানে নিয়ে যাবার পর ব্যক্তিগত 45 রান করা গিলক্রিস্ট বিদায় নেন ব্রাউনের এলবিডবি্লউ ফাঁদে পড়ে । এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক রিকি পন্টিং স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক রাইটের বলে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে দ্রুত গতির সেঞ্চুরী হাঁকিয়ে বসেন। তার 113 রানের ইনিংসটি সাজানো ছিলো 9টি চার ও 5টি ছক্কার মারে।

এই ফাঁকে আগেই প্যাভিলন মুখি হন আরেক ওপেনার হেইডেন 60 রান করে হ্যাঁক এর এলবিডবি্লউ'র ফাঁদে পা দিয়ে বসেন। কার্ক 15 রানে, হডেজ 15 রান রানে করেন। পন্টিং এরপর সাজঘরের পথ ধরেন সহ অধিনায়ক মাইক হ্যাশি। অস্ট্রেলিয়া দলের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র 6 বল খেলে 4 রান করে হফম্যানের শিকারে পরিণত হন। ওয়াটসন 18 রানে ও হগ 40 রানে অপরাজিত ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ওভারে 6 উইকেটে করে 334 রান। স্কটল্যান্ডের প েহ্যাঁক 49 রানে 2টি উইকেট লাভ করেন। অস্ট্রেলিয়ার গড়া রানের পাহাড় শুরু থেকেই যেন চেপে ধরেছিলো স্কটিশদের। দুই ওপেনার ওয়াটস্ ও হ্যাঁক যদিও গোড়াপত্তন ভালোই করেছিলেন। কিন্তু দলীয় 21 রানের মাথায় হ্যাঁক অস্ট্রেলিয়ার মিস ফিল্ডিং থেকে ঝুকি নিয়ে দুই রান সংগ্রহ করতে গিয়ে রান আউট হলে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কটল্যান্ডের উইকেট পতন শুরু হয়।

ক্রিজে আসা পনিয়া 2 রানের ব্যবধানে ফিরে যান টেইট এর বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। এরপর কেবল উইকেটরক স্মিথ 51 রানে লড়েছেন ম্যাকগ্রাদের আক্রমণের মুখে। বাকী ব্যাটসম্যানরা কেবল আসা আর যাওয়াতেই ব্যস্ত ছিলেন। স্কটল্যান্ড নির্ধারিত ওভারে মাত্র 199 রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে বসে। অস্ট্রেলিয়ার প েবল হাতে দিনের সবচেয়ে সফল ডেরিয়েল ম্যাকগ্রা 6 ওভার বল করে 1 মেডেনসহ 14 রানে তুলে নেন 3টি উইকেট।

রিকি পন্টিং ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। কেনিয়ার অধিনায়ক স্টিভ টিকলোও টস ভাগ্য নিয়ে দিনের সূচনা করেন। তিনি প্রথমে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন। দুই ওপেনার বারনেট 41 রান ও সামাদ 15 রানে কানাডাকে মোটামুটি মানের একটা সূচনা এনে দিলেও সেটা ধরে রাখতে পারেননি মিডলঅর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। দলীয় 40 রানের মাথায় ওপেনার সামাদ ব্যক্তিগত 15 রানে আউট হলে ক্রিজে আসেন বাগেই।

দলীয় স্কোর যখন 102 তখন তিনিও বিদায় নেন ব্যক্তিগত 19 রানে। এর আগে দলীয় 73 রানের মাথায় বিদায় নেন আরেক ওপেনার বারনেট। এরপর কেবল কেনিয়ার আক্রমণের সামনে কেবল দাঁড়াতে পেরেছিলেন আসিফ মোল্লা 25 রান ও দানিরাম অপরাজিত 34 রানে। নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যক্তিগত 1 রান করা অসিন্দিকে যখন রান আউট করেন রবিন্দ্র শাহ্ তখন কানাডার সংগ্রহ 199 রান। কেনিয়ার প েবল হাতে কামান্দি 25 রানে ও অধিনায়ক টিকলো 34 রানে 2টি করে উইকেট লাভ করেন।

কানাডার বেঁধে দেয়া 200 রানের ল্য তাড়া করতে নামা কেনিয়ার শুরুটাও তেমন ভালো হয়নি। দলীয় 28 রানের মাথায় ওবয়ো মাত্র 4 রানে বিদায় নেন কাম্বিয়ান্স এর বলে উইকেটরক বাগাইয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। এরপর 52 রানে আবারও প্যাভিলনের পথ ধরেন কেনিয়ার নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান রবিন্দু শাহ্ ব্যক্তিগত 6 রানে বাট্টি'র এলবিডবি্লউর ফাঁদে পা দিয়ে। ক্রিজে আসা অধিনায়ক টিকলোকে সঙ্গি করে ওপেনার অউমা দলীয় স্কোরকে 119 রান পর্যন্ত নিয়ে যান। 89 বলে 7টি চার ও 1টি ছক্কার মারসহ ব্যক্তিগত 58 রানে বিদায় নেন অউমা।

এরপর টিকলো 72 রান ও মিশরা 35 রানে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে 43.2 ওভারে 3 উইকেটে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন। টিকলোর ইনিংসে ছিলো 7টি চারের মার ও 1টি ছক্কা। কানাডার প েবাট্টি, কাম্বিয়াস ও দানিরাম 1টি করে উইকেট পান। ব্যাট-বলে সফল স্টিভ টিকলো ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।