আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ুক্ষুদ্র ঋণে টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে না গ্রহীতাদের

এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ

ুক্ষুদ্র ঋণ নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করলেও যৌতুকের চাহিদা তৈরি করে বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ঋণগ্রহীতাদের সামান্য উন্নতি হলেও ক্ষুদ্র ঋণ প্রক্রিয়ায় তাদের টেকসই উন্নয়ন বা তাৎপর্যপূর্ণ কোনো পরিবর্তন আসে না। মোদ্দা কথা, ক্ষুদ্র ঋণকে যতোটা ইতিবাচক মনে করা হচ্ছে, এ পদ্ধতিটি আসলে অতোটা ইতিবাচক নয়। গতকাল ইংরেজি দৈনিক নিউ এজে প্রকাশিত তানিম আহমেদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 'সোশিও-ইকোনোমিক এন্ড ইনডেবটেডনেস-রিলেটেড ইমপ্যাক্ট অফ মাইক্রো-ক্রেডিট ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক এ গবেষণায় সারা দেশের 2501 ঋণগ্রহীতার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।

কাজী খালেকুজ্জামানের সম্পাদনায় এবং ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত এ গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র ঋণের পদ্ধতিতেই গলদ রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, প্রশিকা এবং ব্র্যাক_ এ 4টি প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের ওপর পরিচালিত এ গবেষণার ফলাফলে আরো জানানো হয়, ক্ষুদ্র ঋণের প্রচলিত পদ্ধতি হতাশাব্যঞ্জক এবং দারিদ্র দূরীকরণে খুব একটা কাজে আসে না। 82 শতাংশ ঋণগ্রহীতা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে যৌতুকের দাবি বেড়েছে। 54 শতাংশ ঋণগ্রহীতা জানিয়েছেন, তাদের সংসারে এখনো খাদ্যের ঘাটতি রয়েছে। এদিকে, 40 শতাংশ মনে করছেন, ঋণ নেয়ার পর তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে।

ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চড়া সুদের হার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে এ গবেষণায়। গ্রামীণ ব্যাংকে সুদের হার 30.5 শতাংশ, আশায় 42.3 শতাংশ, প্রশিকা এবং ব্র্যাকে 44.8 শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম কিস্তি শোধ করতে হিমসিম থেকে হয়েছে ঋণগ্রহীতাদের। 75 শতাংশ ঋণগ্রহীতা জানিয়েছেন, তারা অন্য উৎস থেকে প্রথম কিস্তির ঋণ পরিশোধ করেছেন। মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তি পরিশোধের ঘটনাও ঘটেছে।

তবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাদের সুবিধা আগের চেয়ে বেড়েছে। সাক্ষাৎকার প্রদানকারী ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ঋণ নেয়ার আগে যেখানে 4 শতাংশ হাসপাতালে যেত, এখন ঋণ নেয়ার পর সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 29 শতাংশে। 64 শতাংশ ঋণগ্রহীতা শিক্ষা সেবা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.