আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেছুয়ার ডাগদর ভ্রমণ



ডাগদর সাব চেম্বারে বসিয়া আছেন। রিভলভিং চেয়ারের পিছনেই, এক্ষানি ১১ বাই ৮ ছবি। হিলারী খালামণির সাথে, হাস্যেজ্জ্বল অবস্থায় করমর্দনরত। পেট চাপিয়া ধরিয়া কোঁকাইতে কোঁকাইতে এক মৎসজীবি আসিয়াছে। ডাগদর পুছিলেন, ''কি হইয়াছে'' আমাগের নদীতে মাছ নাই, মাছ নাই তো আমি নাই, আমি এখন কি করিব।

ডাগদর একটা অট্টহাস্য দিয়া বলিলেন, '' ওরে মেছুয়া, নদীতে মাছ নাই তো কি হইয়াছে, বাজারে আছে। তোরা এখনো কিছু শিখিলি না। '' মেছুয়া একটু ভচকাইইয়া গেল, '' সে কি বলেন, কত্তা। বাজারে জাল ফেলিয়া মাছ কেমনে ধরিব। বেপারী'রা আমার টেংরি কাটিয়া ফেলিবে'' ডাগদর সাব এইবার আকর্ণ বিস্তৃত একখানা হাসি দিলেন।

তোদের জন্যেই তো এইখানে বসিয়াছি হাটবারে, নতুন দাওয়াই লইয়া। একবার এই দাওয়াই লইবি, ব্যাস কেল্লাফতে। তোকে আর কোমরে লেংগুট পরিয়া হাঁটুজলে খালে বিলে মাছ ধরিতে হইবে না। তোকে আর কেহ মেছুয়াও বলিবে না। নদীতে মাছ না থাকিলে, বাজার হইতে মাছ কিনিবি।

এক বাজারে কিনিয়া, আরেক বাজারে বিক্রি করিয়া দিবি। খালি মুনাফাই মুনাফা। তোকে তখন আর কে পাইবে। এক পুরিয়া মাইক্রোদেনা লইয়া রাস্তা জাঁকাইয়া মেছুয়া চলিতে লাগিল। মনের মধ্যে একটা বেপারী বেপারী ভাব চলিয়া আসায় মেছুয়ার বেশ ভালই লাগিতেছিল।

ঘরে গিয়া জাল বিক্রি করিয়া একখানা ভাল তহবন কিনিতে হইবে ভাবিল। কারণ তহবন ছাড়া বেপারীদের মানায় না। ডাগদর সাব, পুরিয়া গণিত তার হালখাতায় উঠাইতে ব্যস্ত তখন। মুখে একখানা নির্মল হাসি। এই দেশকে কেহ আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলিবে না।

ইন ফ্যাক্ট বেপারীদেশ(!) হিসেবেই, পরিচিত হইবে একদিন এই দেশ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.