void(0)
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০:০০আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:২৮:৩৯
মাঝরাতে লঞ্চে ফের সেই আওয়ামী লীগ নেতার মাতলামি \ পটুয়াখালী প্রতিনিধি \
মদ্যপ অবস্থায় লঞ্চে মাঝরাতে আবারও একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন পটুয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফোরকান সিকদার।
গতকাল রাতে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ফেরার পথে মদ পান করে ওই নেতা অর্ধনগ্ন অবস্থায় এমভি সাত্তার খান লঞ্চের তিন তলার মহিলাসহ কতিপয় যাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ঘটনার সময় লঞ্চের দোতলা ও তিন তলার কেবিনে অবস্থান করছিলেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। লঞ্চ স্টাফদের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ ঘটনার নিবৃত করার চেষ্টা চালান বলে উপস্থিত একাধিক নেতা স্বীকার করেন এবং তারা এ ব্যাপারে লজ্জিত বলে জানান। পরে উপস্থিত নেতারা ফোরকানকে লঞ্চের কেবিনে তালাবদ্ধ করে রাখে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযুক্ত এই নেতা ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আসার পথে আঁচল-৫ লঞ্চের তিন তলায় তার পাশের কেবিনের এক নারীকে শ্লীলতাহানিসহ একাধিক কেবিনে হানা দিয়ে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনে 'মাঝরাতে আওয়ামী লীগ নেতার কাণ্ড...' শিরোনামে প্রকাশ হওয়ায় জেলাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। একাধিক সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য পটুয়াখালী জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ফিরছিলেন মো. ফোরকান সিকদার। রাতেই বিষয়টি পটুয়াখালীতে কর্মরত মিডিয়া কর্মীদের কাছে ফোন করে জানিয়েছেন লঞ্চে অবস্থানকারী একাধিক যাত্রী। গতকাল সকালে এমভি সাত্তার খান লঞ্চটি পটুয়াখালী ঘাটে পোঁছলে সাংবাদিকরা লঞ্চ স্টাফদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তারা।
ওই লঞ্চে দোতলা ও তিন তলায় যাত্রী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ হাওলাদার, দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান সিকদার, শহর আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান পারভেজসহ অনেক সিনিয়র নেতা। এ বিষয়ে ফোরকান সিকদার বলেন, খাবার দিতে দেরি হওয়াতে কেবিন বয়কে থাপ্পড় মেরেছিলাম। এ ছাড়া আর কিছুই হয়নি। এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ হাওলাদার বলেন, শুনে আমি দুজন নেতাকে বলেছি তিন তলায় গিয়ে দেখো কী হয়েছে। তারাই ভালো বলতে পারবে কী হয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।