আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুকের সহায়তায় ধর্ষকের বিচার

ফেসবুক। এর সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। হালের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট এটি। শুধু যোগাযোগ নয় সম্প্রতি আইন-শৃংখলা রক্ষায়ও বেশ কয়েকবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ সাইট। এরই ধারাবাহিকতায় এর মাধ্যমে এক ধর্ষকের বিচার হয়েছে।

গল্পটা এরকম-  ডাইনিংয়ের এক কোনায় ল্যাপটপ নিয়ে বসলেন ব্রিটিশ নাগরিক মেলিন্ডা থমাস। ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকে নতুন কোনো আপডেট নয় কিংবা নয় ম্যাসেজ চালাচালি বরং এবার একটু সাহসই দেখালেন তিনি। নিজের ধর্ষকের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য খুঁজতে লাগলেন মেলিন্ডা। কারণ ধর্ষকের বিষয়ে মেলিন্ডার অভিযোগকে যথেষ্ট শক্তিশালী মনে করেনি পুলিশ। মেলিন্ডা থমাসের বয়স এখন ৪২।

১৯৮৪ সালে যখন তার বয়স ১৩, তখনই ধর্ষণের শিকার হন তিনি। মেলিন্ডার ধর্ষক ওরভিল ভেগান এখন ৫৩ বছরের পুরুষ। সমাজ ও পরিবারের চাপে মুখ বুজে থাকলেও মেলিন্ডা ফেসবুকের বরাতে পেয়েছেন সুবিচার। খবর ডেইলি মেইল।

১৯৮৪ সালে ১৩ বছর বয়সে পরিবার থেকে কাজের অনুমতি পান মেলিন্ডা।

যথারীতি একটি গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে কাজ মেলে তার। সেখান থেকেই এক বিকেলে কথা বলার জন্য মেলিন্ডাকে ডেকে পাঠান ভেগান। ভেগানের গাড়ি রাখার গ্যারেজেই ধর্ষণ করে মেলিন্ডাকে। চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে মেলিন্ডার মুখ চেপে ধরেন ভেগান। শেষে অবশ্য বাবা-মাকে না বলার জন্য মেলিন্ডার কাছে হাত জোড় করেন ভেগান।

বাবা-মা হয়তো এ কথা কানে তুলবেন না, এই ভেবেই চুপ থাকেন মেলেন্ডা। কিন্তু ভুলতে পারছিলেন না দুঃসহ সেই স্মৃতি। রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল তার। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যেত। আর কাঁদতে কাঁদতেই শুকিয়ে ফেলেছিলেন চোখের জল।

অবশেষে বাবা-মাকে খুলে বললেন সে দিনের ঘটনা। কিন্তু ততদিনে মেলিন্ডা এক সন্তানের মা। সেটা ছিল ১৯৮৭ সাল আর মেলিন্ডা তখন ১৫ বছরের কিশোরী। মেগানের প্রেমিক সিমনের সন্তান জন্মদিয়েছিলেন তিনি। তাই তো তিনি চাইছিলেন না তার আর সিমনের মধ্যে গোপন কিছু থাক।

তাইতো উদ্যোগটা নিয়েছিলেন নিজ থেকে। ঘটনা শুনে কেঁদে ফেলেন মেলেন্ডার মা। তারা মেলিন্ডাকে দোষারোপ করছিলেন কেন মেলিন্ডা ঘটনাটি আগে তাদের বলেননি। অবশেষে পুলিশকে জানানোর জন্য অনুমতি দিলেন মেলেন্ডার বাবা। কিন্তু এত বছর পর তদন্ত করতে গিয়ে ভেগানের বিপক্ষে তেমন কোনো তথ্যই পাচ্ছিলেন না তদন্তকারী পুলিশ।

অবশেষে ফেসবুকের সাহায্য নিলেন মেলিন্ডা। ভেগানের বিষয়ে জানতে ফেসবুকে তার বর্ণনা দেন। কারণ ভেগানের ছবি না থাকলেও মেলিন্ডার বুকের মধ্যে অাঁকা ছিল যে ভেগানের ছবি। তাই তো ফেসবুকের মাধ্যমেই অভিযোগ শুরু হলো তার। হঠাৎই মেলিন্ডার ফেসবুকের ইনবঙ্ েআসতে শুরু করল বার্তা।

অ্যামির বয়স এখন ৪০। তিনিও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ভেগানের হাতে। শুরু হলো ভেগান সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদানের। অবশেষে সাক্ষ্য-প্রমাণ মিলল যে, ভেগান আসলেই দোষী। অবশেষে গ্রেফতার হলেন ভেগান আর ১৭ বছরের সাজা হলো।

এখন শ্রীঘরে ভেগান। * ইনফোটেক ডেস্ক

 

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.