বন্ধুদের নিয়ে বাঁচি
রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রাষ্ট্র ও জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষা, জনশৃংখলা বজায়, অর্থনৈতিক জীবন অক্ষুণ্ন রাখা এবং সমাজ জীবনে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ ও সেবাকার্য নিশ্চিত করতে 'জরুরি ক্ষমতা অধ্যাদেশ 2007' জারি করেছেন।
গত 12 জানুয়ারি জারি করা এ অধ্যাদেশের কার্যকারিতে গত 11 জানুয়ারি থেকে 'সংবিধানে 141(এ)(1)'র অধীন রাষ্ট্রপতির ঘোষণা করা জরুরি অবস্থা জারির মেয়াদ কাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
অধ্যাদেশ রাষ্ট্র ও জনসাধারণের নিরাপত্তা, স্বার্থ রক্ষা বা জনশৃংখলা বজায় রাখা বা
অর্থনৈতিক জীবন অক্ষুণ্ন রাখার প্রয়োজনে অথবা সমাজ জীবনে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ ও সেবা কার্য নিশ্চিত করতে যথাযথ কতর্ৃপক্ষের বিধি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রণয়ন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
অধ্যাদেশে বিশেষ করে এবং উপ-ধারা (1)-এ প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করে অনুরূপ বিধিতে নিম্নলিখিত বিষয়ে বিধি বিধান করতে যথাযথ কতর্ৃপক্ষকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কার্যকলাপ নিবারণ, বাংলাদেশের সাথে বিদেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্ষুণ্নকারী কার্যকলাপ নিবারণ, বাংলাদেশের যে কোন এলাকায় শান্তি বিঘ্নকারী কার্যকলাপ নিবারণ, সমাজের বিভিন্ন অংশ বা শ্রেণীর মধ্যে বিদ্বেষ বা শত্রুতা সৃষ্টিকারী কার্যকলাপ নিবারণ, রাষ্ট্র ও জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপ নিবারণ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জীবন ও জনশৃংখলা বিপর্যয়কারী কার্যকলাপ নিবারণ, সমাজ জীবনে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ ও সেবাকার্য ব্যাহতকারী কার্যকলাপ নিবারণ, জন-নিরাপত্তা, জন-শৃংখলা ও সমাজ জীবনে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ ও সেবাকার্য ক্ষুণ্নকারী খবর বা বিষয়সম্বলিত সংবাদপত্র, বই-পুস্তক, দলিল বা কাগজপত্র মুদ্রণ বা প্রকাশনা এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরূপ খবর বা তথ্য সমপ্রচার নিষিদ্ধকারী, কোন খবর বা বিষয়সম্বলিত কোন সংবাদপত্র, বই-পুস্তক, দলিল বা কাগজপত্র বাজেয়াপ্তকরণ এবং উহা মুদ্রণ বা প্রকাশনার জন্য ব্যবহৃত ছাপাখানা থেকে জামানত তলব এবং বাজেয়াপ্তকরণ, জামানত বাজেয়াপ্তকরণ বা ক্ষেত্রমত, সমপ্রচার নিষিদ্ধকরণ সত্ত্বেও খবর বা বিষয়সম্বলিত সংবাদপত্র, বই-পুস্তক, দলিল বা কাগজপত্র মুদ্রণ বা প্রকাশনার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ছাপাখানা বন্ধকরণ বা ক্ষেত্রমত, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার যন্ত্রপাতি জব্দকরণ, নদী ও সামুদ্রিক বন্দর, বিমান বন্দর, ডকইয়ার্ড, রেলপথ, সড়ক, সেতু, খাল, টেলিগ্রাফ, গ্যাস ও বিদু্যৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, জলযান, স্থলযান, বিমান ও রেলগাড়ি পণ্যাগার ও মালগুদাম, কলকারখানা, শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকার বা কোন স্থানীয় কতর্ৃপক্ষের প্রয়োজনে ব্যবহৃত বা ব্যবহার্য বাড়ি-ঘর, অঙ্গন ও অন্যান্য সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধানকরণ, বাংলাদেশের সঙ্গে কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্ষুণ্নকারী কার্যক্রম, রাষ্ট্র ও জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বার্থ বিঘ্নকারী কার্যক্রম, সমাজ জীবনে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ ও সেবাকার্য বিঘ্নকারী কার্যক্রম কিংবা বাংলাদেশের কোন অংশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা রক্ষাক্ষেত্রে অনিষ্টকারী কোন কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ও আটক রাখার বিধানকরণ এবং উক্তরূপ কোন ব্যক্তির কোন এলাকায় প্রবেশ, বসবাস, অবস্থান বা গতিবিধি সম্পর্কে বিধি-নিষেধ আরোপকরণ।
এছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশকারী, বাংলাদেশ ত্যাগকারী, অথবা বাংলাদেশ সফরকারী ব্যক্তিগণের নিয়ন্ত্রণ, নদী ও সমুদ্র বন্দর, বিমান বন্দর, ডকইয়ার্ড এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কার্যকলা ও ছুটি নিয়ন্ত্রণকরণ, রেলপথ, জনপথ ও স্থল পথে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং সরকার বা স্থানীয় কতর্ৃপক্ষের প্রয়োজনে নৌযান, রেলগাড়ি বা অন্যান্য স্থলযানে স্থান সংরক্ষণ, ডাক-সামগ্রী আটক বা তা' বিতরণ বিলম্বিতকরণ এবং ডাক, বেতার, টেলিগ্রাম, টেলেক্স, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট বা টেলিফোনের মাধ্যমে বার্তা বা খবর প্রেরণ নিয়ন্ত্রণ এবং এর মাধ্যমে প্রেরিত বার্তা বা খবর আটককরণ বা তা প্রেরণে ব্যাঘাত সৃষ্টিকরণ, সমাজ জীবনে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ ও সেবাকার্য অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ, বিদু্যৎ উৎপাদন , সরবরাহ, বিতরণ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, সমাজ জীবনে অত্যাবশ্যক সামগ্রী সরবরাহ ও সেবাকার্য সম্পর্কিত কোন প্রতিষ্ঠান বা সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা সরকার কতর্ৃক গ্রহণ, মুদ্রা, স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যাংক নোট, কারেন্সি নোট, সিকিউরিটি অথবা বৈদেশিক মুদ্রা ধারণ, ব্যবহার, হস্তান্তর বা তার কায়-কারবার নিয়ন্ত্রণ, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হুকুম দখলকরণ, জনজীবনে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর ব্যাপারে মজুদদারী, মুনাফাখোরি, কালোবাজারি বা অন্য কোন প্রকার অসাধু কার্যকলাপ প্রতিরোধকরণ, মুদ্রা, স্বর্ণ-রোপ্য, ব্যাংক নোট, কারেন্সি নোট, সিকিউরিটি এবং বৈদেশিক মুদ্রাসহ যে কোন প্রকার পণ্য বা দ্রব্যের আমদানি ও রফতানি নিষিদ্ধকরণ এবং এদের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ঈঁংঃড়সংফ অপঃ, 1969 (ওঠ ড়ভ 1969)-এর বিধানাবলী প্রয়োগকরণ, সভা, সমাবেশ, মেলা, মিছিল, শোভাযাত্রা এবং অবরোধ নিষিদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণকরণ এবং তৎসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশনা ও প্রচারণা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ আরোপ বা নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন, ক্লাব বা সমিতির কার্যাবলী ও কর্মতৎপরতা স্থগিতকরণ, রাষ্ট্র ও জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বার্থের হানিকর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সন্দেহে কোন স্থানে প্রবেশ এবং এতে প্রাপ্ত অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে যে কোন বস্তু আটক ও হস্তান্তরকরণ এবং ধর্মঘট ও লকআউট নিষিদ্ধকরণ।
অধ্যাদেশ-1 উপ-ধারার অধীন প্রণীত বিধি বা বিধি অনুযায়ী কোন আদেশ লংঘনকারী ব্যক্তির গ্রেফতার ও বিচারের বিধান করা হয়েছে। বিধান অনুযায়ী এ সব লংঘন বা লংঘনের চেষ্টা বা লংঘনের সহায়ক বা সহায়তার চেষ্টার জন্য সর্বোচ্চ মৃতু্যদণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
একই অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা চৌদ্দ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ড দেয়ার বিধান করা হয়েছে।
এছাড়া যে সম্পত্তি সম্পর্কে দেয়া বিধানের লংঘন বা লংঘনের চেষ্টা বা লংঘনের সহায়তা করা হয়েছে সে সম্পত্তি জব্দ, আটক ও বাজেয়াপ্তকরণ, উক্ত বিধি বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে সরকার বা কোন কর্মকর্তা বা কতর্ৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদান ও দায়িত্ব অর্পণ, উক্ত বিধি বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশের প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ বা তার লংঘন নিবারণের ব্যাপারে সরকারি কর্মচারী ও অন্যান্য ব্যক্তির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ, উক্ত বিধি বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ মোতাবেক কোন নোটিশ জারির ব্যাপারে বাধা নিবারণ এবং উক্ত বিধির অধীন কোন লাইসেন্স, পারমিট বা সার্টিফিকেট মঞ্জুর করার জন্য ফি আদায়।
অধ্যাদেশে এ ধারার অধীন প্রণীত যে কোন বিধিকে ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশে সরকার, আদেশ দ্বারা উল্লেখিত যে কোন বিধির অধীন তার সকল বা যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব এর অধীনস্থ যে কোন কর্মকর্তা বা কতর্ৃপক্ষের কাছে অর্পণ করার বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া এই আদেশের দ্বারা বা অধীন অর্পিত কোন ক্ষমতাবলে প্রদত্ত কোন আদেশ সম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
যে ক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশের দ্বারা বা অধীন অর্পিত ক্ষমতাবলে কোন কতর্ৃপক্ষ কতর্ৃক কোন আদেশ প্রদান বা স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে বিবেচিত হয়, সেক্ষেত্রে আদালত এভিডেন্স এ্যাক্ট, 1872 (ঢ ড়ভ 1872)-এর অর্থ অনুযায়ী উক্ত আদেশকে উক্ত কতর্ৃপক্ষ কতর্ৃক প্রদত্ত বা স্বাক্ষরিত বলে গণ্য করবে।
অধ্যাদেশ বা তদধীন প্রণীত কোন বিধি অথবা অনুরূপ কোন বিধির অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ মোতাবেক সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানি বা ফৌপদারি মামলা বা অন্য কোনরূপ আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না বলে বিধান করা হয়েছে।
এই অধ্যাদেশের অধীন কোন স্পষ্ট বিধান না থাকলে এই অধ্যাদেশ বা তদধীন প্রণীত কোন বিধি অথবা অনুরূপ কোন বিধির অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ মোতাবেক সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের ফলে সংঘটিত কোন ক্ষতির জন্য সরকারের বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না বলে বিধান করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।