বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..
এটি আসলে কোন লেখা নয়। লেখা এভাবে হয়না। এতা আর কাঠের চেয়ার বানানো নয় যে ধরো তক্তা মারো পেরেক। তবে পেরেক মারাও এতো সস্তা নয়। যারা জীবনে হঠাৎ হঠাৎ দু একবার পেরেক মেরেছেন তারা বিষয়টি বুঝবেন।
খেলাফত মজলিসের সাথে আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক! চুক্তি বেশ কয়েকদিন আগের কথা। পুরোনোই হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে বিষয়ের অনেক সমালোচনা হয়েছে। পালটাপালিট বিবৃতি ও পড়েছে দেখলাম বেশ কয়েকবার। এই চুক্তিতে কি আছে তা নতুন করে বলার কোন দরকার নেই।
ইসলামের ইতিহাসে হুদায়বিয়ার সন্ধি একটু বহুল আলোচিত ঘটনা। কৌশলগত কারনে এই চুক্তি ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এই চুক্তির অধিকাংশ শর্তই বাস্তবায়িত হয়নি এবং মুসলমানদের মধ্যেই অনেকে এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন। তারপরেও এই চুক্তিকে ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ধরা হয় এবং বলা হয় হুদায়বিয়ার সন্ধিই মক্কা বিজয়ের পথ প্রশস্ত করেছিলো।
যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গীবাদ ,অপশাসন ইত্যাদি নানা প্রত্যয়ে যখন আমাদের দেশের মৌলবাদী রাজনীতি চাপের মুখে তখন ধর্মনিরপেক্ষ! আওয়ামীলীগের সাথে খেলাফত মজলিসের 5 দফা চুক্তিকে কৌশলগত দিক থেকে মৌলবাদীরা অনেক গুরুত্ব দেবে এবং মৌলবাদী রাজনীতির রক্ষাকবচ হিসেবে এই চুক্তি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
সুতরাং এই স্মারক তারা মাথায় করে রাখবে সন্দেহ নেই।
আমাদের কি হবে? নুরজাহানদের কি হবে? আহমদিয়াদের কি হবে? শহীদের রক্তের অপমানের বিচার কিহবে? আমিনী , শায়খুল হাদিসরা তাদের খড়গ শানানো নিশ্চয়ই শুরু করে দিয়েছে। সিলেটের পীর হাবিবুর রহমান নৌকা মার্কায় নির্বাচন করলেও পরিস্কার বলে দিয়েছেন, তিনি তার পুরোনো কর্মকান্ডেই লিপ্ত থাকবেন। শামসুর রাহমান মারা গেলেন খুব বেশিদিন হয়নি। মুরতাদ ঘোষনা করে শামসুর রাহমান কে সিলেটে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন হাবিবুর রহমান।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের প্রতি অবিচল রেখেছিলেন কবি। তার ভাগ্য ভালো যে তিনি সময়মতই মরতে পেরেছিলেন। সম্ভবত এই প্রথম কোন বাঙালী কবির মৃতু্য নিয়ে এ জাতীয় কথা বললো। বলতে হলো যে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।