A "TRUTH" can walk naked but a "LIE" needs to be dressed . ঘুরে আসলাম পৃথিবীর সবথেকে বড় online black marketplace থেকে। নাম Silk Road।
এদের URL http://silkroadvb5piz3r.onion
কি URL দেখে অবাক হচ্ছেন?
wikipedia অনুসারে প্রতি মাসে এই সাইট এ প্রায় 1.2 million US dollars এর কেনাবেচা হয়। যে কোন ড্রাগ, pirated high end hardware, software থেকে শুরু করে professional killer পর্যন্ত ভারা পাওয়া যায় এখানে। কিনতে পাওয়া যায় অবৈধ অস্ত্র।
ফোর্বসের হিসেবে এখানে গত বছর ২২ মিলিয়ন ডলারের বেচা-কেনা হয়েছিল। আর এখানে প্রচলিত মুদ্রায় বেচাকেনা হয় না, বেচাকেনা হয় Bitcoin নামক একধরণের ভার্চুয়াল মুদ্রাতে। মাইক্রোসফট, অ্যাপেলের প্রোডাক্ট এখানে ৮০% পর্যন্ত ডিস্কাউন্টে পাওয়া যায়। iphone 5 officially release পাওয়ার অনেক আগেই নাকি এই সাইট এ পাওয়া গিয়েছিল।
Click This Link)
Click This Link
নিচের ছবিটা আমার buyer আকাউন্ট এর silk road Homapage. দেখুন কত রকম অবৈধ ড্রাগস এর বিজ্ঞাপনে ভরপুর।
ড্রাগসটাই আসলে এই সাইট এ বেশি চলে। ড্রাগস এর ক্রেতা বেশি।
এই ছবিতে দেখুন সাইট এ pure cocain এর add দেয়া হয়েছে .......... পাসে দেখুন দাম লেখা রয়েছে ฿0.81। ฿ অর্থ bitcoin. বাম পাসে দেখুন Cannabis, Opioids সহ আরও অনেক অবৈধ ড্রাগস এর লভ্যতার উল্লেখ আছে।
Click This Link
সাধারণ সারফেস ওয়েব বা World Wide Web দিয়ে এই সাইট এ ঢোকা যাবেনা।
ঢোকা যাবেনা কোন সাধারণ ব্রাউজার দিয়েও। গুগল দূরে থাক দুনিয়ার কোন সার্চ ইঞ্জিন এই খুঁজে পাওয়া যাবেনা এই সাইট। এই ধরণের আন্ডারগ্রাউন্ড সাইট গুলো যেখানে থাকে তাকে বলা হয় বলা হয় Black web।
এক জরিপে জানা গেছে দৃশ্যমান ওয়েবে যে পরিমাণ ডেটা সংরক্ষিত আছে তার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশী ডেটা সংরক্ষিত আছে অদৃশ্য black ওয়েবে। প্রকৃতপক্ষে এই দৃশ্যমান নেট হল মহাসাগরে ভেসে থাকা এক খন্ড হিমবাহ আর black ওয়েব হল মহাসাগর খোদ নিজে! বড় বড় underground hacker group বা international terrorist ও drag dealerদের আড্ডাখানা হোল black web.
ব্ল্যাক ওয়েবেকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, আর তা হলঃ
1. The Deep Web
2. The Dark Web
ডীপ ওয়েব হল ইন্টারনেটের ওই সমস্ত অংশ যেগুলো সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পায় না কিন্তু আপনি যদি এগুলোর ঠিকানা জানেন তাহলে আপনি এই অংশে যেতে পারবেন।
আর ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের ওই অংশ যেখানে কনভেনশনাল উপায়ে আপনি ঢুকতে পারবেন না, প্রচলিত ব্রাউজারগুলো সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। সেখানে প্রবেশ করতে গেলে আপনাকে বিশেষ সফটওয়্যার এর সহায়তা নিতে হবে। Silk Road site টা dark web এ আছে।
আপনার প্রচলিত ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে এই সমস্ত সাইটে ঢুকতে পারবেন না। এরা ইন্টারনেটের সমস্ত প্রথার বাইরে অবস্থান করে, গ্রাহ্য করে না কোন নিয়ম-কানুন।
আর এদের ঠিকানাও থাকে এতটাই উদ্ভট (যেমন sdjsdhsjhsuyumnsdxkxcoioiydsu67686hsjdhjd.onion) যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো মনে রাখা ভীষণ কঠিন। এই অংশটিই ইন্টারনেটের প্রকৃত অদৃশ্য অংশ। বিশেষ কিছু জ্ঞান( যেমন প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, প্রক্সি) না থাকলে আপনি এই নেটওর্য়াকে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই অংশের আরেকটি বিশেষত্ব হল এরা ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাইটগুলোর মত টপ লেভেল ডোমেইন (যেমন .com) ব্যবহার না করে “Pseudo Top Level Domain” ব্যবহার করে যা কিনা মূল ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে না থেকে দ্বিতীয় আরেকটি নেটওর্য়াকের অধীনে থাকে। এ ধরণের ডোমেইনের ভেতর আছে Bitnet, Onion, Freenet প্রভৃতি।
Click This Link
নিজের ছবিতে সার্ফেস ওয়েব, গুগল মামার দৌড় আর সেই সাথে ডার্ক ওয়েব এর অবস্থান খুব সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে। ছবিটিতে এতাও বঝান হয়েছে যে উইকিলিক্স এতো সব তথ্য মূলত যোগার করে এইসব ডার্ক ওয়েব থেকেই। আপনিও যদি ডার্ক ওয়েবে ঢুকতে পারেন ও বিচরন শুরু করেন তাহলে এইসব চাঞ্চল্যকর তথ্য আপনারও বের করে আনতে খুব বেসি সময় লাগবে না।
আবার ফিরে আসি Silk Road এর কথায়। ক্রেতারা এই সাইটে ফ্রি আকাউন্ট খুলতে পারে।
যেমন আমি খুলেছি। কিন্তু বিক্রতাদের বহু ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয় আকাউন্ট খুলতে। প্রতিটা আকাউন্ট এর জন্য খুব গোপনে নিলাম হয়। তারপর বহু রকম শর্ত তর্ত মেনে আকাউন্ট খুলতে হয়। এইসব শর্ত কোন একটা ভাংলে জীবন চলে যেতে পারে।
আমি কীভাবে ঢুকলাম সাইটটায়?
Tor network এর হিডেন সার্ভিস ব্যবহার করে সাইটটিতে ঢোকা যায়।
গত বছর গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটা সংবাদ প্রকাশ কড়া হয়েছিলজে মার্কিন বিভিন্ন গোয়েন্দাসংস্থা ও hacker group বহুদিন ধরে বহু চেষ্টা করেওএই সাইট বন্ধ করতে পারেনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।