বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
সকাল সাড়ে 6টা। চারপাশে কুয়াশার হালকা চাদর। এর মধ্যেই বিশিষদ্বজনদের সঙ্গে বেদির পশ্চিম পাশটায় এসে নীরবে দাঁড়ালেন তিনি। নিভৃতচারী মানুষ।
কম কথা বলেন। কিন্তু চোখ দুটিতে অসল্ফ্ভব দু্যতি খেলা করছিল। বারবার চোখ চলে যাচ্ছিল সৌধের সুউচ্চ চূড়ায়। বিউগলে তখন করুণ সুর বাজছে। ধীরে ধীরে পতাকা উঠছে।
আর শানস্নসৌম্য মানুষটি অপলক চোখে দেখছেন তারই অমর কীর্তি মুক্তিযুদব্দের শহীদদের স্ট্মরণে নির্মিত 'জাতীয় স্ট্মৃতিসৌধ'।
এই প্রথমবারের মতো রাষদ্ব্রীয় নিমন্পণে জাতীয় স্ট্মৃতিসৌধে এসেছিলেন বরেণ্য স্ট্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। উদ্বোধনের পর কোনো সরকারই সৌধ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কোনো রাষদ্ব্রীয় অনুষ্ঠানে নিমন্পণ করেনি তাকে। ডাক পাননি সৌধটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। কিন্তু যখনই ইচ্ছা হয়েছে, তিনি এসেছেন।
একা একা ঘুরেছেন। সর্বশেষ এসেছিলেন গত বছরের 26 মার্চ।
মুক্তিযুদব্দে শহীদদের প্রতি আনুষ্ঠানিক শ্রদব্দা জানানো শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন তড়িঘড়ি। প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে সৌধ প্রাঙ্গণে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন। কেমন লাগছে জানতে চাইলে ছাড়া ছাড়া বাক্যে বললেন, আমি তৃপ্টস্ন।
ভালো, সবকিছুই খুব ভালো লাগছে। এত মানুষ দেখতে আসে, সে জন্যই ভালো লাগে। ... মুক্তিযুদব্দের আগে একটা শগ্ধকা-সংকটের মধ্য দিয়ে সময় যাচ্ছিল। একটা ঘটনা শেষ হয় তো আরেকটা শুরু হয়। একটা ওঠে তো আরেকটা নামে।
তারপর এলো মুক্তিযুদব্দ। আমরা স্ট্বাধীনও হলাম। আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল একটা চাপের মুখে প্রকৃতি থেকে কিছু একটা উঠে আসছে। সেই কনসেপ্টল্ট থেকেই এটার জন্ম।
তিনি আরো বলেন, '52 থেকে '71 সাল পর্যনস্ন ঘটে যাওয়া বিভিল্পম্ন ঘটনার সঙ্গে সংখ্যা 7-এর একটি মিলও রেখেছি আমি।
যেমন '52-এর ভাষা আন্দোলন_ 5 আর 2 মিলে 7, বীরশ্রেষ্ঠ 7 জন, 16 ডিসেল্ফ্বরের 1 আর 6 মিলে 7, 25 মার্চের 2 আর 5 মিলে 7, আর সবশেষে '71-এর 7। অর্থাৎ স্ট্বাধীনতা যুদব্দ।
আজকের প্রেক্ষাপটে স্ট্বাধীনতা যুদব্দ, গণতন্প ও মুক্তিযুদব্দের চেতনা প্রসঙ্গে তিনি খুব অল্কপ্প কথায় বললেন, দেশটা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। উল্পম্নতি হয়েছে। এসব কথা বলা মুশকিল।
আগে যা দেখেছেন, তা থেকে সব বড় হয়ে গেছে, সরে গেছে, শহর বেড়েছে। তবে একাত্তরের চেতনা বাস্টস্নবায়িত হচ্ছে।
দীর্ঘ 8-9 বছর ধরে প্রচ- অসুস্ট্থতার কারণে বাড়িতেই কাটিয়েছেন এই বরেণ্য স্ট্থপতি। কথা বলতেন না। কাউকে ঠিকমতো চিনতেনও না।
কেউ ডাকলে চমকে উঠতেন। তবে ত্রক্রমেই সুস্ট্থ হয়ে উঠছেন তিনি। শনিবার সঙ্গে আসা তিন বল্পব্দুর একজন মুক্তিযোদব্দা এম আবদুল আজিজ কাতরস্ট্বরে বললেন, ওর জন্য দোয়া করবেন আপনারা। যেন সুস্ট্থ হয়ে ওঠে। যেন আরো অনেক কিছু দিতে পারে এই জাতিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।