বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
'আমার বুকের ভেতর এখন কেবলই হাহাকার
এবং হূৎপি-ে যেন এক প্রবল পালকপোড়া পাখি, থেকে থেকে শুধুই নির্মম চিৎকারে ওঠে ডেকে, মুনীর মুনীর, জহির রায়হান,আত্দ্মার সঙ্গীরা আমার তোরা সব কোথায় পালালি?
তারপর আরো ডাকে ফারুক, কায়সার,কোথায় ওরে তোরা ভাইয়েরা আমার?
তারপর আরো কাঁদে মশিউর রহমান, মশিউর রহমান। '
কবি হাসান হাফিজুর রহমান
বিজয়ের ঠিক আগ মুহহৃর্তে হানাদারদের এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সনস্নান বুদব্দিজীবীদের হত্যা করে। রমনা থানায় দায়ের করা বুদব্দিজীবী হত্যা মামলার বাদী ফরিদা বানু বর্ণনা দিয়েছেন সে হত্যাকা-ের । তিনি এজাহারে বলেছেন, তার ভাই গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ও মুহসীন হলের হাউজ টিউটর ছিলেন।
14 ডিসেল্ফ্বর সকালে ঘাতকরা মুহসীন হল সংলগ্গম্ন বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে হলের দিকে যায়। হলের সামনে তাকে পেয়ে দারোয়ান আবদুর রহিমের গামছা নিয়ে চোখ বেঁধে ইপিআরটিসির একটি মাইত্রেক্রাবাসযোগে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। ঘাতকরা অন্যান্য হাউজ টিউটরের বাসায়ও যায়। এ সময় ওই হলের ছাত্র ছিলেন বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
তিনি পুরো ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। পরে তারা জানতে পারেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ড. মোঃ মুর্তজা, ড. আবুল খায়ের, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক সিরাজুল হক ও ড. সনস্নোষ ভট্টাচার্যসহ আরো অনেককে ধরে নিয়ে গেছে আলবদররা। শহীদ বুদব্দিজীবী মোঃ মুর্তজার স্ট্পী ও সিরাজুল হকের ছেলে এনামুল হক অপহরণকারীদের দু'জনকে চিনতে পারেন। এরা হলো চৌধুরী মাইনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান। দু'জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
এদের মধ্যে আশরাফুজ্জামান তৎকালীন অবজারভার পত্রিকায় সাংবাদিকতা করত। দেশ স্ট্বাধীন হওয়ার পর 18 ডিসেল্ফ্বর ফরিদা বানু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা ছেড়ে আজিমপুরের ভাড়া বাসায় চলে যান। '72 সালের 4 জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তিনি তার আত্দ্মীয়স্ট্বজন নিয়ে ড. মুর্তজা, ড. আবুল খায়ের ও ড. সনস্নোষ ভট্টাচার্যসহ অনেক বুদব্দিজীবীর গলিত লাশ দেখতে পান। 5 জানুয়ারি মিরপুরের বর্তমান শহীদ বুদব্দিজীবী স্ট্মৃতিসৌধের কাছে গিয়ে তার ভাই গিয়াসউদ্দিন আহমেদের গলিত লাশ পান। লুঙ্গি ও জামা দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
উল্ক্নেখ্য, এই মামলার এজাহারভুক্ত চৌধুরী মাইনুদ্দীন লন্ডন ও আশরাফুজ্জামান নিউইয়র্ক প্রবাসী। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনারও কোনো উদ্যোগ নেই। তাদের বুদব্দিজীবী নিধনের ওপর ডেভিড বার্গম্যান ওয়ার ত্রক্রাইম ফাইল নামে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছেন। লন্ডনের টুয়েনটি টুয়েনটি টেলিভিশনের চ্যানেল ফোরের উদ্যোগে ওই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।