বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
প্রথম হাতঘড়িটি ছিল অনেকটা ব্রেসলেট আদলের। 200 বছর আগে সুইজারল্যান্ডের এক ঘড়িওয়ালা দামি মণিমুক্তা বসানো একটি ব্রেসলেটে প্রথম ঘড়ি বসিয়ে দেন হাতে পরার জন্য।
হাতঘড়ির প্রচলন এখন বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের কোটি কোটি লোক এটি ব্যবহার করেন।
দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় হাতঘড়ি দিয়ে। এই অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রটি এক সময় ছিল নিতান- তাচ্ছিল্যের বস'। সময়ের প্রয়োজনে এটি এখন সবার হাতে হাতে। বিশ্বের অনেক দেশেই মেয়েরা হাতে চুরি, রুলি বা বালা পরে। ইউরোপ-আমেরিকার মেয়েদের হাতের এসব গহনাকে বলা হয় ব্রেসলেট।
প্রথম হাতঘড়িটি ছিল অনেকটা ব্রেসলেট আদলের। 200 বছর আগে সুইজারল্যান্ডের এক ঘড়িওয়ালা দামি মণিমুক্তা বসানো একটি ব্রেসলেটে প্রথম ঘড়ি বসিয়ে দেন হাতে পরার জন্য। সে থেকে মেয়েদের হাতে আসে ঘড়ি। তবে দাম বেশি হওয়ায় ধনাঢ্য ঘরের মেয়েরাই তখন হাতঘড়ি পরত। এর 100 বছর পর জার্মানিতে পুরুষের জন্য প্রথম হাতঘড়ি তৈরি হয়।
বড় বড় যুদ্ধজাহাজে যারা কামান দাগাতো তারাই এ ঘড়ি পরত। দোকানে হাতঘড়ি চলত না। কেউ না কেনায় দোকানদাররা পর্যন- এ ঘড়ি দোকানে রাখতে চাইত না। ফলে হাতঘড়ির ব্যবসা প্রায় উঠে যায়। সুইজারল্যান্ডের পর 1908 সালে হঠাৎ করে ফ্রান্সে মেয়েরা হাতঘড়ি পরতে শুরু করে।
হাতঘড়ি পরা মেয়েদের জন্য তখন ফ্যাশনে পরিণত হয়। তবে পুরুষরা একে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখত। ভাবত এটা মেয়েদের গহনা। পুরুষরা এটা পরবে কেন।
1914 সালে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
যুদ্ধের ময়দানে পকেট থেকে বারবার ঘড়ি বের করে সময় দেখা সৈন্যদের জন্য ছিল বিরক্তিকর ও দারুণ ঝামেলার। এর চেয়ে বরং হাতের ঘড়িতে সময় দেখা ছিল খুব সহজ। তাই সৈন্যরা হাতঘড়ি পরতে শুরু করে। তাদের দেখাদেখি অন্যেরাও এটি পরতে শুরু করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় 1918 সালে।
যুদ্ধ শেষ হলেও সৈন্যদের হাতঘড়ি পড়ার অভ্যাস শেষ হয়নি। সেই অভ্যাসের ব্যাপ্তি দিন দিন বাড়তেই থাকে। এখন বিশ্বজুড়ে এর প্রচলন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।