আমার ব্যক্তিগত ব্লগ
বনের ভিতরে পানির পাশে কাদার মধ্যে কয়েক জায়গায় দেখলাম ছোট ছোট কিসের যেন পায়ের ছাপে ভর্তি। গাইড বলল উদ বিড়াল। মনে হলো 60/70 ফুট লম্বা এলা কা জুড়ে কাদার মধ্যে ভর্তি এদের ছাপ। সেই সাথে রয়েছে হরিণের পায়ের ছাপ, গুই শাপের পায়ের ছাপ। বাকি গুলো মাড ইটার আর কাকড়ার।
শুধু পায়ের ছাপ দেখেই মোটামুটি আন্দাজ করা যায়, কোন এলাকায় কে কখন ঘোরাঘুরি করে। হরিণরা উদবিড়ালের মতোন সাড়া এলাকায় ছড়িয়ে ছাপ ফেলেনি। একসাথে জড়ো হয়ে পানি খেয়ে চলে গেছে। গুইশাপ সোজা এসে পানিতে গেছে বা উঠে গেছে। আর আছে শুয়োরের পায়ের ছাপ।
এখানকার জেলেরা উদবিড়াল পোষে। ওরা গলায় দড়ি দিয়ে বেধে রাখে। পোষা উদবিড়াল মুখে জাল নিয়ে পানিতে ডুব দিয়ে মাছ ধরায় সাহায্য করে। মাছ ধরতে পারলে, জেলেরা পুরস্কার স্বরুপ একটা মাছ খেতে দেয়। এদের দাঁত খুব ধারানো হয়।
উদ বিড়ালরা সংগিদের প্রতি খুবই যত্নশীল। এক জোড়ার একটাকে বেধে আরেকটা ছেড়ে রাখলেও খুব বেশি দূর যায়না। একটু ঘোরাফিরা করে আবার ফিরে আসে। তবে এদের গা থেকে প্রচন্ড গন্ধ বের হয়। জেলেরা তাই এদের নৌকার একপাশে খাঁচায় রাখে, নিজেরা থাকে অন্য পাশে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।