সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়াই
অশীতিপর এখনও হন নি শ্রদ্ধেয় ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, কিন্তু খুব বেশিদিন বাকিও নেই তা হতে। পৃথিবীর ইতিহাসে হেপ্টাজেনারিয়ান রাষ্ট্রনায়ক যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সাথে তাঁর পার্থক্যগুলি নিয়ে আগেও কয়েক দফা লিখেছি। এখন সবচেয়ে বড় তফাৎ এসে দাঁড়িয়েছে অন্য জায়গায়। তিনি এখন রাষ্ট্রপতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, এবং তেরোটি পোর্টফোলিওর হর্তাকর্তা। হারকিউলিয়ান টাস্ক বললেও কম হয়ে যায়, তাই বাধ্য হয়ে আমার এই কয়েনেজ, ইয়াজকিউলিস।
কিন্তু একজনকে এত দায়িত্ব সামলাতে গেলে মাঝে মাঝে প্যাঁচঘোঁচ লেগে যাওয়া স্বাভাবিক। এই দ্্বান্দ্বিক পরিস্থিতিটি বোঝা যেতে পারে ধর্ষিতা ইমরানা বিবির ঘটনা থেকে। তার শ্বশুর হতভাগাই তাকে ধর্ষণ করে। "শরিয়া আইন" এর কান্ডারীরা রায় দেয়, এই ঘটনার ফলে এখন ইমরানার শ্বশুরই তার স্বামী, তার স্বামী এখন তার পুত্র। কাজেই শ্বশুরের ঘাড়ে বর্তায় ইমরানাকে বিয়ে করার গুরু দায়।
বাংলাদেশেও নির্বাহী ক্ষমতা যেন এক ইমরানা বিবি। কে যে তার স্বামী আর কে যে তার শ্বশুর, কে কখন তাকে চিৎকাত করে প্রবিষ্ট হচ্ছে, বোঝা ভার। আমাদের আরো ধন্ধ লেগে যায়।
আরো কষ্ট বাড়ে জিদানকে আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে না ঘরকা না ঘাটকা হয়ে খেলতে দেখে। ফুলপ্যান্ট আর কেডস পরেই মাঠে নেমে পড়েন গুরু।
ফল যা ফলবার, নাগালে বল এলেই প্যান্ট কোমর ছেড়ে অধঃপতিত হতে চায়। বল না প্যান্ট, কোনটা খোয়াবেন ভেবে পান না জিদান। তার এই অদ্ভূত কীর্তি দেখে আবাহনী মোহামেডানের খেলোয়াড়রাও চটে ওঠে, তাকে আর পাস দেয় না, নিজেরাই খেলতে থাকে প্রাণপণে। কেউ চায় না, বল পাস পেয়ে তার ওপর কারিকুরি করতে গিয়ে জিদান প্যান্টটা খোয়াক। সাংবাদিক দুষ্টুরা আবার কী তথ্য সন্ত্রাস করে বসে কে জানে।
জিদানকে সেদিন বার বার জার্সি বদল করতে দেখে কীসব আবছা সত্য যেন স্পষ্ট হয় আমার কাছে। পল্টিবাজির ফল ভালো নয়। খেলতে গেলে খেলোয়াড়ের মতো খেলতে নামা উচিত। বলও খেলবো প্যান্টও পরে থাকবো, তা হবে না। আপনারা বলতে পারেন, জিদান তো পারলো।
আমি বলবো, পারেনি। জিদান মিনিট দশেক ভুগে মাঠ ছেড়ে পালিয়েছে পুলিশের প্রহরায়। প্যান্ট সামলানোর জন্যই।
এলোমেলো ছবিগুলি হাতে নিয়ে বসে থাকি। আনমনে নাড়াচাড়া করি।
জানি, টুকরোগুলি বসিয়ে দিলে যে ছবিটা চোখের সামনে দেখবো তা দেখতে চাই না। তাই প্রার্থনা করি, সব সংকটের অবসান হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।