ফেলে দেওয়া মাল, কেউ নেই ধারে কাছে, বাতাস এলে উড়ে সব তালগোল,এখনই ঠিক সময়,লুঠ তো করতেই হবে। হা হা হা...
চট করে ঠান্ডা হয়ে যায় তালু চারটি, হাত ও পায়ের। মোজা টেনে টেনে বের করি, কতগুলো আছে। ছেঁড়া ও ফাটা? পা ফাটতে শুরু করেছে। টি ভিতে বিজ্ঞাপন : রাণী, রাণী আর রাণী।
জু-এর সামনে লম্বা লাইন। ভেতরে না জানি কত হই-চই।
বাগেশ্রী ও রসিদ খান।
লাল কম্বল।
বাড়ি গেলাম একরাতের জন্য, অন্তত ফেরার ট্রেনপথে ছেলে যেমন ভাবতে থাকে, ফিরে গিয়ে কি কি দেখবে, পাল্টে গেছে, নতুন হয়েছে এবং ও মা কোথায় পিঠে ?
আমার এই গঙ্গা নদীটা ইচ্ছে করলে পকটে করে নিয়েই বেড়ান যায়, শুকিয়ে গুটিয়ে এট্টুস।
পুলওভার পরতে বেশ লাগে, জামা একটু ময়লা হলেও বোঝা যায় না।
গঙ্গার ঠিক মাঝে আবার ভেসে উঠেছে ছেলেবেলা একটা গোটা চর হয়ে। ইঁট ভাটির সাঁকোটি নেই সেখানে।
দ্রুত লাঙ্গল চালিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে ধানের নাড়া গুলি। যেখানে সময় থমকে আছে সেখানে মাকড়সা জাল বুনে চলে।
ভোরের শিশিরে সেখানে সব তাজমহল।
টুসুর চালে লাউ ধরেছে ক্যাসেটটা খুঁজে পেলাম না, বেশীর ভাগ ক্যাসেটই ঘোরে না। তবে খুঁজে পেলে ভালো লাগত, না পেলে ঠান্ডা। পুরুলিয়া বাসষ্ট্যান্ডের পেছনে মাইতি রেকর্ডস। ঝাড়গ্রাম লেবেল ষনক্ষ্মস করে সাগর, বিজয় মাহাতোর বাড়ি যাওয়ার পাথে।
ওরঙ্গাবাদ থেকে টানা গাড়িতে বেলডাঙ্গা, ও। ও খুঁজতে, সে সময়টা জুড়ে আবিস্কৃত হচ্ছেন সলাবত্ মাহাত, সিরাজ বয়াতি এব ংমালবাজারে তার দরবেশী গান শুনব বন্ধে আটকে পড়া ট্রেনে, বাহ বাহ...
চালকুমড়ো বাটা চলছে, শীতের দুপুরে মহিলা মহল চলছে ছাদে, ক্রমশ বড়িগুলি জাভেদ মিঁয়াদাদ ও চেতন শর্মার মত চিরস্নরনীয় হয়ে থাকবে। ইউ কে মজলিশে ডিমভর্তি ট্যাংরা মাছের সাথে আবার দেখা পাব তাদের।
গাজরের হালুয়া চুরি করে খেতে গিয়ে পুড়ে ফেলবে জীভ, বোকা ছেলে জানে না, সবটাই তার, পুড়ুক। মাঝে মাঝে কফি খেতে গিয়েও তো এই ভাবে পুড়ে যায় জীভ তার।
ছোট্ট- ছোট্ট চিরকুটে কয়েকটা বই-এর নাম লিখে অপেক্ষা করবে বইমেলা, মেলায় যাওয়ার সময় সেটা খুঁজে পাওয়া যাবে না কক্ষনও। চাট্টি হাবি-জাবি বই কিনে বাড়ির উঁইগুলিকে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বাঁচিয়ে রাখার।
প্রচন্ড চিত্কারের মধ্যে মুখ গুঁজে বসে রাত্তির দেড়টা-দুটোয় স্যুপ বা থুকপা রান্না করতে বসবে। শূণ্য শূণ্য সার সার বোতলগুলি এক এক করে সাজিয়ে রাখবে রান্নাঘরে উপরের তাকগুলিতে। রাষিন আরও বাড়লে নি:সঙ্গতায় নিজেকে সালার জং মনে করব।
নলেনগুড়ের গরম রসগোল্লা খেয়ে বোঝার চেষ্টা করব হাওড়া ও চন্দননগরের তফাত্।
লেপের ভেতর চলবে যুদ্ধ- যুদ্ধ খেলা। এমন কী যুদ্ধের আগে সেতু বন্ধনও। লুকিয়ে লেখালেখি ও বইপড়া। যেদিন ধরা পড়বে ডায়রি একলাটি ছাদে লুকিয়ে থেকো।
রোদ্দুর পাতা নড়া ছায়া দেখো আরো লিখে ফেল দু/একটা পাতা ।
পড়া কামাই করে মিশে যাই ধু ধু কুয়াশায়। রাম তিতো হয় জেনে সন্দেশ কিনে নি সাথে। সাথে বন্ধু- ও- বান্ধব। মহাপ্রস্থানের পথ।
নতুন যে বাড়িগুলি তৈরি হচ্ছে উঠে যাও তাদের ছাদে। ফেলে এসো প্রিয় মাফলারখানি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।