প্রধানমন্ত্রী গতকাল বললেন, জঘন্য!
শুনেছি বয়স হলে মানুষের মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যায় । কিছু অঙ্গ শিথিল হয়ে যায় । আমাদের ওনারও বয়স হয়েছে । বয়সের কারণেই তিনি এমন অসংলগ্ন কথা বলেন কিনা জানি না । তবে তিনি দ্বীন-ধর্মের ওপরও অত্যাচার করেছেন অনেক ।
তাতেও তিনি বেসামাল হয়ে থাকতে পারেন । কিন্তু আজ তিনি যা বললেন তাকে কোন দুর্বলতার হেতু বলবো বুঝতে পারছি না । কারণ যাই হোকনা কেনো তার আজকের বক্তব্য যে তাকে এবং তার দলকে পতনের আরও গভীরে নিয়ে যাবে তাতে আর কী সন্দেহ?
তিনি আজ বললেন,
‘আমাদের একজন ধর্মীয় নেতা আল্লামা শফী, তিনি মহিলাদের সম্পর্কে অত্যন্ত জঘন্য ধরনের বক্তব্য রেখেছেন বলে আমি মনে করি। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম এবং ইসলাম ধর্ম প্রথম যিনি গ্রহণ করেছেন তিনি কিন্তু একজন মহিলাই ছিলেন। ’ তিনি বলেন, ‘নবী করিম (সা.) যে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন, সে ইসলাম ধর্মটা প্রথম গ্রহণ করেছেন একজন মহিলা, বিবি খাদিজা।
এটি স্মরণে রাখা উচিত ছিল। ...বিবি আয়েশা নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে যেতেন, যুদ্ধ করতেন। ইসলাম ধর্মের জন্য যে জিহাদ হয়, সে জিহাদে যিনি জীবন দেন, শহীদ হন, তিনি কিন্তু একজন নারী, তিনিও একজন মহিলা, বিবি সুমাইয়া। আর সেই নারী সম্পর্কে এগুলো নোংরা, জঘন্য কথা বলা, আবার সেটাও একজন নারী নেতৃত্বকে মেনে নিয়ে। ’
তিনি আল্লামা আহমদ শফীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এখন মহিলাদের সম্পর্কে যে নোংরা কথা বলা..., তিনি কি মায়ের পেট থেকে জন্মান নাই? মায়ের সম্মানটুকু উনি রাখবেন না? উনার কোনো বোন নেই? ওনার স্ত্রী নেই? তাদের সম্মান রাখবেন না, যে এ ধরনের নোংরা জঘন্য কথা বলেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের নোংরা কথা কেন বলবেন? আমাদের দেশের নারী সমাজের এ ব্যাপারে আরও সোচ্চার হওয়া উচিত।
কাজেই ইসলাম ধর্ম একমাত্র ধর্ম যে নারীকে অধিকার দিয়েছে। নারীকে বাপের বাড়ির অধিকারও দিয়েছে, স্বামীর বাড়িতেও অধিকার দিয়েছে। মেয়েরা কিন্তু দুই দিকেই অধিকার ভোগ করতে পারে। কাজেই এটা আমাদেরকে মনে রাখতে হবে। '
তিনি আরও কতো কী বললেন...
মহান আল্লাহ্র কাছে আল্লামা আহমদ শফীর এবং তার মধ্যকার ওজনের পার্থক্য কতটুকু তা আল্লাহ্ই ভালো জানেন কিন্তু আজ তিনি আল্লামা আহমদ শফীকে যে ভাষায় ইসলামের জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করলেন তাতে তিনি আল্লামা আহমদ শফীকে মক্তবের শিশু জ্ঞান করলেন ।
তিনি অবশ্য ধরাকেও সরা জ্ঞান করতে পারেন । ক্ষমতায় আছেন বলে কথা... ।
নারীদের 'তেঁতুল' বলায় যে 'বিশিষ্ট' ব্যক্তিরা রাজপথে নেমেছেন তাঁদের দিকে আলোকপাত করা যাক।
---------------------------------------
লিপিস্টিক
নির্মলেন্দু গুণ
ট্যাকা কি গাছের গুডা?
নাকি গাঙের জলে ভাইস্যা আইছে?
এই খানকী মাগীর ঝি,
একটা ট্যাকা কামাই করতে গিয়া
আমার গুয়া দিয়া দম আয়ে আর যায়।
............
............
---------------------------------------------
কবিতার ভাষা নিয়ে কিছুই বলার নাই।
অথচ ইনি হলেন বাংলা ভাষার স্বঘোষিত প্রধান কবি। যে ভাষার 'প্রধান কবি'র ভাষার এই হাল সে ভাষাযে প্রকৃতপক্ষে কেবলমাত্র বেশ্যাপল্লীরই উপযোগি এবং ভদ্রসমাজে ব্যবহারে অনুপযোগী তাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে জিজ্ঞাস্য এটাই, নারীকে তিনি কেন 'খানকী মাগীর ঝি' বলে গাল দিলেন? এই অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে?
----------------------------------------------
চির অনাবৃতা হে নগ্নতমা
নির্মলেন্দু গুণ
গুণের চির অনাবৃতা হে নগ্নতমা
নদীর জল তোমাকে যেভাবে পেয়েছে
............
............
----------------------------------------------
নারী আমাদের মা, আমাদের বোন। একটিবার চিন্তা করুন আপনার মা-বোন চিরনগ্ন। বিষয়টি চিন্তা করতে আপনাদের কিরুপ লাগছে আমি জানি না তবে আমার বমি আসছে।
নারীকে 'চিরনগ্নতমা' বলে নারীকে জোড় করে সাহিত্যিকভাবে উলঙ্গ(ধর্ষন) করার অপরাধে এই 'বিশিষ্ট' নাগরিকের কি শাস্তি হতে পারে?
উল্লেখ্য যে এই 'বিশিষ্ট' নাগরিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যয়নকালে বর্তমাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহপাঠি ছিলেন।
হুমায়ূন আজাদ এবং তসলিমা নাসরিনরা মা-বোনদেরকে কীরূপ অতিকায় পাইপ লাইনে ইজ্জত সরবরাহ করেছেন তা যদি মাননীয় তিনি একটু ভেবে দেখতেন ... !
এমন একটি দুরাশা নিয়েই আজ বিছানায় গেলাম ।
আর আজ সংসদে পরিষদ-দল বললো, গ্রাম্য ধর্মব্যবসায়ী, পাপী, সংবিধান অবমাননা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, কুরুচিপূর্ণ, ছি ছি ছি...
আল্লামা শফীর ধর্মব্যবসাটা কেমন, জানেন?
বিশেষ তহবিলে বছরে ৭০০ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বছরে একবেলা এতিমদের সাথে ইফতার করে খুব ফটোসেশন করেন। গণভবনের সেই এসি অডিটোরিয়ামে হয়ত বড়জোর ৫০০ এতিম আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে জনগণের টাকায়
একবেলা খাওয়ার সুযোগ পায়।
আর "গ্রাম্য ধর্মব্যবসায়ী" (??!)আল্লামা শফী তাঁর হাটহাজারী মাদ্রাসায় ১০ হাজারেরও বেশি হতদরিদ্র ছাত্রকে প্রতিদিন চারবেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন।
মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও তাঁর অনুগ্রহ-প্রত্যাশী বান্দাদের অর্থসহায়তায় এসব ছাত্রের থাকা-খাওয়া, জামা-কাপড়, বই-পুস্তক, কাগজ-কলম সবই মাদ্রাসা থেকে দেয়া হয়।
হ্যাঁ, এখানকার বেশকিছু ছাত্র আক্ষরিক অর্থেই "ফকিরনির পুত" - অনেকেই সম্পূর্ণ এতিম।
না, এদেরকে আল্লামা এসি রুমে রাখতে পারেন না। না, এদেরকে প্রতিদিন চারবেলা খাইয়ে আল্লামা কোনো ফটোসেশনও
করেন না। বেবি মওদুদদের সংসদে প্রণীত বাজেটে ওদের জন্য একটি টাকাও বরাদ্দ রাখা হয় না।
কারণ মতিয়াদের রাষ্ট্র ওইসব এতিম, গ্রাম্য, ফকিরনির পুতদের কুরআন-হাদীস অধ্যয়নের
সনদকে এখনো স্বীকৃতিই দেয়নি।
তাই এসব গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে ৭০ বছর (প্রধানমন্ত্রীর বয়সের চেয়েও বেশি) ধরে কুরআন-হাদীস পড়িয়ে, ওয়াজ-মাহফিলে গ্রামীণ ভাষায় ধর্মের কথা শুনিয়ে বড় জঘন্য অপরাধই করেছেন আল্লামা। পাপের কোনো সীমা নেই প্রধানমন্ত্রীর পিতার বয়সী [প্রধানমন্ত্রীর পিতা ও আল্লামা উভয়েরই জন্ম ১৯২০ সালে] এই বৃদ্ধের। কারণ, ওইসব ছাত্রকে এই বৃদ্ধ টিএসসির আলো- আঁধারীতে বিএফ/জিএফ-এর মজা-লুটার বিদ্যা রপ্ত করাতে পারেননি। কারণ, এই বৃদ্ধ বঙ্কিমি বাংলার সুচারু প্রয়োগে শেরাটন বা ওয়েস্টিনের হলরুম কাঁপাতে জানেন না।
আর তাই নটী তারানা হালিমদের রাষ্ট্র এই বৃদ্ধের গ্রাম্য ছাত্রদের শহরের চত্বরে একটি রাত কাটানোর নিদারুণ স্পর্ধাকে ইলেকট্রিসিটি নিভিয়ে দারুণভাবেই দমিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ওইসব গ্রামীণ হতভাগারা নাকি সেই রাতে রঙ মেখে তারানাদের মতো অভিনয় করতে চেয়েছিল! পুলিশ চলে যাওয়ার
পর ওইসব লাশ নাকি উঠে দৌড় দিয়েছিল!
আল্লামা শফী ও তাঁর সহকর্মীদের রাতজাগা তাহাজ্জুদের কান্না সাক্ষী - ওইসব রঙ মাখা লাশ এখনো দৌড়ে তাদের গ্রাম্য, জঘন্য, রাষ্ট্রদ্রোহী অভিভাবকের বুকে পৌঁছায়নি। মাদ্রাসায় তাদের
শীর্ণ খাট, তাদের আধা-ছেঁড়া কাঁথা-বালিশ, তাদের কুরআন-কিতাব সবকিছু ওদের আরেকটি সজীব স্পর্শের অপেক্ষায় কাঁদছে
নারীদের নিয়ে আল্লামা শফী সাহেবের এক বাক্যেই সকলের চিত্কার চেচামেচি সংসদ পর্যন্ত গড়িয়েছে!
তাহলে এই নিন যেই সমস্ত বুদ্ধিজীবীদেরকেআপনারা নারীবাদের আদর্শ মনে করেন নারী সম্পর্কে তাদের কিছু বিখ্যাত উক্তি..
১/ ড. আহমদ শরীফ.পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নারীরাও পুরুষদের (উনি) মত যেভাবে খুশি তার যৌণাঙ্গ বিলাতে পারবে.
২/ তসলিমা নাসরিন.পূরুষরা যেমন খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালি গায়ে ঘুরে বেড়াবে. তাদের সূউচ্চ স্তন সবাই দেখবে.সম্মান পাবেন এখানে?
৩/ কবি শামসূর রহমান.হয়তো স্নানের ঘরে নিজেকে দেখেছো অনাবৃতা.জানালার ফাকে বৃষ্টিভেজা নর্তকীর মতো.গাছটিকে (যৌণাঙ্গ) তীব্র দেখছিলাম তখন!সরার মত স্তন. নাভিমূল. উরু,এবং ত্রিকোন মাংসপিন্ড, কি মন্জুল!!
৪/ হুমায়ুন আযাদ.এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি,ঠোট দেখি!মোটা ঠোট আমার পছন্দ.জিভ দেখি,মোটা ধারালো চ্যাপ্টা খসখসে জিহ্বা আমার পছন্দ!স্তন দেখি,মাঝারী স্তন আমার পছন্দ.পানি ভরা ব্লাডের মত স্তন আমি সহ্য করতে পারি না!স্তনে দাঁতের লাল দাগ আমার চুনির থেকেওভালো লাগে! উরু দেখি: সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ!
এই হলো নারীবাদীদের স্বপ্নের পূরুষদেরনারী সম্পর্কে কিছু উক্তি!
এমন হাজারো উক্তি আছে যা নারীকে চরমভাবে অপমানিত করে অথচ তা নিয়ে কোন মাতামাতি বা প্রতিবাদ নেই....
নারীদের নিয়ে আল্লামা শফী সাহেবের এক বাক্যেই সকলের চিত্কার চেচামেচি সংসদ পর্যন্ত গড়িয়েছে!
তাহলে এই নিন যেই সমস্ত বুদ্ধিজীবীদেরকেআপনারা নারীবাদের আদর্শ মনে করেন নারী সম্পর্কে তাদের কিছু বিখ্যাত উক্তি..
১/ ড. আহমদ শরীফ.পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নারীরাও পুরুষদের (উনি) মত যেভাবে খুশি তার যৌণাঙ্গ বিলাতে পারবে.
২/ তসলিমা নাসরিন.পূরুষরা যেমন খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালি গায়ে ঘুরে বেড়াবে. তাদের সূউচ্চ স্তন সবাই দেখবে.সম্মান পাবেন এখানে?
৩/ কবি শামসূর রহমান.হয়তো স্নানের ঘরে নিজেকে দেখেছো অনাবৃতা.জানালার ফাকে বৃষ্টিভেজা নর্তকীর মতো.গাছটিকে (যৌণাঙ্গ) তীব্র দেখছিলাম তখন!সরার মত স্তন. নাভিমূল. উরু,এবং ত্রিকোন মাংসপিন্ড, কি মন্জুল!!
৪/ হুমায়ুন আযাদ.এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি,ঠোট দেখি!মোটা ঠোট আমার পছন্দ.জিভ দেখি,মোটা ধারালো চ্যাপ্টা খসখসে জিহ্বা আমার পছন্দ!স্তন দেখি,মাঝারী স্তন আমার পছন্দ.পানি ভরা ব্লাডের মত স্তন আমি সহ্য করতে পারি না!স্তনে দাঁতের লাল দাগ আমার চুনির থেকেওভালো লাগে! উরু দেখি: সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ!
এই হলো নারীবাদীদের স্বপ্নের পূরুষদেরনারী সম্পর্কে কিছু উক্তি!
এমন হাজারো উক্তি আছে যা নারীকে চরমভাবে অপমানিত করে অথচ তা নিয়ে কোন মাতামাতি বা প্রতিবাদ নেই....
আল্লামা শফী সাহেব দা.বা. আল-কুরআনের আয়াত "وَقَرْنَ فِى بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ ٱلْجَـٰهِلِيَّةِ ٱلْأُولَىٰ" দিয়ে তাঁর আলোচনা শুরু করেছেন। আয়াতের উদ্ধৃত অংশটুকুর অনুবাদ: "(নারীরা!) তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে। এবং মূর্খতা যুগের (আইয়্যামে জাহিলিয়ার) অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।
" - [৩৩:৩৩]
তিনি তাঁর ওয়াযে সাধারণ মানুষের উপযোগী করে নারীর প্রতি এই নির্দেশের কারণ সহজ সরল ভাষায় ব্যক্ত করেন। নারীর প্রতি পুরুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ ও শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং শেষে শয়তানের কার্যসিদ্ধির বিষয়টি তিনি চমৎকারভাবে তুলে ধরেন। পর্দা ছাড়া নারী চলাচল করলে পুরুষ আকৃষ্ট হবেই - এ বিষয়টি তিনি তেঁতুলের প্রতি প্রত্যেকের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় স্বাভাবিক আকর্ষণের উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেন। হযরতের এ উদাহরণকে তাঁর স্থান-কাল-পাত্র অনুযায়ী যথার্থই বলতে হয়।
তিনি যে আয়াতের উদ্ধৃতি টেনে আলোচনা শুরু করেন, তার ঠিক আগের আয়াতেই আল্লাহ তায়ালা নবীপত্নী ও সকল নারীদেরকে নির্দেশ দেন, " إِنِ ٱتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِٱلْقَوْلِ فَيَطْمَعَ ٱلَّذِى فِى قَلْبِهِۦ مَرَضٌۭ وَقُلْنَ قَوْلًۭا مَّعْرُوفًۭا" অনুবাদ: "যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না।
ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। " [৩৩:৩২]
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীর সুমিষ্ট কথনকে কুবাসনা সৃষ্টির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর পরের আয়াতে (যা প্রথমে উল্লেখ করা হলো) তিনি নারীদের অকারণে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। বলেছেন, "ঘরেই থাকো, এবং জাহেলী যুগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করো না"।
প্রদর্শন করা মানে দেখানো। দেখবে কে? পুরুষ। পুরুষ দেখলে কী সমস্যা? আগের আয়াতের সাথে মিলিয়ে বুঝা যায়, পুরুষ আকৃষ্ট হয় এবং জাহেলী যুগে যা হত (বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, ব্যভিচার, ধর্ষণ ইত্যাদি) তা সংঘটিত হয়।
আল্লামা শফী তাঁর ওয়াযের শুরু থেকেই স্পষ্ট বলে আসছেন যে, তোমরা পর্দা করো, নিজেদের স্ত্রী সন্তানদের পর্দা করাও। কখন ঘরে আসে, কখন ঘর থেকে বের হয়, তার খবর নাও।
বর্তমানে মোবাইলের যুগে কী হচ্ছে তাও তিনি আঞ্চলিক ভাষায় তাঁর অডিয়েন্সদের কাছে তুলে ধরেন।
নারীর প্রতি পুরুষের স্বাভাবিক আকর্ষণকে তেঁতুলের প্রতি সবার স্বাভাবিক আকর্ষণের সাথে তুলনা করে তিনি চমৎকার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। তবে আফসোস সেসব বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের জন্য, যারা উদাহরণ বা মেছাল বিষয়টাই বুঝে না। বাংলাদেশের খেলার আগে যে অনেকে বাঘের মুখোশ লাগিয়ে টাইগার টাইগার সাজে, এতে কি বাংলাদেশকে উলঙ্গ বলা হয়? টাইগার তো কোনো কাপড় পরে না। তার তো লেজ আছে।
বাংলার খেলোয়াড়দেরকে টাইগারের সাথে তুলনা করলে কি তাদেরকে লেজ থাকা উলঙ্গ পশু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় না?
যদি না হয়, তাহলে আকর্ষণের বিষয়টাকে তেঁতুলের সাথে তুলনা করলে নারী কেন তেঁতুল হয়ে যায়? উদাহরণ, মেছাল আর তুলনা – কাকে, কার সাথে আর কোন দিক থেকে দেয়া হলো – সেটা যে বুঝে না, সে যদি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী না হয়, তাহলে আর কে হবে?
কেউ কেউ আবার বলছেন, আল্লামা শফী নারীদেরকে ঘরে থাকতে বলে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। বলি, তিনি তো কুরআনের আয়াত বললেন। কুরআন তো পুরোটাই সংবিধান বিরোধী। তাহলে কুরআনের রচিয়তাও সংবিধান বিরোধী কাজ করলেন। তাহলে সরাসরি তাঁকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক! (যদি সম্ভব হয়!!)
ইসলাম, কুরআন আর হাদীস নিয়ে এই শিশুসুলভ খেলা আর কত খেলবেন? পবিত্র এই রমজান মাসে একটু ক্ষান্ত দিন, দয়া (!) করে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী হুজুরের বক্তব্যের সম্পর্কে একজন মহিলার ফেইজবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি পড়ুন। Helen Chowdhury Chowdhuryআল্লামা শফি হুজুরের ওয়াজটা শুনেছি,তাতে উনি খারাপ কিছুই বলেনি,পুরো বয়ানটা উনি কুরআনও হাদীসের আলোকেই বয়ান করেছেন!!তার ওয়াজ শুনেই নাকি অনেকের হাসি পাইতেছে!,আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ---এক চোর ভোর রাতে চুরি করে হাত ধোয়ারজন্য যখন পুকুরে গেল তখন পুকুরের অন্য পারে এক ইমাম সাহেব গেছেন ওযু করার জন্য, আর চোর মনে মনে ভাবতে লাগলো মনে হয় ঐ বেটা ও চোর,,আর ইমাম সাহেব চোরের হাত ধুতে দেখে ভাবতে লাগলো মনে হয় এই বেটাও ফজরের ওযু করতেছে নামাজ পড়ার জন্য,,ঠিক তেমনি আজ আমরা নিজের মতোই সবকিছুই ভাবি!!যেমন নাকি কুরান হাদিসের সঠিক বাণী শুনে নাস্তিকদের হাসি পাইতেছে,,,নাস্তিক কবি শামসুর রহমান যে সময় বলেছিলেন,আমি ভোরের আজানের সাথে বেশ্যার আওয়াজ শুনতে পাই!!তখন ঐ চুতিয়া সমকামি সুশীল নামের বজ্জাতরা কোথায় ছিলো??কেউ যদি ওয়াউ ভেরী সেক্সী বলে সেটা মজা লাগে শুনতে ও ভালো লাগে আর কেউ তেঁতুল উপমায় বললেই চুতিয়া মাদারীদের গা জ্বলা ধরে??!
মা-বাবা-বোনদের নিয়ে লাক্স চ্যানেল আই সল্পবসনার সুন্দরীদের প্রতিযোগিতা দেখা যায়, তাতে কোন প্রবলেম হয় না আপনাদের !
মেরিল তারকা জরিপ পুরস্কারে কিছু নারী যখন নৃত্তের তালে তাল মিলাতে গিয়ে পুরুষের কোলে উঠে গেছিল, তখন তা মা-বাবা-বোন নিয়ে দেখতে প্রবলেম হয় নাই আপানদের !!
রাস্তার মোড়ে মোড়ে যখন নগ্ন পিঠ আর নগ্ন পেট দেখানো মেয়েদের ছবি সংবলিত বিশাল বিলবোর্ড উন্নত বক্ষ টান কইরা দাড়ায় থাকে, তখন আপনাদের মা-বাবা-বোন নিয়া তা দেখতে প্রবলেম হয় না!!!
বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল চালু করলে যখন যৌন সুরুসুরি দেওয়া কনডমের বিজ্ঞাপন চলে আসে, তখন তা মা-বাবা-বোন নিয়া দেখতে প্রবলেম হয় না আপনাদের !!!!
কিন্তু আপনাদের প্রবলেম হল কখন ? যখন শফি সাহেব এসব বন্ধ করতে ও এসব থেকে বিরত থাকতে ইঙ্গিত করলেন !
ছেলেদের লোলুপ দৃষ্টি বোঝাতে তেঁতুল উপমা দেওয়াত ঘা লাইগা গেছে কিন্তু যারা মাইয়াদের এই তেঁতুল বানাইয়া চাঁটে তাদের ব্যাপারে আপনারা প্রগতিশীলরা নিশ্চুপ !!
আপনাদের নগ্ন প্রগতিশীলতাকে ঘেন্না করি...
মার্কসের ‘আফিম’ আর শফির ‘তেতুঁল’ মূর্খদেরকে বিভ্রান্ত করেছে
সৈয়দ মবনু
কার্ল মার্কস বললেন ধর্ম আফিনের মতো নেশা তৈরি করে। আমাদের বাম বন্ধুরা মনে করলেন কার্ল মার্কস ধর্মকে খারাপ বলেছেন। তারা একবারও পড়ে দেখলেন না ধর্ম আফিনের মতো নেশা তৈরি করার কথা বলে কার্ল মার্কস কি বুঝাতে চেয়েছেন। তারা পড়েন নি কার্ল মার্কসের ধর্ম বিষয়ক অন্য গ্রন্থটিও।
কার্ল মার্কসের গুরু হেগেলস ছিলেন একজন খ্রিস্টান ধর্মবাদি সমাজতান্ত্রিক। বর্তমান বামদের মতো তৎকালিন ইয়ং হেগেলিয়ানরা হেগেলের বিরোধীতা শুরু করলে কার্ল মার্কস তাদের সমালোচনা করে বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখেছেন। এই সব সমালোচনা আছে কার্ল মার্কসের ‘জার্মান ভাবাদর্শ’ গ্রন্থে। চরিত্রহীন দুষ্ট ক্ষমতালোভী বামরা মানুষকে ধর্ম থেকে দূরে নিয়ে যেমনে ইচ্ছে তেমনে ব্যবহারের জন্য এবং পূঁজিবাদিদের স্বার্থে কার্ল মার্কসকে ধর্ম বিদ্বেষি বলে প্রচার করলো। অথচ মার্কসের বিষয় ধর্ম নয়, ছিলো অর্থনীতি।
কিন্তু বামদের অপপ্রচারে বিশ্ববাসি জানলো মার্কস মানে ধর্মদ্রোহী। সুবিধাটা হলো পূঁজিবাদের। মার্কসের যেটুকু উন্নত চিন্তা ছিলো সবই গেলো বিফলে।
একইভাবে একাত্তরের স্বাধীনতার পর দেশটাকে গড়ার আগেই বামরা শুরু করে দিলো হৈ চৈ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেল থেকে বের হয়ে লন্ডন হয়ে বাংলাদেশে আসার আগেই বামরা দেশটাকে বিক্রি করার সকল ব্যবস্থা সম্পর্ণ করে।
শেখ সাহেব দেশে ফিরে দেখেন তাঁর চার দিকে বাম চোররা বসে আছে। তিনি চিৎকার দিয়ে বারবার বিষয়টিকে জাতির সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু চারদিকে চোর থাকলে কে শোনে তাঁর কথা। বঙ্গবন্ধু যখন দেশটাকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করতে চেষ্টা করলেন, যখন বামদের অশুভ আচরণ থেকে নিজকে রক্ষার জন্য বললেন তোমরা আমাকে লাল চোখ দেখাবে না। তোমাদের জানা প্রয়োজন আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ।
তখন আমরা বুঝিনি তাঁর এই চিৎকারের উদ্দেশ্য কি। আজকের বঙ্গবন্ধুর নৌকার তথ্য মাঝি হাসানুল হক ইনুর মতো বামরা আমাদের গোটা জাতিকে উল্টো বুঝিয়েছেন বঙ্গবন্ধু দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো দেশপ্রেমিককে ভুল বুঝলাম। বাসর চোকের সামনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পটভূমি তৈরি করে দিলো বামরা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁর রক্তের উপর নৃত্য করলেন ইনু সাহেবের মতো বামরা।
তারা ভেতর বাইর থেকে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যকে গোটা জাতির সমানে ভুলভাবে উপস্থাপন করলেন। বিপদে পড়লেন বঙ্গবন্ধু। কিছু করার ছিলোনা তাঁর স্বপরিবারে জীবন দিয়ে আপোষহীন থাকা ছাড়া। আমার কেনো জানি মনে হয় শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গন্ধুর সরকারের মতোই বিপদে এবং ভয়ে আছে বামদের ষড়যন্ত্রের সামনে।
আল্লাম শাহ আহমদ শফি’র একটা বক্তব্য নিয়ে বামরা আবার মাঠে ভুল ব্যাখ্যায় তৎপর।
নারীকে তিনি তেঁতুলের সাথে উপমা দিয়েছেন। কার্ল মার্কসের ধর্ম আফিমের ব্যাখ্যা যেমন বামরা বুঝেনি, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তারা আমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে। তেমনি তারা শাহ আহমেদ শফির নারীকে তেঁতুলের সাথে উপমা বুঝে নি। কিংবা বুঝলেও তারা বিভ্রান্তি বিস্তারের জন্য অপব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন। আমি কথাকে লম্বা করতে চাই না।
বামদের অনেকের ঘরের খবর আমার কাছে আছে। পর নারী দেখলে নিজের স্ত্রী ফেলে কেমনে দৌঁড়েন তাও আমি জানি। জানি তারা কেমনে নারীকে আরো কাঁচা ভাষায় উপমা দেন। আমি সেই সকল উপমা এখানে উচ্চারণ করতেও লজ্জাবোধ করছি। নারী আমার মা, আমি তাঁকে মা বলে সম্মান করি।
নারী আমার বোন আমি তাকে বোন বলে স্নেহ বা সম্মান করি। নারী আমার প্রেমিকা বৌ, আমি তাকে বৌ বলে ভালোবাসি এবং সম্মান করি। কিন্তু মাকে আর বৌকে দৃষ্টিগত দিকে এক পাল্লায় নিলে পাপ হয়। মা, মাই, বৌ বৌ। আর নারী যখন পরকিয়া করে তখন সে তেতুঁল ছাড়া আর কি? পরকিয়া কি হয় না সমাজে? পতিতালয়ে যে নারী যায় সেও কি তেতুঁল নয়? আহমদ শফি তাঁর বক্তব্যে বার বার বলেছেন-নারী আমাদের সম্মানের জিনিষ।
তাদেরকে সম্মানের সাথে রাখতে হবে। আমি এখানে একটি কথা বলতে চাই। শাহ আহমদ শফি আমার আদর্শ না, আমার আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (স.)। আমি শাহ আহমদ শফি কিংবা অন্য কারো মধ্যে যতটুকু রাসুল (স.) কে পাই ততটুকু গ্রহণ করি। বামদের মধ্যে আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন।
আমি তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই দয়া করে বেশি করে পড়তে চেষ্টা করুন এবং একমুখি পড়া বাদ দিয়ে বহুমূখি পড়ার অভ্যাস করুন। কারণ বাংলাদেশের বামরা পড়েন কম। তারা যতটুকু পড়েন তাও শুধু বাম নোট বই। ফলে তারা বামের উপর মৌলবাদি হয়ে যান। তারা মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, অথচ তারাই থাকেন বড় মৌলবাদি।
প্রকৃত অর্থে তারা মৌলবাদ শব্দের অর্থই বুঝেন না। তারা মৌলবাদ বলতে বুঝেন ইসলামী রাজনীতি। আমি তাদেরকে বলি ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলুন আমার আপত্তি নেই, কিন্তু মূর্খদের মতো-অন্ধদের মতো না। ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলুন ইসলাম সম্পর্কে জেনে। বটতলার বই পড়ে যদি মনে করেন ইসলামের জ্ঞান অর্জিত হয়েছে তবে ভুল করলেন, যেমন ভুল করেছেন রাশিয়ান এবং চীনা এম্বেসি থেকে প্রকাশিত ক্ষমতা এবং অর্থলোভী বামদের অনুবাদকৃত কার্ল মার্কস পড়তে গিয়ে।
কার্ল মার্কসের চিন্তা এবং মার্কসবাদি বামদের চিন্তা যেমন এক না, তেমনি বটতলার ইসলাম আর কোরআন-হাদিসের ইসলাম এক না। আমি সবাইকে বলবো ইসলাম কোরআনের সহীহ তাফসির এবং হাদিসের গ্রন্থগুলো পড়তে। সরাসরি বোখারি, মুসলিম, তিমিজি, ইবনে মাজা, মুসনাদে আহমেদ, আবু দাউদ ইত্যাদি হাদিসের মৌলিক গ্রন্থ এখন বাংলায়ও পাওয়া যায়। সরাসরি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবনীগুলো পড়তে হবে। ইসলামকে জানতে হবে।
বিরুদ্ধবাদিদের বক্তব্য দিয়ে যদি ইসলামকে জানতে চেষ্টা করেন তবে ভুল জানবেন। যেমন অনেকে পবিত্র কোরআনের সুরা কাফিরুনের ‘লাকুমদ্বিন হুকুম ওয়ালিয়া দ্বিন’ আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে ধর্মনিরপেক্ষবাদের প্রচার করেন। অথচ কোরআনের শানে নুজুল অনুযায়ী এই ‘আয়াত সব চাইতে বেশি ধর্মনিরপেক্ষবাদের বিরোধীতা করে। না বুঝলে রাম আর বাম সমান অর্থ বহন করে। বুঝলে ব্যবধান আকাশ জমিন।
একটা ঘটনা দিয়ে বক্তব্যটা শেষ করি। একজন বাঙালি গেছেন এক উর্দু ওয়ালা আলেমের ওয়াজ শোনতে। মাওলানা সাহেব ওয়াজে বলেছেন-মরা মিছলি খাওয়া জায়েজ হে। বাঙালি ভদ্রলোক বাড়ি এসে শুরু করলেন চিৎকার-এই মৌলভি বলে কি; মরা মসল্লি খাওয়া জায়েজ। শালা মানুষ খেকু মৌলভি।
আমাদের সিলেটে একটা প্রবাদ আছে-বুঝলে বুঝপাতা, নাইলে তেজপাতা।
নিচে সৈয়দ শামসুল হকের 'ভালোবাসার রাতে' গ্রন্থের ২টি কবিতা এবং অন্য আরেকটি কবিতার কয়েকটি লাইন তুলে দিলাম / তবে নিজ দায়ীত্বে পড়বেন / লেখার কোন শব্দের জন্য আমি নিজে দায়ী নই / সম্পুর্ন দ্বায়ভার এই বিশিষ্ট লেখকদের /
————————————————
যখন দু’স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে,
স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে-দীপ্তির প্রকাশ,
তখন কী হলো আমি কোন্ ভাষে বলবো কী করে?
মুহূর্তেই ঘুচে গেলো তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাস।
(‘ভালোবাসার রাতে-২’)
———————————
বৃষ্টিও বৃষ্টি তো নয় – জরায়ুর রক্তিম ক্রন্দন।
আজ তিনদিন থেকে অবিরাম, ক্ষান্তি নেই তার।
নিষেধ পতাকা লাল, পতাকায় শরীরী স্পন্দন
তবুও তবুও জাগে, জাগে ইচ্ছা সেখানে যাবার।
শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ।
দুজনের দেহ ছিঁড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা।
আর তা নেমে আসে স্তনের চূড়ায়।
বাড়তে থাকে কামনার জ্বর।
আর জ্বরতপ্ত হাত কুড়ায় কামনার ফুল।
এ টান শুধু এক পক্ষের নয়।
সমানতালে দুজনের। অবশেষ ভেঙে যায় বাঁধ -
তবে ভিজে যাক সব, বৃষ্টি থাক, এসো ভিজে যাই -
জ্বরের আগুনে দেহ লাল বৃষ্টিধারায় ভেজাই॥
(‘ভালোবাসার রাতে-২৯’)
———————————
আমি তোমার যতটা দেখি, তা ভালো;
যা দেখি না, সম্ভবত তা আরো ভালো।
এবং মাঝরাতে ইচ্ছার আলো
ঐ সব ভেবে হয় ভীষণ জোরালো॥
(‘এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি-৮’)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
“শরীরের এই হাল, শরীরে গ্রীষ্মকাল,
স্নানের জল আছে তো? ও যুবক স্নানের জল আছে তো?
তোর একার জলে না হলে, যুবকের দল কাছে তো?”
(তসলিমা নাসরিণ)
||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এগুলা হচ্ছে শিল্প-সাহিত্য, সৃষ্টিশীলতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এগুলোতে কিন্তু নারীর অপমান হয় না !!!!!!!!
আর...............
যখন ন্যাংটা করে বিলবোর্ডে ঝুলায়া রাখে ,
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারে অর্ধনগ্ন করে দেহ প্রদর্শন করায়,
পতিতা বানায়া বিজ্ঞাপণে হাজির করায়, পত্রিকার ম্যাগাজিনে নগ্ন ছবি দেয়,
যখন গর্ভবতী পশু বলা হয়,
তখন তো কিছু বলেন না, তখন মুখ কই থাকে? তখন কই থাকে আত্মসম্মান?
------ তখন এগুলো হয় নারীর অপমান হয় না, হয় নারী স্বাধীনতা।
আর শফী হুজুরের সামান্য তেঁতুল বলাতে বিগার উইঠা গেছে আপনাগো??
এই একই কথা যদি ৯৩ বছরের একজন হুজুরের মুখ থাইকা না শুইনা শাহরুখ খানের মুখ থাইকা শুনতে পারতেন, তাইলে তো জীবনটারে ঠিকই ধন্য মনে করতেন।
আপনারা তো সবসময়ই চেষ্টায় থাকেন নিজেকে কিভাবে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
তেঁতুল বইলা শফি সাহেব বুঝাতে চেয়েছেন, নারীরা আকর্ষণীয় এবং তাই বেপর্দা নারীর প্রতি পুরুষেরা আকর্ষণ অনুভব করবেই।
ডাক্তার জাকির নায়েকও অকপটে এই সত্য কথাটি বলেছেন, "যে পুরুষ বলে, কোনো বেগানা বেপর্দা নারী দেখলে তার কিছু হয় না, তাহলে হয়তো সে মিথ্যা বলছে অথবা তার ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। "
এমনকি স্বয়ং মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা আল ইমরানের ১৪ নাম্বার আয়াতে সুস্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, “তিনি নারীদেরকে পুরুষদের জন্যে আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন”।
এখন আল্লামা শফীর তেঁতুল উপমায় যদি নারীদের অবমাননা হয়ে থাকে তাহলে তো আল্লাহ্ তায়ালাও নারীদের অবমাননা করেছেন (নায়ুজুবিল্লাহ)।
যুবলীগ নেতার ধর্ষণের শিকার ৪র্থশ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যা!
শফী হুজুর যখন রুপক অর্থে মেয়েদেরকে তেতুলের সাথে তুলনা করেন তখন এরা বলে এইডা কি হইল? শফী সাহেব এত অশ্লীল কথা কেন বলল? রোকেয়া পেত্নীরা তখন বলে, হুজুরকে তওবা করতে হবে! বাহ! আর পুরো অনলাইন তো তেতুল তেতুল করতে করতে তেতুলময় করে ফেলেছে যারা তাদের আপন মা, বোন, ভাবী, চাচীদেরকে নিয়ে চঠি লিখে। এইসব কুলাঙারদের মুখে আল্লামা শফী সাহেবের সমালোচনা মানাই কি মানাই না সেটার ভার আপনাদের উপর চেড়ে দিলাম।
৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষণ! কই এখন কই সেইসব চুসীল পতিতালয়ের নারী নেত্রীরা কই না কেন ধর্ষকের ফাসী চাই? এখন কেন সোনার ছেলেদের বিচার চাই না তারা? নারী তেতুলের মত না হইলে এখন কেন ৪র্থ শ্রেণির এই ছোট্ট মেয়েটার দিকে লালা ঝরল?
জবাব আছে কি এর? কোন চুসীল থাকলে তার কাছে জাতি এর জবাব চাই।
*নারী সম্পর্কে সম্পর্কে কতিপয় মনীষীগনের
অমৃত-বচন....!
কম বয়েসী মেয়ে হল রসগোল্লার মত
যেখানে রাখবে সেখানেই পিঁপড়ে ধরবে !
- শংকর।
পৃথিবীতে বা সমুদ্রে যত হিংস্র
প্রাণী আছে সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী হল মেয়েরা !
- মেনানডার।
পুরুষেরা মেয়েদের খেলার সামগ্রী আর
মেয়েরা শয়তানের খেলার সামগ্রী !
- নেপোলিয়ান।
বিড়াল, পাখি এবং মেয়েরা একই ধরণের
প্রাণী যারা নিজেদের প্রসাধনের উপর সর্বাধিক
সময় নষ্ট করে !
- চার্লস নড়ায়ার।
মেয়েরা ব্যয় এবং অপব্যয় দুটোতেই সিদ্ধহস্ত !
- ফ্রান্সিস বেকন।
মেয়েরা সাধারণত এত খারাপ যে, ভাল এবং মন্দ
মেয়ের মধ্যে কোন পার্থক্যই করা যায় না !
- টলস্টয়।
একজন মেয়ে যাকে মন দিতে পারে,
তাকে শরীরটা দেওয়া কিছুই নয়। এই
শরীরে আছেটা কী? অথচ আশ্চর্য ! নিরানব্বই ভাগ
পুরুষের কাছে এবং সমাজ যারা গড়েছেন তাদের
কাছে এই শরীরটাই দামি।
- বুদ্ধদেব গুহ।
মেয়েরা সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বৈ কিছু নয় ! !
- নেপোলিয়ান।
.............................................
এরা বললে দোষ নাই, খালি শফি হুজুর বললেই
দোষ!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।