আমি বলছি যাব যাব, ঘর বলছে না; অবাধ্য সেই দুয়ার আমার, আটকে রাখে পা...
তবুও জীবন চলবে অবিরাম, জীবনের পথে... এরা সেটাই মনে করিয়ে দিল। মোহাম্মদপুর থেকে ফিরছিলাম। শিশু মেলার জ্যামে ঝুলছি। ট্রাফিক পুলিশ জিলেপীর প্যাচের মত জ্যাম ছাড়ানোয় ব্যস্ত। এ ফাঁকে দুইজন ভিক্ষুক দুটা অদ্ভুত যানের উপর চেপে বসে এদিক সেদিক ছুটে যাচ্ছে।
অদ্ভুত একারনে বলা যে এ যানের উচ্চতা সর্বোচ্চ 5 ইঞ্চি। চওড়া 1 ফুট এবং লম্বায় 14 ইঞ্চি হবে। এর নাম বেয়ারিং গাড়ি। কেন এটার নাম বেয়ারিং তা আমি জানিনা। হয়তো এ যানের কন্ডিশন ডেয়ারিং বিধায় এর এমন নাম।
এদের দুহাতে দুইটা করে জুতো। তা দিয়ে নিজেদের ঠেলে তারা স্থান পরিবর্তন করতে পারছে সহজেই। জ্যামে আটকানো প্রত্যেকটা প্রাইভেট কারের কাছে যেয়ে গলা উঁচিয়ে সাহায্যের আবেদন করছে। দেখতেই কেমন অদ্ভুত লাগছে। অপ্রাকৃতিক।
জীবন যে থেমে থাকেনা এরা হয়তো তা বুঝে নিয়েছে। তাই বাড়তি বোঝা হয়ে সংসার নামক ফুটপাতে পড়ে থেকে করুনা কুড়োয়নি। নিজেদের টেনে হেঁছড়ে ঠিকই জীবনের গভীর সমুদ্রে এনে সাঁতরাচ্ছে। প্রাইভেট কার এবং এদের যানের মধ্যে অদ্ভুত মিল। এ দুই যানের মালিকদের ভেতরও একটা ইন্ট্রারনাল সম্পর্ক আছে, ভাবনাটা তৎক্ষনাত এসে বৃষ্টির মত সজিব মুগ্ধতা এনে দিল।
না আমায় ভিক্ষা দিতে হয়নি, ভিক্ষুকদ্বয় আমার নিকট আসেন-ই নাই। তারা খুঁজে ফিরছিল চকচকে দামী কার। তাদের চোখ হয়ে উঠেছিল শিকারী নেকড়ের মত। তারা হয়ে উঠেছিল শৌখিন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।