আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল



আমি একদিন রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। হাটতে যদিও আমার ভাল লাগে না তবুও হাটছি। কিন্তু সব কিছু কেমন অপরিচিত লাগছে, সবাই আমার দিকে চেয়ে আছে। ছেলেরা এবং মেয়েরাও হা করে তাকিয়ে আছে মুখ কিছুতেই বন্ধ করতে পারছে না। আমি তো অবাক কি হল ব্যাপার টা কিছুই বুঝছি না।

এ রকম তো আগে কখনও হয় নি। ব্যাপার টা আসলে কিছুই না। কারণ সেদিন আমার ইয়েকে নিয়ে একটু হাটতে বেরিয়েছিলাম এই যা............ দুধে আলতা বরণ কন্যা , মেঘ বরণ কেশ, হাসিতে তার মুক্ত ঝরে, চোখেতে লুকায় সাগর বেশি বলছি না ভাই আমার ইয়ের আবার এসব বর্ণনা কম হয়, তার যেন দুধ বেশি না আলতা বেশি এটা বের করা যাবে না। আবার, মেঘ বেশি কাল না কেশ কাল তাও বের করা যাবেনা, মুক্ত তো ধারে কাছেও আসবে না। আর সাগর তো লজ্জায় মুখ লুকায়।

তাই প্রকৃতির এ অপার সৌর্দয্যগুলোকে লজ্জা দিবার জন্য তাকে নিয়ে খুব একটা বের হইনা এই আরকি........... সে দিন ওর সাথে মোবাইলে কথা বলছিলাম। কোন জরুরি কথা না। কেমন আছ, কি কর, আমাকে নিয়ে বেশী চিন্তা কর না আমি তো তোমারই আছি এই টাইপের, হঠাৎ মোবাইলে শুরু হল ডিস্টার্ব উল্টা পাল্টা আওয়াজ আসতে শুরু করল, কথা ঠিক মত আসছে না সিগনাল উল্টা পল্টা হয়ে যাচ্ছে। এর পর থেকে ওর মোবাইল থেকে ফোন আসলেই এরকম হয়। আমি তো মহা চিন্তায় পড়লাম কি হল, কি হল।

মোবাইল কোম্পানিতে খোজ করলাম সমস্যা টা কোথায়, ওরা আবার খুব তরিৎ গতিতে সমস্যাটা বের করে ফেলল। আসলে সমস্যাটা হল ওর কন্ঠটা এতটাই মিস্টি যে সার্ভার ঠিক মত সিগনাল রিলে করতে পারছে না, মেমরি গন্ডগোল হয়ে যাচ্ছে, প্রসেসরের হার্ট বিট বেড়ে যায়, কম্পিউটার অভার হিটেট হয়ে যায়। কিছুতেই তা বন্ধ করা যাচ্ছে না, তাই ওরা আমায় অনুরোধ করল আমার জান যেন তাদের সিম আর ব্যবহার না করে তাদের সার্ভিসই না কি হুমকির মুখে পড়েছে। আমি হতাশ আর ফোনে কথা বলতে পারবনা। শেষে আবার সেই চিঠি চালাচালি শুরু করতে হল.............কি আর করা আমার জানের জন্য আমি তো সব কিছু করতে প্রস্তুতই আছি...... আমার জানের কিছু গুনাবলী: আমার জানের মধুর হাসি যেন বহমান নদীর কলতান, তার কথা যে রবীন্দ্রনাথের কবিতা, লতা মঙ্গেশকরের গান, তার চোখ যেন সীমাহীন সম্ভাবনার দূত্যি, আশার আলো, তার হাটা যেন দৃপ্ত পদে আগুয়ান কোন মহীয়সী নারী, তার মন যেন মহাকাশের মত বিশাল এবং স্বচ্ছ পানির মত পরিস্কার, এবং ভালবাসায় সে খুবই স্বার্থপর এবং তা শুধুই আমার জন্য।

আমার আবার আইসক্রীম খুবই প্রিয়, আমার জানেরও। কিন্তু অনেকদিন আইসক্রীম খাওয়া হয় না তাই ভাবলাম আমার জানকে নিয়ে একদিন আইসক্রীম খেতে যাই। তাই একদিন গেলাম একটা আইসক্রীমের দোকানে, সেখানে দেখলাম অনেকেই এসেছেন আইসক্রীম খেতে। আমরাও বসে পড়লাম এক টেবিলে। যেই না মাত্র ওকে নিয়ে বসেছি, কিসের যেন একটা গুঞ্জন শুরু হল, সবাই যেন কিছু বলছে।

সবাই ওয়েটারকে ডাকেছে আর ডেকে কড়া মেজাজে কিছু যেন বলছে। তো আমারা তো কিছুই বুঝছি না, একসময় দেখি ওয়েটার আমাদের আইক্রীম এনে দিল। কিন্তু একি! আইসক্রীম যে গলে পানি হয়ে গেছে, এদিকে আবার এ/সি চলছে জোরে সোরে কিন্তু আইসক্রীম যাচ্ছে গলে, চিন্তিত ওয়েটার বলল,

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।