আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সদানন্দের সংসারে

বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক জীবন

আমি যখন যা খাই তাতে সব সময় কিছু কিছু অধিকার আছে অন্যান্যের। আমি তাই একা একা কখনোই সেবা নিতে পারি না। প্রতিবার সেবার সঙ্গে পৃথিবীর আনন্দ ভেবে কাকগুলিকে ডেকে নিই শহরে-নগরে। গ্রামে সেই সেবা-সঙ্গী করি চড়ুই, শালিখ, দোয়েল অথবা হাঁস-মুরগি আর গাভিকে। ওরা সর্বদা প্রকৃতির ভাষা বোঝে...।

পানি খেতে গেলে তার কিছুটা গাছের গোড়ায় ঢালি। ঘুমাতে যাবার আগে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসি গন্ধদায়ী ফুলগুলিকে...গাঙপানিতে গোসলে গিয়ে রেখে আসি গায়ের ঘ্রাণ, যেন নদী পানিতে নামা-মাত্র মানুষ চিনে নিতে পারে...। কোথাও ধূলিপথ পেলে সানন্দে জুতা খুলে ফেলি। আমি জানি-প্রথম পায়ের চিহ্নগুলি পরে কেউ হেঁটে যাবার আগ পর্যন্ত পথের আনন্দ হয়ে পথেই থেকে যায়। পথের বড় ভালো লাগা আমাদের হেঁটে যাওয়া।

আমি তাই হাঁটি সীমারেখাহীন_ পথ থেকে পথে। সুরমঙ্গলের গান হলে থামি, মানুষের রঙে মিশি, তারপর খালি পায়ে পথে পথে হাঁটি...। সমুদ্রে গেলে আমি আর আমি থাকি না। ওকে ভালোবেসে ফেলি, আর এক উদারতায় আকাশে তাকাই-এ আকাশ ঘন নীল, ভেসে যায় মেঘে নাও...। আমি এখন গান গাইবো...সাধু আমার অন্তরে বাজাও একতারা।

আমি এখন গান হবো...সাধু আমার নিজ গুণে বেঁধে নাও তোমার কণ্ঠ-গানে এই আমাকে...গানের আনন্দে আমি অন্যান্যে মিশে থাকতে চাই, তুমি আমাকে নিয়ে যাও সদানন্দের সংসারে...যেইখানে সুর ছাড়া মানুষ নাই, মানুষ ছাড়া গান নাই, আমি হবো সেই গান, সাধু আমার অন্তরে মারো টান অন্যান্যের...।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.